কোন ইউরোপীয় দেশ নারীহত্যার রেকর্ডধারী?
-
কোন ইউরোপীয় দেশ নারীহত্যার রেকর্ডধারী?
পার্সটুডে-সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন যে অভ্যন্তরীণ সহিংসতা, যৌন হয়রানি এবং নারীহত্যার ঘটনা 'নীরব মহামারী' আকারে ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
ইউরোপীয় পরিসংখ্যান অফিস, ইউরোস্ট্যাটের নতুন তথ্য অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি এক মিলিয়ন নাগরিকের মধ্যে ৪.১ জন মহিলাকে হত্যার শিকার হচ্ছে।
সমাজ বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে যখন হত্যাকারী তাদের নিকটবর্তী কোনো ব্যক্তি যেমন একজন অংশীদার, তখন পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হত্যার সম্ভাবনা প্রায় দ্বিগুণ। পার্সটুডে আরও জানায়, ইউরোস্ট্যাটের নতুন তথ্য প্রমাণ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি মিলিয়ন নাগরিকের মধ্যে ৪.১ জন মহিলাকে হত্যা করা হয়, এক্ষেত্রে পুরুষদের পরিসংখ্যান ২.২ এর সমান।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুসারে, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে লাটভিয়ায় ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ নারীহত্যার হার ছিল, যার অর্থ দাঁড়ায় দেশের প্রতি মিলিয়ন নাগরিকের মধ্যে প্রায় ১৭ জন মহিলাকে হত্যা করা হয়েছিল।
লাটভিয়া এবং তার প্রতিবেশী দেশ লিথুয়ানিয়া-উভয় দেশ বাৎসরিক পরিসংখ্যানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যেখানে প্রতি মিলিয়ন মানুষের মধ্যে প্রায় ১০ জন নারী নিহত হয়েছেন, তারপরেই রয়েছে ম্যাসেডোনিয়া, যেখানে প্রতি মিলিয়ন মানুষের মধ্যে প্রায় ৫ জন নারী নিহত হয়েছেন।
মাল্টা ছাড়াও ইইউতে সর্বনিম্ন নারীহত্যার হার গ্রিসে (২০২২ এবং ২০২৩ সালে ১.৮ জন নারী), স্পেন (২০২৩ সালে ২ জন নারী এবং ২০২২ সালে ২.১ জন নারী) এবং নেদারল্যান্ডসে (২০২৩ সালে ২.৩ জন এবং ২০২২ সালে ২.৪ জন) রেকর্ড করা হয়েছে।
গত দশকে, ইইউতে নারীহত্যার হার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল,তবে ২০২২ সালে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, যখন প্রতি মিলিয়ন মানুষের মধ্যে প্রায় ৪.৪ জন নারী নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে, ইইউ'র মাত্র দুটি দেশ, সাইপ্রাস এবং মাল্টা, 'নারীহত্যা'-কে একটি পৃথক অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।#
পার্সটুডে/এনএম/১১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন