ব্রিটিশ পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী জনসন; নানা সমীকরণ
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুধবার পার্লামেন্ট স্থগিতের কার্যক্রম শুরু করেছেন। তার এ পদক্ষেপে দেশটির রাজনীতি নাটকীয় মোড় নিয়েছে। তার এ উদ্যোগ কার্যকর হলে ব্রেক্সিট অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের প্রস্থানের বিষয়ে বিতর্কের জন্য খুব কম সময় পাবেন এমপিরা।
আইনানুযায়ী ৩১শে অক্টোবর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইইউ থেকে বের হয়ে যাবে ব্রিটেন। তার আগ পর্যন্ত মোট ৫ সপ্তাহের জন্য স্থগিত থাকবে পার্লামেন্ট। নিজ দলের সদস্যসহ রাজনীতিকদের মধ্যে যারা চান ব্রিটেন ইইউতে থেকে যাক, তারা এই পদক্ষেপকে ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে দেখছেন।
এমপিরা বলছেন, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট যেন না হয় সেজন্য সবাই মিলে আইন পাস করবেন তারা। তা সম্ভব না হলে, অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে জনসন সরকারের পতন ঘটাবেন। তবে বিরোধীদল সরকার পতনের মতো পর্যাপ্ত সমর্থন পাবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
এর আগে ২৯ মার্চ ইইউ থেকে প্রস্থানের কথা ছিল ব্রিটেনের। তবে ইইউ’র সঙ্গে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে যে চুক্তিতে সম্মত হয়েছিলেন, তা তিনবার প্রত্যাখ্যান করে পার্লামেন্ট। শেষ পর্যন্ত প্রস্থানের চূড়ান্তসীমা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত নিয়ে যেতে বাধ্য হন মে। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জনসন আর সময়সীমা বাড়াতে চান না। তিনি বলছেন, ইইউ’র সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত হোক আর না হোক, তিনি ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ব্রিটেনকে ইইউ থেকে বের করে নেবেন।
যারা চান না ব্রিটেন চুক্তিবিহীন ইইউ থেকে বের হয়ে যাক, তাদের বক্তব্য হচ্ছে- চুক্তি ব্যতিত ইইউ থেকে প্রস্থান করলে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে ধস নামবে। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। পাশাপাশি, ব্রিটেনের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার ইইউতে প্রবেশাধিকার সীমিত হয়ে যাবে। ফলে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হুমকিতে পড়বে এবং মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/২৯