পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর মিথ্যা প্রচার অবসানের সময় কি আসেনি?
https://parstoday.ir/bn/news/world-i137858-পশ্চিমা_মিডিয়াগুলোর_মিথ্যা_প্রচার_অবসানের_সময়_কি_আসেনি
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউরোনিউজ চ্যানেল বারবার গাজার ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বিক্ষোভ সম্পর্কিত খবরাখবর প্রচার করছে ঠিকই কিন্তু এটাকে তারা মানবাধিকারের প্রতি পশ্চিমা সরকারী প্রতিষ্ঠানের সম্মানের চিহ্ন হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
(last modified 2025-08-13T10:49:37+00:00 )
মে ২১, ২০২৪ ১৮:২৩ Asia/Dhaka
  • পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর মিথ্যা প্রচার অবসানের সময় কি আসেনি?
    পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর মিথ্যা প্রচার অবসানের সময় কি আসেনি?

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউরোনিউজ চ্যানেল বারবার গাজার ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বিক্ষোভ সম্পর্কিত খবরাখবর প্রচার করছে ঠিকই কিন্তু এটাকে তারা মানবাধিকারের প্রতি পশ্চিমা সরকারী প্রতিষ্ঠানের সম্মানের চিহ্ন হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।

গাজায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং রাফাহ শহরে যেখানে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে সেখানে ইসরাইলি সেনাদের বর্বরোচিত আগ্রাসন সারা বিশ্বের মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।

এরই ভিত্তিতে, ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিষ্ঠানের একদল কর্মচারী গাজার ফিলিস্তিনিদের দুর্দশায় শোক প্রকাশ করে এ ঘটনাকে তারা 'ইউরোপীয় মূল্যবোধের মৃত্যু' বলে অভিহিত করে কিছু সময়ের জন্য মৌন মিছিল করেছে।

ইউরোনিউজসহ অন্যান্য পশ্চিমা মিডিয়া পূর্ব রাফায় সম্প্রতি ইসরাইলি হামলাকে গুরুত্বহীন করে দেখানো এবং খুব সীমিত এলাকায় এটি পরিচালিত হচ্ছে বলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।

অন্য কথায়, পশ্চিমা মিডিয়া বিশ্ববাসীর কাছে এই মিথ্যা তুলে ধরার চেষ্টা করছে যে রাফাহ শহরে যুদ্ধ যেভাবে হওয়া উচিত ছিল তা এখনও হয়নি!

এর বাইরেও, বিশ্বের মানুষের এখনো এটা মনে আছে কিভাবে যুদ্ধের দ্বিতীয় মাসে এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ হওয়ার পরেও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুল্টজ গাজা উপত্যকায় প্রকাশ্য গণহত্যাকে ইহুদিবাদীদের বৈধ প্রতিরক্ষা হিসাবে বিবেচনা করেছেন যা খুবই বিস্ময়কর।

সেই সময়ে, ইসরাইলি আগ্রাসনের ব্যাপারে ইউরোনিউজ জার্মান চ্যান্সেলর শুল্টজের এ বক্তব্যকে 'সঠিক' বলে অভিহিত করে অত্যন্ত উৎসাহের সাথে সেটাকে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু ইউরোপীয় দেশে সাম্প্রতিক ছাত্র বিক্ষোভের সময়, ইউরোনিউজ এই ধরনের বিক্ষোভকে ইহুদি বিরোধিতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসাবে প্রচার চালিয়েছে। এমনকি প্রতিবাদী ছাত্রদের দমন ও গ্রেপ্তার করর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অনুপ্রবেশকে সমর্থন করেছে।

এমতাবস্থায় ফিলিস্তিনের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো কোনো সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের লোক দেখানো নীরব সমর্থন বিশ্ব জনমতকে উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়। এমনকি তারা জনগণর বিক্ষোভের সময় নীরব থাকায় ইসরাইল এরও সমালোচনা করেছে। 

এ ছাড়া, ইউরোনিউজ এবং অন্যান্য ইউরোপীয় মিডিয়া গাজার গণহত্যায় জার্মানি ও ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভূমিকার বিষয়টি এবং ইসরাইলকে রসদ ও যুদ্ধাস্ত্র দেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।

ইউরোপীয় রাজনৈতিক দল ও মিডিয়ার উপর আধিপত্য বিস্তারকারী ইহুদিবাদী লবিগুলো গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নীরব বিক্ষোভে শুধু যে অসন্তুষ্টই তাই নয়, তারা এটাকে রাফাহ হামলার সময় তাদের বিষাক্ত প্রচারণার হাতিয়ার বলে মনে করে।

ইউরোনিউজের নতুন লক্ষ্য হল পশ্চিমে ইহুদীবাদ বিরোধী বিক্ষোভের মাত্রা কমিয়ে আনা এবং পরবর্তীকালে ছাত্র বিক্ষোভকে উগ্র ও অযৌক্তিক দেখানো।

যাইহোক, গাজা যুদ্ধ ইউরোপীয় এবং আমেরিকান দেশগুলোর জনগণের সচেতনতা সৃষ্টির ঐতিহাসিক ঘটনা যা পরিস্থিতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে এবং এই সম্মিলিত চেতনার ফলাফল হবে পশ্চিমা মিডিয়া সিস্টেমের ধ্বংস।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।