নয়া মার্কিন কৌশল: চীনা হামলার ভয় দেখিয়ে এশিয়ায় অস্ত্র বিক্রির পাঁয়তারা
(last modified Sat, 31 May 2025 11:06:30 GMT )
মে ৩১, ২০২৫ ১৭:০৬ Asia/Dhaka
  • মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ
    মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ

পার্সটুডে- মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ দাবি করেছেন, চীনের হুমকি মোকাবেলার জন্য আমেরিকার এশীয় মিত্রদের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করতে হবে। আমেরিকা যে এশিয়া মহাদেশে অস্ত্র বিক্রি বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে তা এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট।  

বার্তা সংস্থা ইরনা'র বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে- মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শনিবার বলেছেন, চীনের হুমকি আসন্ন এবং তা বাস্তব। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন মিত্রদেরকে তাদের নিরাপত্তার জন্য আরও বেশি ব্যয় করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি সিঙ্গাপুরে এক সমাবেশে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

পিট হেগসেথ চীনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, বাড়াবাড়ি করার কোনো কারণ নেই। চীন যে হুমকি তৈরি করেছে তা বাস্তব।

তিনি আরও বলেন, তাইওয়ান জয় করার জন্য চীনের যেকোনো প্রচেষ্টা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তথা বিশ্বের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।

চীন তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে এবং প্রয়োজনে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগেরও হুমকি দিয়েছে বেইজিং। এর অংশ হিসেবে তাইওয়ানের আশেপাশে সামরিক মহড়া বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। কিন্তু তাইওয়ান সরকার চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, কেবল দ্বীপের জনগণই এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।

পিট হেগসেথ বলেছেন- এটা সবার কাছে স্পষ্ট হওয়া উচিত যে, চীন ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তনের জন্য সামরিক শক্তির সম্ভাব্য ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সামরিক ব্যয় না বাড়ানোয় ইউরোপীয় দেশগুলোর সমালোচনা করেছিলেন। তিনি ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বোকার মতো আচরণ না করার জন্যও সতর্ক করেছিলেন।

এদিকে, শুক্রবার সিঙ্গাপুরে সম্মেলনে বক্তৃতাকালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছেন, ইউরোপকে সামরিক ব্যয় বাড়ানোর জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন তা সমর্থনযোগ্য, তিনি সঠিক আহ্বানই জানিয়েছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৯ সালে তিনটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এক চীন নীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং তাইওয়ানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা এক চীন নীতির বিপরীতে পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরিমধ্যে আমেরিকা তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছে, তাইওয়ানের সাথে কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপন করেছে এবং দ্বীপের সাথে সম্পর্ক জোরদার করেছে।#

পার্সটুডে/এসএ/৩১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।