দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্য
ব্রিকসে নতুন সদস্য গ্রহণে নীতিগত সম্মতি; ‘আজ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা’
উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সংস্থা ব্রিকসের শীর্ষ নেতারা এই সংস্থায় নতুন সদস্য গ্রহণ করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে চলমান ১৫তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে গতকাল (বুধবার) এ সিদ্ধান্ত নেন নেতৃবৃন্দ।
দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেলাদি প্যান্ডর এ খবর জানিয়ে বলেছেন, এর ফলে ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী কয়েক ডজন দেশের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা ব্রিকসের সম্প্রসারণের ব্যাপারে একমত হয়েছি।” ইরান, আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৪০ দেশ ব্রিকসে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক আবেদন জানিয়েছে বলে এর আগে খবর দিয়েছিলেন প্যান্ডর।
প্যান্ডর গতকাল আরো বলেন, বৃহস্পতিবার (আজ) শীর্ষ সম্মেলন শেষ হওয়ার আগে ব্রিকসের শীর্ষ নেতারা এটির সম্প্রসারণ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে বহুল আলোচিত সংস্থা ব্রিকস গঠিত। এই পাঁচ দেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ বসবাস করে এবং বিশ্বের মোট জিডিপির এক-চতুর্থাংশ এসব দেশে উৎপাদিত হয়।
সদস্য দেশগুলোর আলাদা আলাদা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রাধিকার থাকা সত্ত্বেও বিশেষ করে ভারত ও চীনের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকলেও পাঁচ দেশই সংস্থাটিতে নতুন সদস্য গ্রহণ করার পক্ষপাতী। ব্রিকসকে পশ্চিমা আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী জোট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর পাঁচ সদস্যদেশই বিশ্বব্যাপী আমেরিকার একাধিপত্যের বিরোধী।
বুধবারের শীর্ষ সম্মেলনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ অংশগ্রহণ করেন। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকায় তিনি জোহানেসবার্গে যাওয়ার ঝুঁকি নেননি।#
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/২৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।