ভারত গোপনে ভিয়েতনামকে ‘ব্রাহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে
-
ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র
ভারত গোপনে ভিয়েতনামকে শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিসম্পন্ন ‘ব্রাহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে দাবি করেছে হ্যানয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম। এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হ্যানয়কে এ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার কোনো চুক্তিই করে নি নয়াদিল্লি। রাশিয়ার সহায়তায় ভারত নির্মাণ করছে ৬০০ পাউন্ড ওজনের অত্যাধুনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘ব্রাহ্মস’।
ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাবে ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র থাই থু হাং বলেন, এটি সংগ্রহ করা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ভিয়েতনামের শান্তি ও আত্মরক্ষার নীতির সঙ্গে এটি সঙ্গতিপূর্ণ বলেও দাবি করেন তিনি।
কিন্তু হ্যানয়ে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র পৌঁছানোর কথা অস্বীকার করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নয়াদিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ খবরকে পরিষ্কার ভাষায় ‘অসত্য’ বলে নাকচ করে দিয়েছে।
এদিকে ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা নিয়ে কোনো চুক্তি যদি সত্যিই করে থাকে নয়াদিল্লি-হ্যানয় তার কৌশলগত গুরুত্ব হবে অপরিসীম। প্রথমত: এ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ছয়শ’ কিলোমিটার হওয়ায় দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের অনেক স্থাপনা এর আওতায় এসে যাবে। দক্ষিণ চীন সাগরে ড্রিলিংকে কেন্দ্র করে বর্তমানে চীন-ভিয়েতনাম সম্পর্কে নতুন করে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
দ্বিতীয়ত: বেইজিং –নয়াদিল্লি সম্প্রতি ডোকলাম সীমান্তের টানাপড়েনের অবসান ঘটিয়েছে। এ টানাপড়েনের শুরু হয়েছিল মধ্য জুনে। টানাপড়েনের অবসান ঘটলেও দেশ দু’টির সম্পর্ক হয়ে উঠেছে বেশ স্পর্শকাতর। এরকম পরিস্থিতিতে যদি হ্যানয়কে ‘ব্রহ্মস’ সরবরাহ করে থাকে নয়াদিল্লি তবে চীন-ভারত সম্পর্কে অনাকাঙ্ক্ষিত ফাটল দেখা দিতে পারে আশংকা ব্যক্ত করেছেন বিশ্লেষকরা।#
পার্সটুডে/মূসা রেজা/২