'তেলআবিবের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনই গাজার যুদ্ধকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে'
বাইডেনের গাজা-নীতির বিরুদ্ধে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীতে অসন্তোষ অব্যাহত
একজন বিশিষ্ট মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাইডেন সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন: তেলআবিবের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনই গাজার যুদ্ধকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে
হ্যারিসন ম্যান মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের একজন সাবেক মেজর। তিনি ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সরকারের সমর্থনের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, তেলআবিবের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনই গাজার যুদ্ধকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।
পার্সটুডে জানিয়েছে, হ্যারিসন গত ১৩ মে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের প্রতি মার্কিন সরকারের সহায়তার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন। তার এই পদত্যাগের পর গাজার চলমান ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের দিকে মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের অনেকেরই দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীর বহু সদস্যই মার্কিন সরকারের ইসরাইল-নীতির প্রতি অসন্তুষ্ট বলে হ্যারিসন জানান।
হ্যারিসন ১৩ বছর ধরে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করেছেন। পদত্যাগ-পত্রে তিনি লিখেছেন: ইসরাইলের প্রতি বাইডেন সরকারের অগ্রহণযোগ্য সমর্থনের কারণে গাজার হাজার হাজার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি হত্যা ও অনাহারের শিকার।
কিছুকাল আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরবিভাষী মুখপাত্র হালা গ্বারিত গাজার ব্যাপারে বাইডেন সরকারের নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন। আরও আগে তিন জন মার্কিন কর্মকর্তা ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সহায়তা ও সমর্থনের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন।
গাজার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ ও প্রায় এক লাখ ব্যক্তি আহত হয়েছে। মজলুম ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে দখলদার ও বর্ণবাদী ইসরাইলকে সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সরকারগুলো।
ইসরাইলের অস্তিত্ব গড়ে ওঠে ১৯১৭ সালে উপনিবেশবাদী ব্রিটেনের ব্যালফোর নামক ঘোষণার আলোকে এবং বিশ্বের নানা অঞ্চল থেকে ইহুদিদেরকে ফিলিস্তিনে অভিবাসন করতে উৎসাহ যুগিয়ে। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল তার অস্তিত্ব ঘোষণা করে। সেই থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার এবং গোটা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডগুলোকে দখলে নেয়ার নানা ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।