সৌদি জোটকে অস্ত্র দেয়ার ব্রিটিশ নীতির সমালোচনায় সেদেশের লেবার পার্টি
ইয়েমেন যুদ্ধে ব্রিটেনের রক্ষণশীল সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'র তীব্র সমালোচনা করেছে সেদেশের লেবার পার্টির নেতা জেরেমি কুরবিন। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি জোটকে অস্ত্রসহ সার্বিক সামরিক সহায়তা দেয়ার নীতি গ্রহণ করায় ব্রিাটশ সরকারের সমালোচনা করেন কুরবিন।
জাপানে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে সৌদি প্রিন্স বিন সালমান এবং থেরেসা মে'র বৈঠকের সমালোচনা করেন তিনি।যদিও মে দাবি করেছেন তিনি বিন-সালমানের সঙ্গে বিশ মিনিটের আলোচনায় ইয়েমেন যুদ্ধের সমাধান টানতে এবং খাশোগি হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত করতে জাতিসংঘের সাথে সহযোগিতা করার পরামর্শ দিয়েছেন।কুরবিন বলেন সৌদি প্রিন্সকে তার ভূমিকার জন্য ব্রিটেনের বিরোধিতার সুস্পষ্ট বার্তা দেন নি মে।মে'র উচিত ছিল সৌদি সরকারকে অস্ত্র সহায়তা দেয়া বন্ধ করার কথা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া এবং খাশোগি হত্যাকাণ্ডের জন্য ব্রিটিশ সরকার যে বিন-সালমানকেই দায়ী বলে মনে করে সে কথা জানানো।কুরবিন জানান ব্রিটিশ সরকার ইয়েমেনে যুদ্ধের জন্য চার শ কোটি ষাট লাখ পাউন্ডের অস্ত্র দিয়েছে সৌদি আরবকে।
গত ২০ জুন ব্রিটেনের একটি আদালতের রায়ে বলা হয়েছে মে'র সরকার সৌদি আরবকে অস্ত্র দিয়ে নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে।ওই রায়ে বিচারক ট্রান্স আথারটন অনতিবিলম্বে সৌদিআরবকে অস্ত্র দেয়া বন্ধ করার সুপারিশ করেন।
ক্যাম্পেইন এগেইনস্ট আর্মস ট্রেডসহ যুদ্ধ বিরোধী আরও কিছু সংস্থাও সৌদি জোটকে অস্ত্র দেয়া বন্ধ করতে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গেল দশকে সৌদি আরব ব্রিটেনের শতকরা তেতাল্লিশ ভাগ অস্ত্রের ক্রেতা ছিল।২০১৫ সালের মার্চে ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরুর সময় আরও ৫০০ কোটি পাউন্ডের অস্ত্র দেয়াসহ সৌদি সেনাদেরকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়ারও চুক্তি করে।
জাতিসংঘ ইয়েমেনে নিকৃষ্টতম মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে। ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে দরিদ্র প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি আরব ও তাদের কয়েকটি মিত্র দেশ। ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,গত চার বছরের হামলায় ১২ হাজার ইয়েমেনি নিহত ও ২৬ হাজার আহত হয়েছে। এছাড়া দেশটির ওপর স্থল, নৌ ও আকাশ পথে অবরোধ আরোপ করে রাখা হয়েছে।#
পার্সটুডে/নাসির মাহমুদ/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।