গান্ধী মূর্তি অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ঘানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম অগ্রপথিক এবং জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধির মূর্তি ক্যাম্পাস থেকে সরানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ঘানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শিক্ষাবিদরা। মহাত্মা গান্ধি নামে সাধারণ ভাবে পরিচিত ভারতীয় এ নেতা বর্ণবাদী ছিলেন বলে উল্লেখ করে মূর্তি অপসারণের দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা।
ঘানা সফরের সময়ে ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি এ মূর্তি দিয়েছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এটি স্থাপন করা হয়েছে। আন্দোলনকারী ছাত্র-শিক্ষকরা বলেছেন, নিজের প্রথম দিকে লেখায় কৃষ্ণ আফ্রিকানদের ‘কাফির’ হিসেবে অভিহিত করেছেন গান্ধি। ১৮৯৪ সালে লেখা নাতাল মারকুরির কাছে খোলাপত্রে কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠী সম্পর্কে এমন অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন গান্ধী।
এর মধ্যে দিয়ে তার বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে বলে দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন আফ্রিকান ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আকোসুয়া আদোমানকো আমপোফো। গান্ধি মূর্তি অপসারণের দাবিতে আন্দোলনকারীরা অন লাইন আবেদন পত্রও চালু করেছে। কৃষ্ণ মানুষদের প্রতি গান্ধির দৃষ্টিভঙ্গি ঐতিহাসিকরা কি ভাবে ব্যাখ্যা করবেন সে প্রশ্ন এ আবেদন পত্রে তোলা হয়েছে।
অবশ্য গান্ধি মূর্তি অপসারণ করা হলে ঘানা-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে উল্লেখ করে কেউ কেউ এটি সরিয়ে নেয়ারও বিরোধিতা করছেন।#
পার্সটুডে/মূসা রেজা/২০