গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে: কাতার
(last modified Wed, 15 Jan 2025 03:31:19 GMT )
জানুয়ারি ১৫, ২০২৫ ০৯:৩১ Asia/Dhaka
  • গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে: কাতার

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস একটি চুক্তির ‘সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে’ রয়েছে বলে কাতারের একজন কর্মকর্তা খবর দিয়েছেন।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি মঙ্গলবার দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ খবর দিয়ে বলেছেন, দুই পক্ষ আলোচনায় এতটা অগ্রসর আর কখনও হয়নি। তিনি বলেন, “আমি যখন কথা বলছি তখন আমি এ বিষয়টি নিশ্চিত করছি যে, দোহায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।”

কাতারের রাজধানী দোহায় স্বাগতিক দেশের পাশাপাশি মিশর ও আমেরিকার মধ্যস্থতায় গত বেশ কিছুদিন ধরে হামাস ও ইসরাইলি প্রতিনিধিদের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চলছে। চুক্তির প্রধান বাধাগুলো অপসারিত হয়েছে জানিয়ে আনসারি বলেন, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির চূড়ান্ত ধারাগুলো নিয়ে বর্তমানে কাজ চলছে।

চুক্তির বিস্তারিত তুলে না ধরে কাতারের এই সিনিয়র কূটনীতিক বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে এমন কিছু বিষয় ছিল যেগুলো বিগত কয়েক মাস ধরে সমাধান করা যাচ্ছিল না কিন্তু গত দু’সপ্তাহে সেসব সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। তবে চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সমাজকে তাদের আকাঙ্ক্ষার পারদ নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র।

মাজেদ আল-আনসারি আলোচ্য চুক্তির বিস্তারিত না জানালেও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, গাজায় কয়েক ধাপে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়িত হবে। এর প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এ সময়ে হামাস ৩৩ জন ইসরাইলি পণবন্দিকে মুক্তি দেবে। এর বিনিময়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়ার পাশাপাশি গাজার জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সেনা সরিয়ে নেবে এবং উত্তর গাজার অধিবাসীদেরকে তাদের ঘরবাড়িতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেবে। সেইসঙ্গে প্রতিদিন গাজায় ৬০০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেবে তেল আবিব।

পরবর্তী ধাপগুলোতে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে এবং স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ হবে বলে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। সম্ভাব্য চুক্তির ধরন দেখে মনে হচ্ছে, এতে হামাসের বেশিরভাগ দাবি মেনে নেয়া হয়েছে।#

 পার্সটুডে/এমএমআই/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।