ইংলিশদের কাঁদিয়ে প্রথমবারের মতো স্বপ্নের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া
(last modified Wed, 11 Jul 2018 21:20:03 GMT )
জুলাই ১২, ২০১৮ ০৩:২০ Asia/Dhaka
  • পুত্রকে কাঁধে নিয়ে উল্লাস করছেন ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডার দোমাগোজ ভিদা
    পুত্রকে কাঁধে নিয়ে উল্লাস করছেন ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডার দোমাগোজ ভিদা

১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলার সুযোগ পেল ক্রোয়েশিয়া। ১৫ জুলাই স্বপ্নের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে লড়বে ক্রোয়েটরা। আর ১৪ জুলাই তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড।

মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালর পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় ইংলিশরা। ডি-বক্সের একটু বাইরে থেকে ওপরের ডান কোণ লক্ষ্য করে নেয়া কিরান ট্রিপিয়ারের বাঁকানো ফ্রি-কিক ঠেকানোর সুযোগই পাননি ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক দানিয়েল সুবাসিচ। এগিয়ে গিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে ইংল্যান্ড। মুহুর্মুহু আক্রমণে ক্রোয়েশিয়াকে ব্যতিব্যস্ত রাখে তারা। ১৪ ও ৩৬ মিনিটে দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন হ্যারি ম্যাগুইরে ও জেসি লিঙ্গার্ড।

ক্রোয়েশিয়ার বিজয় উদযাপন

পাল্টা আক্রমণে সুযোগ সৃষ্টি করেছিল ক্রোয়েশিয়াও। ১৯ ও ২৩ মিনিটে নাগালে পাওয়া সুযোগ হাতছাড়া করেন ইভান পেরেসিচ। আর ৪৩ মিনিটে মিস করেন সিমে ভ্রাসালকো। ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

ইংলিশ গোলরক্ষকের কান্না

বিরতির পর গোল পেতে মরিয়া হয়ে পড়ে ক্রোয়েশিয়া। আপ্রাণ চেষ্টা করে ক্রোয়াটরা। ৬৮ মিনিটে সিমে ভ্রাসালকোর অসাধারণ থ্রু থেকে নিশানাভেদ করেন ইভান পেরেসিচ। এতে লড়াইয়ে ফেরে ক্রোয়েশিয়া।

ইভান পেরেসিচ, ম্যান অব দ্যা ম্যাচ

এরপরও অ্যাটাক-কাউন্টার অ্যাটাকে এগিয়ে চলে খেলা। তবে ৯০ মিনিটের খেলায় কেউই গোলমুখ খুলতে পারেনি। অতিরিক্ত সময় ১০৮তম মিনিটে ইভান পেরিসিচের হেডে বাড়ানো বল ছয় গজ বক্সের মুখে পেয়ে বাঁ-পায়ের কোনাকুনি শটে ক্রোয়েশিয়াকে এগিয়ে দেন মারিও মানজুকিচ।

ম্যাচের বাকি সময়ে ইংল্যান্ড গোল পরিশোধ করতে না পারায় ইতিহাস গড়ে ফাইনালে উঠে যায় ক্রোয়েশিয়া। এর আগে ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ অভিষেকেই সেমিফাইনালে ওঠে চমক দেখিয়েছিল ক্রোয়েটরা# 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১২

ট্যাগ