ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান একটি আইনি এবং নৈতিকভাবে বাধ্যতামূলক পদক্ষেপ: আর্চবিশপ
(last modified Sat, 03 Aug 2024 11:51:43 GMT )
আগস্ট ০৩, ২০২৪ ১৭:৫১ Asia/Dhaka
  • ইংল্যান্ডের ক্যান্টারবেরি চার্চের আর্চবিশপ
    ইংল্যান্ডের ক্যান্টারবেরি চার্চের আর্চবিশপ

পার্সটুডে: ইংল্যান্ডের ক্যান্টারবেরি চার্চের আর্চবিশপ বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে ইহুদিবাদী ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠীর মাধ্যমে জোরপূর্বক দখল করে রাখা ফিলিস্তিনি ভূমি উদ্ধারের বিষয়টি এখন একটি আইনি ও নৈতিক প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছে।

ইংরেজি সংবাদপত্র টেলিগ্রাফ সম্প্রতি এক খবরে লিখেছে,  জাস্টিন ওয়েলবি জাতিসংঘের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেছেন যেখানে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরাইলের উপস্থিতিকে 'অবৈধ' ঘোষণা করা হয়েছে এবং এই দখলদারিত্বের অবসানের দাবি জানানো হয়েছে। পার্সটুডে এবং ইরনা অনুসারে, ওয়েলবি ইংল্যান্ডসহ জাতিসংঘের সদস্যদেরকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের অ-বাধ্যতামূলক রায়ের প্রতি 'ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া' দিতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের বিচারকদের প্যানেল সম্প্রতি তার রায়ে ঘোষণা করেছে যে ইসরাইলি সরকারকে অবিলম্বে সমস্ত নতুন বসতি কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং দখলকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্যমূলক আইন ও ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।

ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস তার বিবৃতিতে বলেছে,  "অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উপর স্থায়ী নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রনের অধিকার লঙ্ঘন করার মাধ্যমে ইসরাইলের শাসকগোষ্ঠী একটি দখলকারী শক্তি হিসাবে তার অবস্থানের ক্রমাগত অপব্যবহার করছে।'

ক্যান্টারবেরির বিশপ যোগ করেছেন, এমন একটি বিশ্বে প্রতিরোধ করার জন্য যেখানে নির্যাতন, জিম্মি করা এবং নির্বিচার সহিংসতার মতো ক্রিয়াকলাপ স্বাভাবিক হয়ে গেছে, আমাদেরকে অবশ্যই ভয় বা সুবিধা ছাড়াই আইন মেনে চলতে হবে। কিন্তু এখন দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক আইনগুলোকে বেছে বেছে পদ্ধতিগতভাবে প্রয়োগ ও সমর্থন করা হচ্ছে যা আমাদের সাধারণ শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে তুলেছে। এখন সময় এসেছে এই গভীর ধ্বংসাত্মক প্রবণতাকে পরিবর্তন করা।

তার মতে, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে অধিকৃত ভূমিগুলোতে তার সফরগুলোর মাধ্যমে এটা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন যে  যে  ইসরাইলি মন্ত্রিসভার মাধ্যমে অধিকৃত অঞ্চলে আরোপিত শাসনের ফলে ফিলিস্তিনিরা ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হয়েছে। এছাড়া ইসরাইলি সরকার অবৈধ বসতি স্থাপনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার ইচ্ছাকে অস্বীকার করেছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত করেছে এবং একটি সামরিক শাসন চাপিয়েছে যার মাধ্যমে তাদের ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা লঙ্ঘন করছে।

তার বক্তৃতার অন্য অংশে, চার্চ অফ ইংল্যান্ডের আর্চবিশপ বলেছেন, ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে আমি বিশেষভাবে সচেতন। এটি এমন একটি সমস্যা যা তাদের ভবিষ্যত জীবনকে হুমকির সম্মুখীন করে তুলছে। এটা স্পষ্ট যে দখলদারিত্বের অবসান একটি আইনি এবং নৈতিকভাবে বাধ্যতামূলক পদক্ষেপ হওয়া উচিত।#

 

পার্সটুডে/এমবিএ/৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।`