রুশ পরমাণু বোমারু বিমানের গতিরোধ করল ইউরোপীয় ৪ দেশের যুদ্ধবিমান
পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম রাশিয়ার দু’টি বোমারু বিমানের গতিরোধ এবং গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়েছে ইউরোপের চার দেশ। রুশ তোপলোভ টিউ-১৬০ ব্ল্যাকজ্যাক বোমারু বিমান দু’টি স্পেনের উত্তরাঞ্চল থেকে নরওয়ের দিকে উড়ে যাওয়ার পথে চার দেশ যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে এ ব্যবস্থা নেয়।
অবশ্য, এ ঘটনা গত মাসের ২২ তারিখে ঘটলেও তা সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। ব্রিটেনের চারপাশ ঘিরে ওড়ার পথে রুশ পরমাণু বোমারু বিমানের গতিরোধ করতে এবং গতিপথ পরিবর্তন করতে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল নরওয়ে, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং স্পেন।
স্পেনের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির দূরবর্তী দক্ষিণাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটেছে। নরওয়ে অবশ্য প্রথমে রুশ বিমান দুটির অস্তিত্ব টের পায় এবং তাদের গতিরোধের জন্য এফ-১৬ জঙ্গিবিমান পাঠায়। এদিকে বিমান দু’টি ব্রিটেনের আকাশসীমার কাছে যাওয়ার পর ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনী বা আরএএফ’র দু’টি টাইফুন বিমান পাঠানো হয়। অবশ্য ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রুশ বিমানগুলো তাদের আকাশসীমায় ঢোকে নি।
এ দুই বিমানকে তাড়া করতে ফ্রান্স দু’টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান পাঠায়। ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ন্যাটোর দু’টি ঘাঁটির সঙ্গে যোগাযোগ করেই তারা যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল।
এদিকে স্পেনের আকাশসীমার কাছ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় দেশটি দু’টি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল।
গত নভেম্বরে ব্রিটেনের আকাশ থেকে একইভাবে দু’টি ব্ল্যাকজ্যাক বোমারু বিমান হটিয়ে দেয়ার জন্য আরএএফ’র দু’টি টাইফুন যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছিল। এর এক মাস আগে উত্তর সাগরের আকাশে রুশ জেটবিমানের গতিরোধ করেছিল ব্রিটিশ টাইফুন যুদ্ধবিমান।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বোমারু বিমান টিউ-১৬০কে শ্বেত রাজহাঁসও বলা হয়। সাড়ে সাত হাজার মাইল পাল্লার এ বোমারু বিমান চার ক্রুসহ ১৬টি পরমাণু বোমাবাহী ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে। ১৯৮৭ সাল থেকে রুশ বিমান বাহিনী এ বিমান ব্যবহার করছে।#
পার্সটুডে/মূসা রেজা/৫