ইরানবিরোধী যুদ্ধ করলে আলবেনিয়া থেকে বহিষ্কার করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
https://parstoday.ir/bn/news/world-i125042-ইরানবিরোধী_যুদ্ধ_করলে_আলবেনিয়া_থেকে_বহিষ্কার_করা_হবে_প্রধানমন্ত্রী
ইরানের ইসলামি সরকারবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মুজাহেদিনে খালক বা এমকেও’কে আলবেনিয়া থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইদি রামা। তিনি বলেছেন, এমকেও’র সদস্যরা যদি আলবেনিয়ার মাটিকে ইরানবিরোধী যুদ্ধের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে চায় তাহলে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুলাই ০২, ২০২৩ ১০:১৮ Asia/Dhaka
  • ইদি রামা
    ইদি রামা

ইরানের ইসলামি সরকারবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মুজাহেদিনে খালক বা এমকেও’কে আলবেনিয়া থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইদি রামা। তিনি বলেছেন, এমকেও’র সদস্যরা যদি আলবেনিয়ার মাটিকে ইরানবিরোধী যুদ্ধের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে চায় তাহলে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে।

জার্মান ম্যাগাজিন ডার স্পাইগেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রামা বলেন, এমকেওকে ‘কয়েক বছরের জন্য’ আলবেনিয়ায় থাকতে দেয়া হয়েছে কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, এটি তার রাজনৈতিক অপারেশন্স পরিচালনার জন্য এদেশের মাটিকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করবে। ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই বলে সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের আতিথেয়তার অপব্যবহার মেনে নেয়া হবে না।

ইদি রামা সুস্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, ‘যে যুদ্ধ আমাদের নয়’ তাতে আমরা জড়িত থাকব না এবং এমকেও যদি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে চায় তাহলে তাকে আলবেনিয়া ত্যাগ করতে হবে।

১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লব হওয়ার পর ইরানের ইসলামি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যাপকভিত্তিক সন্ত্রাসবাদ শুরু করে এমকেও। বিগত চার দশকে সন্ত্রাসী হামলায় যে ‌১৭,০০০ ইরানি নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে এমকেও’র হাতে নিহত হয়েছেন প্রায় ১২,০০০ ইরানি।

এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা ১৯৮০’র দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় ইরাকের পক্ষ নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ইরাকের সাবেক সাদ্দাম সরকার এমকেও’র সদস্যদেরকে দেশটিতে বসবাস করার সুযোগ করে দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে ইরাকের তৎকালীন নূরি আল-মালিকি সরকার এমকেও’র সন্ত্রাসীদের ইরাক থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এ সময় ইরানবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা এসব সন্ত্রাসীকে গ্রহণ করার জন্য আলবেনিয়াকে অনুরোধ জানায়। আলবেনিয়া মার্কিন অনুরোধে এমকেওকে ‘কয়েক বছরের জন্য’ থাকার অনুমতি দেয়।

গত ২০ জুন আলেবেনিয়ার পুলিশ এমকেওর একটি ক্যাম্পে অভিযান চালায়। বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী ও সাইবার হামলা চালানোর’ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ওই অভিযান চালায় আলবেনিয়ার পুলিশ। রাজধানী তিরানার শহরতলীতে ‘আশরাফ-৩’ নামক ক্যাম্পে চালানো ওই অভিযানের সময় সংঘর্ষে একজন এমকেও সন্ত্রাসী নিহত ও কয়েক ডজন লোক আহত হয়। আলবেনিয়ার পুলিশ সন্ত্রাসী তৎপরতায় ব্যবহার করার অভিযোগে ক্যাম্পটি থেকে ১৫০টি কম্পিউটার জব্দ করে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।