মার্কিন অভিযোগকে ‘বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীর গাল-গপ্পো’ বলল কিউবা
-
কর্নেল রামিরো রামিরেজ(ডানে)
মার্কিন কূটনীতিবিদদের ওপর গোপন ‘সোনিক উইপন’ বা ‘শব্দাস্ত্র’ দিয়ে ধারাবাহিক হামলার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে কিউবা। এর তদন্ত নিয়োজিত কিউবার কর্মকর্তারা মার্কিন অভিযোগকে সরাসরি ‘বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীর গাল- গপ্পো’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

কিউবার তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেছে, মার্কিন অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য দেশটির দুই হাজার নিরাপত্তা কর্মকর্তা, অপরাধ ও শব্দ বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ এবং গণিতবিদকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তদন্ত এখনো চলছে এবং এ পর্যন্ত তদন্তে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানান কিউবায় কূটনীতিবিদদের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্নেল রামিরো রামিরেজ। তিনি আরো বলেন, এ তদন্তে আমেরিকা সহায়তা করেছেন। মার্কিন অভিযোগকে কিউবার ভাবমূর্তি বিনষ্টের প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
কিউবায় মার্কিন দূতাবাসের কূটনীতিকরা রহস্যজনক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হওয়ার পর এ তদন্ত শুরু করা হয়। এ সব খবরে দাবি করা হয়েছিল, কিউবায় নিযুক্ত অন্তত ২১ জন কূটনীতিক রহস্যজনক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কেউ কেউ স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন, কেউ কেউ আকস্মিকভাবে জ্ঞান হারাচ্ছেন, কেউ বমি বমি বোধ করছেন আবার কারো কানের মধ্যে নানা রকম শব্দ হচ্ছে। এছাড়া, কেউ কেউ মনোযোগ হারাচ্ছেন আবার কেউ কেউ সাধারণ শব্দ মনে রাখতে পারছেন না। সে সময়ে দাবি করা হয়, গোপন ‘সোনিক উইপন’ বা ‘শব্দাস্ত্র’ দিয়ে ধারাবাহিক হামলার ফলে এমনটি ঘটছে।
শব্দ বা অতিশব্দ প্রয়োগ করে অবশ বা আহত এমনকি হত্যার কাজে যে অস্ত্র ব্যবহার হয় তাই ‘সোনিক উইপন’ বা ‘শব্দাস্ত্র’নামে পরিচিত। সেকেন্ডে ২০ হাজার বারের বেশি শব্দতরঙ্গ অতিশব্দ বা আলট্রাসাউন্ড নামে পরিচিত। সেকেন্ডে ২০ বারের কম বা ২০ হাজার বারের বেশি শব্দ তরঙ্গ সাধারণ ভাবে মানুষ শুনতে পায় না। অবশ্য, বিজ্ঞান-কল্প বা সায়েন্স ফিকশন ছাড়া বাস্তবে কথিত ‘সোনিক উইপন’ বা ‘শব্দাস্ত্র’ প্রয়োগের কথা শোনা যায়নি।#
পার্সটুডে/মূসা রেজা/২৬