মার্কিন চাপ ও চীনের বাণিজ্য: বড় সংকটে ইউরোপ, করণীয় কী?
https://parstoday.ir/bn/news/world-i154234-মার্কিন_চাপ_ও_চীনের_বাণিজ্য_বড়_সংকটে_ইউরোপ_করণীয়_কী
পার্সটুডে- একটি ইউরোপীয় থিঙ্ক ট্যাংকের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ এবং চীনের বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে হলে ইউরোপকে দুই পরাশক্তির সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি সংঘাতে না গিয়ে বরং অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়ানো এবং উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বিস্তারের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
(last modified 2025-11-20T13:16:19+00:00 )
নভেম্বর ১৯, ২০২৫ ২০:৫৫ Asia/Dhaka
  • মার্কিন চাপ ও চীনের বাণিজ্য: বড় সংকটে ইউরোপ
    মার্কিন চাপ ও চীনের বাণিজ্য: বড় সংকটে ইউরোপ

পার্সটুডে- একটি ইউরোপীয় থিঙ্ক ট্যাংকের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ এবং চীনের বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে হলে ইউরোপকে দুই পরাশক্তির সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি সংঘাতে না গিয়ে বরং অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়ানো এবং উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বিস্তারের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপের অর্থনীতি একসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের চাপের মুখে পড়ে এক ধরণের কৌশলগত বিভ্রান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

পার্সটুডে'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘সেন্টার ফর ইউরোপিয়ান রিফর্ম’ নামের থিঙ্ক ট্যাংক এক বিশ্লেষণে লিখেছে- যুক্তরাষ্ট্রের অন্যায্য বাণিজ্য চুক্তি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা এবং চীনের ভর্তুকি-নির্ভর রপ্তানি ও কৌশলগত সম্পদ নিয়ন্ত্রণ—এই সব মিলিয়ে ইউরোপকে নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়েছে। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি “নেক্সপেরিয়া”কে ঘিরে সংকট দিয়েছে। চীনের কাছে প্রযুক্তি স্থানান্তরে ডাচ সরকারের বাধা, এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে বেইজিংয়ের নিষেধাজ্ঞার মতো ঘটনা এরিমধ্যে ঘটে গেছে।

এ পরিস্থিতি থেকে এটা স্পষ্ট, ইউরোপের প্রতিরোধমূলক অর্থনীতি এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারেনি। শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চাপের সামনেই নয়, অনেক সময় ইউরোপ নিজেই কিছু পদক্ষেপ নেয়, যা আবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ডব্লিউটিও এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

বিশ্লেষকরা ইউরোপের জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা তুলে ধরেছেন।

প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ইউরোপ ছোট অংশীদার; তাই নিজেদের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতার বিষয়টি স্বীকার করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে নিরপেক্ষ থাকা বাস্তবসম্মত নয় এবং অনেক বিষয়ে ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াতেই হবে।

তৃতীয়ত, ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাইরে তাদের বাজারকে প্রসারিত করতে হবে—দক্ষিণ আমেরিকার নানা দেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ভূমধ্যসাগরীয় প্রতিবেশীরা অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

ইউরোপের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উদীয়মান অর্থনীতির সঙ্গে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ওপর—দুই পরাশক্তির সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ানোর ওপর নয়। এভাবেই ইউরোপকে কৌশল ঠিক করতে হবে।#

পার্সটুডে/এসএ/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন