আফ্রিকায় ড্রোন যুদ্ধের পেছনে কোন দেশগুলো জড়িত?
(last modified Tue, 11 Mar 2025 10:10:29 GMT )
মার্চ ১১, ২০২৫ ১৬:১০ Asia/Dhaka
  • আফ্রিকায় ড্রোন যুদ্ধের পেছনে কোন দেশগুলো জড়িত?
    আফ্রিকায় ড্রোন যুদ্ধের পেছনে কোন দেশগুলো জড়িত?

পার্সডুডে: একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম আফ্রিকায় সস্তা ড্রোনের অনিয়ন্ত্রিত বিস্তার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন ছেপেছে।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র দি গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে লিখেছে, "আফ্রিকায় কোনও নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই সামরিক ড্রোনের বিস্তার অব্যাহত রয়েছে এবং মহাদেশ জুড়ে সামরিক ড্রোন হামলায় প্রায় ১,০০০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।" পার্সটুডে অনুসারে ২০২৪ সালের নভেম্বরে শেষ হওয়া তিন বছরে আফ্রিকায় সশস্ত্র বাহিনীর দ্বারা কমপক্ষে ৫০টি গুরুতর হামলা রেকর্ড করা হয়েছে। গার্ডিয়ানের উদ্ধৃতি দিয়ে আইএসএনএ জানিয়েছে, আফ্রিকার বেশিরভাগ সামরিক ড্রোন তুরস্ক এবং চীন থেকে আমদানি করা হয়। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই ড্রোনগুলো অনেক দূরত্বে দীর্ঘ ঘন্টা ধরে উড়তে, গোয়েন্দা অভিযান এবং বিমান হামলা পরিচালনা করতে সক্ষম।

এখন পর্যন্ত আফ্রিকার অন্তত ছয়টি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে সামরিক ড্রোন ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, সুদান, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, মালি, বুরকিনা ফাসো এবং ইথিওপিয়া হল আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে  অন্যতম যেখানে সবচেয়ে বেশি ড্রোন হামলা দেখা গেছে। টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের মতো গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ইথিওপীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২৬টি পৃথক ড্রোন হামলায় ৪৯০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। অন্যত্র,দেশের উত্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে মালির সশস্ত্র বাহিনীর নয়টি ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।

বুরকিনা ফাসো বিষয়ে গবেষকরা আরও জানিয়েছেন যে দেশটির সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় ১০০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। 

সুদানের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, যেমন খার্তুমের বাজারগুলোতে এই ড্রোনগুলোর ব্যবহার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনেছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী চীনা এবং তুর্কি ড্রোন ব্যবহার করেছে, অন্যদিকে র‍্যাপিড অ্যাকশন বাহিনী সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরবরাহকৃত ড্রোন ব্যবহার করেছে।

এই প্রতিবেদন অনুসারে বুরকিনা ফাসোতে দেশটির সামরিক বাহিনী তাদের যুদ্ধে তুর্কি-নির্মিত "বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন" ব্যবহার করেছে। তবে,মাঠ পর্যায়ের সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছে যার মাধ্যমে এটা দেখায় যে এসব ড্রোন হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা বেশি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ২০২৩ সালের আগস্টে সাহেল অঞ্চলে এক হামলায় বোরো গ্রামের একটি বাজার লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয় যেখানে কমপক্ষে ২৮ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়।

ব্রিটিশ ড্রোন ওয়ারফেয়ার গ্রুপের বিশ্লেষক কোরা মরিস এই বিষয়ে বলেছেন,  ইউক্রেন যুদ্ধে সামরিক ড্রোনের ব্যবহারের সম্প্রসারণ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে কিন্তু আফ্রিকায় তুরস্কের বায়রাক্টর টিবি২ ড্রোন সহ সস্তা আমদানি করা ড্রোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের দিকে পর্যাপ্ত মনোযোগ দেওয়া হয়নি।#

পার্সটুডে/এমবিএ/১১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।