ট্রাম্প বেকুব নাকি দুর্বৃত্ত; বিশ্লেষকরা কী বলছেন?
-
ট্রাম্প
পার্সটুডে- যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিশ্লেষক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুরোপুরি বেকুব বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ডেভিড ব্রুকস বলেছেন, ট্রাম্পের আচরণ দেখে তাকে বেকুব বলব নাকি বদমাশ বলব তা নিয়ে এক ধরণের দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগতে হয়। তবে ট্রাম্প আসলে একজন বেকুব।
পার্সটুডে জানিয়েছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের কলামিস্ট ডেভিড ব্রুকস লিখেছেন- 'যারা বদমাশ বা দুর্বৃত্ত তারা বদমাশি করলেও নিজের স্বার্থের বিষয়ে সতর্ক থাকে। কিন্তু বেকুব লোকদের বোকামির কোনও সীমা থাকে না। তারা নিজের এবং দেশের স্বার্থকেও জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়। ট্রাম্প অবশ্যই এই এই গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মানুশেহ শফিকও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে একজন বেকুব বা নির্বোধ বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে, ট্রাম্প নিজের দেশকে বিতর্কিত এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে শূন্য করে দিয়েছেস। শফিক আরও বলেছেন, মনে হচ্ছে ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বে দানবীয় যুগের সূচনা করেছেন!
আমেরিকার আরেক বিশিষ্ট কলামিস্ট ও বিশ্লেষক থমাস ফ্রিডম্যান বলেছেন, ট্রাম্প আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকতে চান। ট্রাম্প সত্যিই বিশ্বকে তার ট্রাম্প টাওয়ারের একটা দোকান হিসেবে গণ্য করেন। তিনি এমনভাবে কথা বলে যেন তিনি ফ্রান্সকে বলছেন, তুমি তোমার বাগেটের দোকানের জন্য যথেষ্ট ভাড়া দিচ্ছ না!
তার মতে, ট্রাম্প ইউরোপকে এমন একটি বাণিজ্যিক ব্লক বা জোট হিসেবে দেখছেন যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর অনেক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই তিনি এই জোটকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করতে চান। জোট ভাঙার পর তিনি এই দেশগুলোর প্রত্যেকটির সাথে পৃথকভাবে আলোচনা করতে চান। কিন্তু এর পরিণতি সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই।
এ প্রসঙ্গে আমেরিকা অঞ্চল বিষয়ক ইরানি বিশ্লেষক আমির আলী আবুল ফাত্তাহ সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, "ট্রাম্প আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চান। সেই পদটা প্রেসিডেন্টও হতে পারে, আবারও রাজাও হতে পারে। এটা সামরিক অভ্যুত্থান অথবা মার্কিন সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া সম্ভব নয়। প্রথমটির জন্য সেনাবাহিনীর সমর্থন প্রয়োজন, যা সামরিক বাহিনী করবে না। আর দ্বিতীয়টির জন্য কংগ্রেস এবং অঙ্গরাজ্যগুলোর জন্য সমর্থন প্রয়োজন, যেটা তা করবে না।"
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ আব্দুর রেজা ফারাজিরাদও বিশ্বাস করেন, ট্রাম্প ঔপনিবেশিক নীতি অনুসরণ করছেন। তিনি বলেন: "মার্কিন প্রেসিডেন্টের মূল লক্ষ্য হলো দেশের ভেতরে জনমতকে নিজের পক্ষে রাখা এবং ভোট ব্যাংক রক্ষা করা"। তার মতে, ট্রাম্প সাময়িকভাবে কর্তৃত্ববাদী এবং বলদর্পী নীতি অনুসরণ করছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিশ্লেষক জেরার্ড বেকার বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর কথা উল্লেখ করে বলেন, এটা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে বোকামিপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে মার্কিন অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হবে।#
পার্সটুডে/এসএ/২৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।