পাকিস্তানে সরকার গঠনের আলোচনা
পালাক্রমে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার কথা ভাবছে পিএমএল-এন ও পিপিপি
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের পর সরকার গঠন নিয়ে বিভিন্ন দলের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। নানা সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার পর এবার ক্ষমতা ভাগাভাগির আওতায় অর্ধমেয়াদে পালাক্রমে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা ভেবে দেখছে নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি।
সংবিধান মোতাবেক, নির্বাচনী দিনের পর থেকে তিন সপ্তাহ বা ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকার গঠন করতে হবে।
স্বতন্ত্রদের পর নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও তৃতীয় স্থান পাওয়া পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) সরকার গঠনে পরস্পরকে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।
নিজ নিজ দল থেকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি জানাচ্ছে দুই দলই। সেক্ষেত্রে এই সমস্যা সমাধানে ক্ষমতা ভাগাভাগির আওতায় অর্ধমেয়াদে পালাক্রমে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
পাকিস্তানের জিও টিভি জানিয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর ক্ষমতা ভাগাভাগির ফর্মুলা নিয়ে রোববার বৈঠক করেছে দুই দল।
এ ফর্মুলার আওতায় কেন্দ্র ও প্রদেশে জোট সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদের অর্ধেক সময়ের জন্য পিপিপি এবং বাকি অর্ধেক সময়ের জন্য পিএমএল-এন তাদের দল থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবে- এমন সম্ভাবনা নিয়ে দুপক্ষ আলোচনা করেছে।
এর আগে, ২০১৩ সালে বেলুচিস্তানে পিএমএল-এন এবং ন্যাশনাল পার্টি (এনপি) মিলে প্রথম ক্ষমতা ভাগাভাগি ফর্মুলার মাধ্যমে সরকার গঠন করেছিল। তখন দু’দলের দুই মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদের অর্ধেক সময়ের জন্য পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
রোববার লাহোরের বিলাওয়াল হাউজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দু’পক্ষই জোট সরকার গঠনের ওপর জোর দিয়েছে। এর ব্যতিক্রম হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত স্বতন্ত্ররা ক্ষমতায় চলতে আসতে পারে বলে তাদের মধ্যে আশঙ্কা কাজ করছে। ইমরান খানের দলকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে এই দুই দল সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ইমরান খানের সমর্থনপুষ্ট স্বতন্ত্র এমপিরা সংসদের সংরক্ষিত আসনের ভাগ পেতে কোনো একটি দলে যোগ দিতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।#
পার্সটুডে/এসএ/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।