শক্তি প্রয়োগে পাক সেনাপ্রধানের অস্বীকৃতি
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের ফয়জাবাদ মহাসড়কে অবস্থান ধর্মঘটকারীদের উচ্ছেদের বিষয়ে সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে অস্বীকার করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। তিনি বলেছেন, “দেশের জনগণের বিরুদ্ধে শক্তি ব্যবহার করা সরকারের উচিত হবে না।”
রোববার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে জেনারেল বাজওয়া এ কথা বলেছেন। তবে তিনি বলেন, সরকার সংবিধানের ২৪৫ অনুচ্ছেদ ব্যবহার করে সেনা মোতায়েন করতে চায় এবং তাতে তিনি সম্মতি দিচ্ছেন। তবে সেনারা রাষ্ট্রীয় ভবন ও স্থাপনা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে; ধর্মঘটকারীদের উচ্ছেদের জন্য শক্তি প্রয়োগ করবে না। জেনারেল বাজওয়া বলেন, “পাকিস্তানের জনগণ সামরিক বাহিনীকে ভালোবাসে এবং বিশ্বাস করে।”
এর পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের শপথ বাক্য থেকে রাসূলুল্লাহ (সা.)’র উপাধি ‘খাতামুল আম্বিয়া’ বা ‘শেষ নবী’ কথাটি বাদ দেয়ার ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত ও শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শাহীদ খাকান আব্বাসির প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া, দেশে বন্ধ টিভি চ্যানেলগুলো দ্রুত খুলে দেয়ার নির্দেশ দিতে জেনারেল বাজওয়া প্রধানমন্ত্রী আব্বাসির প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে, ইসলাম অবমানননার জন্য যে মন্ত্রী জাহিদ হামিদকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্তের দাবি জানাচ্ছে অবস্থান ধর্মঘটকারীরা সেই মন্ত্রী এখন পদত্যাগ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। ধর্মঘটকারীদের অভিযোগ, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পড়ানোর সময় থেকে রাসূলুল্লাহ (সা.)’র উপাধি ‘খাতামুল আম্বিয়া’ বা ‘শেষ নবী’ কথাটি বাদ দিয়ে মন্ত্রী জাহিদ হামিদ ইসলাম অবমাননা করেছেন।
মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে পাকিস্তানে বিক্ষোভকারীরা ‘তেহরিকে লাব্বাইক ইয়া রাসূলুল্লাহ’ পার্টি গঠন করে গত ৮ নভেম্বর থেকে ইসলামাবাদে অবস্থান ধর্মঘট করে আসছে। তারা ওই দিন থেকে নগরীর ফয়জাবাদ মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়ে মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানাতে থাকে। ফয়জাবাদ হচ্ছে ইসলামাবাদে প্রবেশের প্রধান রুট। মন্ত্রী নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার পরও বিক্ষোভকারীরা তা মানতে নারাজ।
শনিবার থেকে এ পর্যন্ত সেখানে অন্তত ছয়জন নিহত ও ২১৭ জন আহত হয়েছে বলে ইংরেজি পত্রিকা দৈনিক ডন জানিয়েছে। আহতদের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বহুসংখ্যক সদস্য রয়েছে।#
পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/২৭