আফগানিস্তান: যুদ্ধক্ষেত্র এখন ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার অঙ্গন
https://parstoday.ir/bn/news/world-i152812-আফগানিস্তান_যুদ্ধক্ষেত্র_এখন_ভূ_রাজনৈতিক_প্রতিযোগিতার_অঙ্গন
পার্সটুডে- মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চার বছর পর আফগানিস্তান আবারও বৃহৎ শক্তিগুলোর মনোযোগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আফগানিস্তান এখন একটি ঐতিহাসিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে—নিরাপত্তা সমস্যার উত্তরণ ঘটিয়ে কৌশলগত সুযোগের দেশে পরিণত হচ্ছে আফগানিস্তান।
(last modified 2025-10-09T14:42:13+00:00 )
অক্টোবর ০৯, ২০২৫ ১৯:০৫ Asia/Dhaka
  • আফগানিস্তান: যুদ্ধক্ষেত্র এখন ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার অঙ্গন
    আফগানিস্তান: যুদ্ধক্ষেত্র এখন ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার অঙ্গন

পার্সটুডে- মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চার বছর পর আফগানিস্তান আবারও বৃহৎ শক্তিগুলোর মনোযোগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আফগানিস্তান এখন একটি ঐতিহাসিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে—নিরাপত্তা সমস্যার উত্তরণ ঘটিয়ে কৌশলগত সুযোগের দেশে পরিণত হচ্ছে আফগানিস্তান।

লিথিয়াম ও তামার বিশাল মজুদ এবং অনন্য ট্রানজিট রুট দেশটিকে আবারও বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। পার্সটুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন তালেবান সরকারের রাষ্ট্রদূতকে স্বীকৃতি দিয়ে এবং কাবুলকে “বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ”-এ যোগদানের আহ্বান জানিয়ে আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা পালনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, রাশিয়া তালেবানকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দিয়ে এবং তাদেরকে “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মিত্র” হিসেবে বর্ণনা করে মধ্য এশিয়ায় নিজের প্রভাব স্থায়ী করতে চায়।

ভারতও যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও কাবুলে তাদের দূতাবাস চালু করে এবং তালেবান রাষ্ট্রদূতকে গ্রহণ করে নতুন আঞ্চলিক বাস্তবতায় অংশগ্রহণের বাস্তব পদক্ষেপ নিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে তালেবানের টানাপোড়েন নয়াদিল্লির জন্য একটি নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।

মধ্য এশিয়ার দেশগুলোও নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করে তালেবানকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া থেকে শুরু করে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মতো পদক্ষেপ নিচ্ছ, তারা আফগানিস্তানের ট্রানজিট সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চায়।

এসব দেশ আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা চায়, কিন্তু তালেবানদের আচরণ নিয়েও তাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও এই প্রক্রিয়া প্রমাণ করে, আফগানিস্তানকে আর উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। এখন আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, বরং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও কৌশলগত আলোচনার টেবিলে।

তালেবান-শাসিত আফগানিস্তান এখন বহুপক্ষীয় আঞ্চলিক আলোচনাতে ব্যাপক গুরুত্ব পাচ্ছে। আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ এখন আর শুধু কাবুলে নির্ধারিত হচ্ছে না। মস্কো থেকে বেইজিং, তেহরান থেকে তাশখন্দ—সব আঞ্চলিক কেন্দ্র এখন আফগানিস্তানের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। এই পদক্ষেপ আফগানিস্তানকে বিচ্ছিন্নতা থেকে বের করে এনে ধীরে ধীরে আঞ্চলিক প্রক্রিয়ায় একীভূত করার পথ সুগম করতে পারে।#

পার্সটুডে/এসএ/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।