জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়া: লক্ষ্য ও ফলাফল
(last modified Mon, 29 Aug 2022 11:19:00 GMT )
আগস্ট ২৯, ২০২২ ১৭:১৯ Asia/Dhaka

জাপান এবং আমেরিকা যৌথ মহড়ার আয়োজন করেছে। এ থেকে সুস্পষ্টাভাবেই বোঝা যায় তাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সামরিক সম্পর্ক বেশ শক্তিশালী। বিশেষ করে এই মহড়াটি অনুষ্ঠিত হয়েছে নতুন অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে।

জাপানের কিউশুয়ি দ্বীপের কুমামতো প্রদেশের ইয়ামাতো শহরে অনুষ্ঠিত ওই যৌথ মহড়ায় দুই হাজারের বেশি মার্কিন ও জাপানি সেনা অংশ নিয়েছে। ওই মহড়ায় জাপানি সেনারা প্রথমবারের মতো আমেরিকার তৈরি জাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রকেট লাঞ্চার ব্যবহার করেছে। জাপানের সংবিধানের নবম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশটির সেনাবাহিনী থাকার কথা নয় মানে জাপান সামরিক শক্তিতে পরিণত হতে পারবে না। হত্যাকাণ্ডের শিকার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছেন সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদ সংশোধন করে শক্তিশালী সেনাাবহিনী গড়ে তুলতে। কিন্তু তার সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। তবে আমেরিকা যথারীতি জাপানকে শক্তিশালী সামরিক শক্তিতে পরিণত হরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকা চায় চীন এবং উত্তর কোরিয়ার মোকাবেলায় জাপানকে দাঁড় করাতে।

জাপানের জনগণ কিন্তু ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার পরিকল্পনার পক্ষে নয়। এমনকি তারা আমেরিকার সঙ্গে অতীতের তুলনায় সামরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করারও বিপক্ষে।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মোতোকু রিচ এ সম্পর্কে বলেন: জাপানের জনগণ সংবিধান সংশোধন করতে চায় না। কেননা জাপান আবার ঔপনিবেশিক শক্তিতে পরণত হোক-সেটা সেদেশের জনগণের কাম্য নয়। তবে আমেরিকা তাদের কয়েকটি লক্ষ্য অর্জন করতে জাপানকে সামরিকীকরণ করতে চায়। প্রথম কারণটি হলো জাপানিদের আগ্রাসী ও উপনিবেশবাদী চেতনাকে উজ্জীবিত করা যা চীন ও উত্তর কোরিয়াকে একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়ে দেবে। জাপান আবারও সামরিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠলে চীন ও কোরিয়ার মধ্যে ভীতির সঞ্চার হবে।

দ্বিতীয়ত জাপানের সামরিক বাজেট বাড়ানো সম্ভব হলে আঞ্চলিক দেশগুলোও বাধ্য হবে তাদের সামরিক বাজেট বৃদ্ধি করতে। আর তা করা সম্ভব হলে আঞ্চলিকভাবে সামরিক প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে।

আমেরিকার তৃতীয় এবং আসল উদ্দেশ্য হলো চীনকে তাদের সামরিক বাজেট বাড়াতে বাধ্য করা। তা করা সম্ভব হলে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। যেমনটি বলেছেন চীনা বিশেষজ্ঞ ইয়ং ইউ। তিনি বলেছেন: জাপানের সামরিক শক্তি হয়ে ওঠার ব্যাপারে চীন উদ্বিগ্ন। অপরদিকে আমেরিকা চায় উত্তর কোরিয়া ও চীন-ভীতি জাগিয়ে তুলে জাপানকে সামরিক শক্তিতে পরিণত হতে ইন্ধন দিতে। তবে আমেরিকার এই কৌশল সম্পর্কে চীনকে সচেতন বলেই মনে হচ্ছে।#

পার্সটুডে/এনএম/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ