যে সম্পদ জার্মান জনগণকে আরও দরিদ্র করে তুলছে
https://parstoday.ir/bn/news/world-i153478-যে_সম্পদ_জার্মান_জনগণকে_আরও_দরিদ্র_করে_তুলছে
পার্সটুডে-জার্মানি উচ্চ সম্পদ উৎপাদন এবং অন্যায্য আয় বণ্টনের এক দুষ্টচক্রের ঘেরাটোপে আটকা পড়েছে।
(last modified 2025-10-28T12:07:54+00:00 )
অক্টোবর ২৮, ২০২৫ ১৮:০৪ Asia/Dhaka
  • জার্মানিতে বৈষম্য
    জার্মানিতে বৈষম্য

পার্সটুডে-জার্মানি উচ্চ সম্পদ উৎপাদন এবং অন্যায্য আয় বণ্টনের এক দুষ্টচক্রের ঘেরাটোপে আটকা পড়েছে।

পার্সটুডে'র পূর্ববর্তী প্রতিবেদনগুলোতে জার্মান সমাজের বেশ কয়েকটি আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ এবং সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে সহিংসতা থেকে শুরু করে জার্মান কোম্পানিগুলোর দেউলিয়া হওয়া পর্যন্ত বিষয়গুলো প্রমাণ করছে ইউরোপ সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানা সংকটের মুখোমুখি। জার্মানিতে বৈষম্য, বিশেষ করে লিঙ্গ বৈষম্য সম্পর্কে BPB (সিভিক এডুকেশন এজেন্সি) এর এক প্রতিবেদনে জার্মানিতে আয়ের অন্যায্য বণ্টন থেকে উদ্ভূত সংকটের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।

জার্মান বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানিতে বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। জার্মান BPB (সিভিক এডুকেশন এজেন্সি) ওয়েবসাইট জানিয়েছে, জার্মানির জনসংখ্যার উপরের এক-দশমাংশ মোট ব্যয়যোগ্য আয়ের ২৩ শতাংশ পায়; যেখানে নীচের দুই-দশমাংশ একসাথে মাত্র ৯ শতাংশ পায়। এই পরিসংখ্যানগুলোর অর্থ হল জার্মানিতে দারিদ্র্যের ঝুঁকি তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, জার্মানিতে বসবাসকারী সকল মানুষের শতকরা প্রায় ১৫ শতাংশ দারিদ্র্যের ঝুঁকিতে রয়েছে।

জার্মানিতে লিঙ্গ বৈষম্যও বাড়ছে। ২০২৩ সালে মহিলারা ঘন্টার হিসেবে কম মজুরি (লৈঙ্গিক বেতন বৈষম্য) এবং কম কর্মঘণ্টার কারণে নারীরা পুরুষদের তুলনায় প্রায় ৩৯ শতাংশ কম আয় করেছিলেন। ২০২৩ সালে জার্মান নারীদের কম আয় কেবল শ্রমবাজারে থাকার সম্ভাবনা কম থাকার কারণেই নয় বরং তাদের মজুরি ঘন্টার হিসেবে পুরুষদের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ কম থাকার কারণেও ছিল!

জার্মান সমাজে নাগরিক শিক্ষার জন্য নিজেকে দায়ী মনে করে বিপিবি লিঙ্গ বৈষম্য সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জের বিষয় বলেছে, সম্পদ বন্টন সূচকে লিঙ্গ বৈষম্য আয় বন্টনের চেয়েও খারাপ এবং আরও বেশি অসম। এর অর্থ হল সমাজের শীর্ষ স্তরের লোকেরা প্রায় ৬৮ শতাংশ সম্পদের মালিক, যেখানে মহিলাদের সম্পদ অনেক কম এবং তারা উত্তরাধিকার সূত্রেও কম পান।

প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে জার্মানিতে অর্থনৈতিক বৈষম্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির কারণ হলো জার্মান আর্থ-সামাজিক নীতির মূল্যবোধ ও কাঠামো। উত্তরাধিকার এবং সম্পদের ওপর কর বা জনসেবার মতো কাঠামো! প্রকৃতপক্ষে, প্রতিবেদনটিতে এসেছে যে, জার্মানিতে যদিও সম্পদ উৎপাদন বেশি, তবু এর বন্টন পদ্ধতির ভুলের কারণে সম্পদ যত বেশি উৎপাদন হবে, বৈষম্যও তত বেশি হবে। জার্মান জনগণ আর্থ-সামাজিক এই দ্বন্দ্বের ঘেরাটোপে আটকা পড়েছে।#

পার্সটুডে/এনএম/২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।