ইরানে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া হচ্ছে: জন বোল্টন
(last modified Wed, 09 Nov 2022 02:18:55 GMT )
নভেম্বর ০৯, ২০২২ ০৮:১৮ Asia/Dhaka
  • সাবেক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন
    সাবেক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন

সাবেক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, ইরানের নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের হাতে ইরাকের কুর্দিস্তান থেকে অস্ত্র তুলে দেয়া হচ্ছে। তিনি লন্ডন-ভিত্তিক নিউজ চ্যানেল বিবিসি ফার্সিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আশা প্রকাশ করে বলেন, তার ভাষায় ‘চলমান বিক্ষোভে’ ইরান সরকারের পতন ঘটবে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান-বিরোধী নীতির দীর্ঘদিনের সহযোগী বোল্টন ইরানের নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদেরকে ‘সরকার বিরোধী’ এবং চলমান নৈরাজ্যকে ‘সরকার বিরোধী আন্দোলন’ বলে আখ্যায়িত করেন।

তিনি ২০০৯ সালে সাবেক ইরানি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের বিজয়ের পর দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের সঙ্গে চলমান নৈরাজ্যের তুলনা করেন। বোল্টন দাবি করেন, ইরানে ২০০৯ সালের বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমন করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। আমেরিকার যুদ্ধবাজ এই কূটনীতিক বলেন, ইরানের সাম্প্রতিক নৈরাজ্য আরো কঠোর হাতে দমন করা হচ্ছে।

চরম বিদ্বেষী মন্তব্য করার কারণে কুখ্যাত বোল্টন বলেন, এবারের বিক্ষোভকারীরা শুধু বিক্ষোভ দেখিয়েই নিজেদের তৎপরতা সীমাবদ্ধ রাখেনি বরং তারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে। তারা ইরান সরকারকে এই বার্তা দিয়েছে যে, তার আর নিরস্ত্র নেই এবং ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসিকে মোকাবিলা করার ক্ষমতা তাদের রয়েছে। বোল্টন বলেন, ঠিক এ কারণে ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান-বিরোধী নীতির দীর্ঘদিনের সহযোগী বোল্টন

সাবেক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ইরাকে কুর্দি সশস্ত্র ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ নেয়ার ছবি তিনি দেখেছেন। বোল্টন অনুতাপ প্রকাশ করে বলেন, আমেরিকার মতো ইরানের সংবিধানে এমন কোনো বিধান রাখা হয়নি যার ফলে দেশটির জনগণ হাতে অস্ত্র রাখতে পারে। তিনি বলেন, যদি তাদের হাতে এখন অস্ত্র থাকত তাহলে ইরানের পরিস্থিতি ‘ভিন্ন রকম’ হতে পারত।

ইরান সরকারের পতন ঘটানোর জন্য আমেরিকা যে এদেশের জনগণের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে সেকথা কখনও ওয়াশিংটন স্বীকার করেনি। তবে এবার জন বোল্টন পরোক্ষভাবে সে ইঙ্গিত দিলেন। এছাড়া, সাবেক এই নিরাপত্তা উপদেষ্টা এর আগে বহুবার বলেছেন, ইরানের ইসলামি বিপ্লব ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবে ইরান বিপ্লবের ৪৩ বছর চলছে। তবে এবার তিনি ইরানের নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের কাঁধে ভর করে ইসলামি প্রজাতন্ত্র উৎখাতের একটি ‘আশার আলো’ দেখতে পাচ্ছেন।#

পার্সটুডে/এমএমআই/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।