ইউক্রেন-মার্কিন চুক্তির সংশোধিত সংস্করণ; পথ এগিয়ে নাকি অস্পষ্ট?
-
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (ডানে) মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (বামে)
পার্সটুডে-মার্কিন পরিকল্পনার সংশোধিত সংস্করণের সাথে ইউক্রেনের চুক্তি ইউক্রেনীয় সংকটে কূটনৈতিক আন্দোলনের একটি নতুন পর্যায়ের সূচনা করেছে।
এটি এমন একটি আন্দোলন যা রাশিয়ার আক্রমণ এবং ইউরোপীয় উদ্বেগের তীব্রতার সাথে সাথে চুক্তির ভবিষ্যতের ওপর একটি জটিল দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় মার্কিন এবং ইউক্রেনীয় সূত্র ঘোষণা করেছে যে কিয়েভ মার্কিন পরিকল্পনার সংশোধিত সংস্করণে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। জেনেভা এবং আবুধাবিতে ধারাবাহিক আলোচনার পরে এই উন্নয়নগুলো ঘটে। আলোচনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের মতে ২৮-দফা পরিকল্পনার খসড়াটি "ইউক্রেনের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য" সংশোধনীগুলো সাথে যুক্ত হয়েছে, যদিও এই পরিবর্তনগুলোর ব্যাপারে রাশিয়ার সমর্থনের সম্ভাবনা হ্রাস করেছে।
এই প্রক্রিয়াটি একই সময়ে সংঘটিত হয়েছিল যখন কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা তীব্রতর হয়েছিল, যার ফলে উল্লেখযোগ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং আলোচনার রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিবেশ প্রভাবিত হয়।
ইরানি ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, আবুধাবিতে রুশ প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকের পর মার্কিন সেনাবাহিনীর সচিব ড্যানিয়েল ড্রিসকল আলোচনাকে "দূরদর্শী এবং আশাব্যঞ্জক" বলে বর্ণনা করেছেন এবং হোয়াইট হাউসের সাথে আলোচনা প্রক্রিয়ার পূর্ণ সমন্বয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন। অপরদিকে, আমিরাতে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের উপস্থিতি এবং আমেরিকার প্রতিনিধি দলের সাথে তাদের ক্রমাগত যোগাযোগ, চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করার ব্যাপারে একটি যৌথ প্রচেষ্টার ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঘোষণা করেছেন যে তিনি তার আসন্ন ওয়াশিংটন সফরের সময় পরিকল্পনার "সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয়গুলো" সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে উত্থাপন করবেন। এরইমধ্যে তিনি কিছু কিছু সংশোধনীকে "সঠিক" ও কার্যকর বলে মূল্যায়ন করেছেন। ইতিমধ্যে, মস্কো একটি সংশোধিত সংস্করণ উপস্থাপনের প্রত্যাশা করছে, তবে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান এবং দোনবাস ইস্যুসহ ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ ইস্যু ক্রেমলিনের কিছু রেডলাইন বহাল রয়েছে। তবে, কিছু বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন যে "চুক্তিতে বাধা" দেওয়ার অভিযোগ এড়াতে পুতিন সীমিত নমনীয়তা দেখাতে পারেন।
ইউরোপেও উদ্বেগ বেড়েছে। ফ্রান্স এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ সতর্ক করে দিয়েছে যে "ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণ" করার মতো যে-কোনো চুক্তি অগ্রহণযোগ্য। রাশিয়ার ড্রোন ন্যাটো সদস্য রোমানিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করার মতো সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে শঙ্কা আরও বেড়ে গেছে এবং একটি স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।#
পার্সটুডে/এনএম/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন