চালকহীন বিমান নিয়ে আতঙ্কে আমেরিকা: গোপন অস্ত্রের পরীক্ষা করছে
ইয়েমেনের চালকহীন বিমান বহর সৌদি আরবে হামলার পর এ জাতীয় বিমান নিয়ে আতঙ্কে পড়েছে আমেরিকা। চালকহীন বিমান বা ড্রোন ধ্বংসের জন্য গোপন অস্ত্রের পরীক্ষার পরিকল্পনা করেছে মার্কিন বিমান বাহিনী। এ পরীক্ষাতে প্রায় এক কোটি ৬৩ লাখ ডলার ব্যয় হবে।
বিদেশের মাটিতে এ অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হবে। অবশ্য, কোথায় এ পরীক্ষা চালানো হবে সে বিষয়ে নীরব রয়েছে মার্কিন বিমান বাহিনী। আগামী বছরের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে বলে মার্কিন এক বিজ্ঞান সাময়িকী খবর দিয়েছে।
সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে ইয়েমেনের চালকহীন বিমান বহরের হামলার মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তড়িঘড়ি নতুন এ অস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দিল পেন্টাগন। সৌদিতে হামলা করতে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি চালকহীন ১০ বিমানের বহর ব্যবহার করেছিল ইয়েমেন।
পেন্টাগনের নতুন এ অস্ত্র সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি অতি উচ্চ মাত্রায় বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গ উৎপাদন করবে এবং তা হামলার জন্য উড়ে আসা শত্রুর চালকহীন বিমান বহরকে তাক করে তা ছোঁড়া হবে। এতে চালকহীন বিমানের ভেতরে বিদ্যুৎ শক্তির প্রবাহ মারাত্মক ভাবে বেড়ে যাবে। ফলে সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মধ্যেই চালকহীন বিমানের সব বিদ্যুৎ-সার্কিট এক্কেবারে আলু পোড়া হয়ে যাবে।
ঘটনাক্রমে বিদ্যুৎ প্রবাহ বেড়ে গেলে তা সামাল দেয়ার জন্য চালকহীন বিমান বসানো থাকে একটি যন্ত্র। কিন্তু বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গ ছোঁড়ার ফলে এ ঘটনা চোখের পলকে ঘটবে ফলে চালকহীন বিমানের সে যন্ত্র চালু হওয়ার বা ড্রোনের বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রপাতি রক্ষার ব্যবস্থা নেয়ার কোনও সময়ই পাবে না।
ফলটি এই হবে যে ওড়ার ক্ষমতা হারিয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে চালকহীন বিমান। কিংবা অচল হয়ে ওড়া ভুলে মাটিতে নেমে আসতে বাধ্য হবে।
পরীক্ষামূলক উচ্চ ক্ষমতার বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গ উৎপাদনকারী অস্ত্রটি ২০ ফুট একটি টেইলরের ওপর বসানো থাকবে। এ অস্ত্রের নিজস্ব রাডার ব্যবস্থা অন্যান্য সেন্সর বা স্পর্শকে লাগানো থাকবে। শত্রুর চালকহীন বিমান বহর বা ড্রোনের হামলার খবর এর মাধ্যমেই জানা যাবে। শত্রুর চালকহীন বিমানকে পুরোপুরি ধ্বংস বা অচল করে দেয়াই হবে অস্ত্রটির উদ্দেশ্য।#
পার্সটুডে/মূসা রেজা/২৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।