সাম্প্রদায়িক,যুদ্ধবাজ ও অপরাধী
শিয়া এবং আহলে বাইতের অনুসারীদের বিরুদ্ধে মার্কিন গণমাধ্যমে ৩টি বড় মিথ্যাচার
পার্সটুডে - একটি সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে যে মার্কিন গণমাধ্যম শিয়া এবং আহলে বাইতের অনুসারীদের বিভিন্ন ইস্যুকে কঠোরভাবে আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করার চেষ্টা করছে।
"প্রকৃত বাস্তবতা এবং মার্কিন গণমাধ্যমে শিয়াদের পরিচিতি" নামক একটি গ্রন্থেরে লেখক বলেছেন, মার্কিন মিডিয়ায় ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রচারিত আহলে বাইতের অনুসারী শিয়াদের সম্পর্কে দশ বছরের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, শিয়া মাজহাবের অনুসারীদের ব্যাপারে মার্কিন মিডিয়ায় নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতার কোন চিহ্ন নেই। পার্সটুডে অনুসারে, "মোহাম্মদ সাহেব বায়ানী" এবং "সৈয়দ সাঈদ হাশেমি নাসাব" এর পর্যালোচনার ফলাফলের ভিত্তিতে এই বইটির লেখক দেখিয়েছেন যে, মার্কিন মিডিয়া শিয়া মাজহাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অর্থাৎ "বেলায়েতে ফকিহ" পদ্ধতিকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ইসলামকে স্বৈরতান্ত্রিক, যুদ্ধবাজ এবং অপরাধীদের প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে।
এই বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন মিডিয়া মুসলিম বিশ্বে ‘জিহাদ ও প্রতিরোধের’ বিষয়টিকে সন্ত্রাসবাদ, শিয়া-সুন্নিদের মধ্যকার প্রতিযোগিতা, সুন্নিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ, পশ্চিম এশিয়ায় অস্থিতিশীলতা এবং সাম্প্রদায়িকতার কারণ হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
আমেরিকার গণমাধ্যম ইমাম হোসেন (আ.)এর শাহাদাতের চল্লিশা অর্থাৎ আরবাইন এবং আশুরার আচার-অনুষ্ঠানগুলোকে "ক্ষমতা লাভ এবং শিয়াদের ও আহলে বাইতের অনুসারীদের শক্তি প্রদর্শনের একটি প্লাটফর্ম হিসাবে অভিহিত করে দাবি করেছে বিপ্লবী শিয়াদের হাতে সবকিছু জিম্মি হয়ে আছে।
এইসব ভুল ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে মার্কিন গণমাধ্যম মুসলিম বিপ্লবীদেরকে স্বাধীনতা, বিদেশি বিরোধী, মার্কিন ও ইহুদি বিরোধী হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
এই বইতে মুসলিম সমাজে বিভেদ সৃষ্টির জন্য পশ্চিমা গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তারা মুসলিম উম্মহার আদর্শ ও ঐক্যকে টার্গেট করে তাদের ভাষায় শিয়া ইরানের আধিপত্যবাদ, শিয়া ক্রিসেন্ট, ইরানি শাসন ও শিয়া খেলাফত প্রভৃতি নামে শিয়াদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
এই বইয়ের তথ্য অনুযায়ী,সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো নরম ও কঠিন এ দুটি পদ্ধতিতে ইসলামি রাজনীতি বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব থেকে শিয়া বিপ্লবের আদর্শকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।
পাশ্চাত্য ইরানের বিরুদ্ধে নরম পদ্ধতি অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞা এবং কঠিন পদ্ধতি অর্থাৎ সামরিক পন্থা অনুসরণ করে আসছে।#
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।