এক দশক পর ওয়ানডে ফেরার ম্যাচ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রানে হারাল পাকিস্তান
দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর দেশের মাটিতে ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দাপুটে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টি শেষে ১-০ ব্যবধানে লিড নিল সরফরাজ আহমেদের দল। প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল।
সোমবার করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। কানায় কানায় পূর্ণ সমর্থকদের করতালিতে মুখোরিত পুরো স্টেডিয়াম। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৫ ওভারে ২৩৮ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
৩০৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে পাক বোলারদের দাপটে ২৮ রানেই টপঅর্ডারের ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে দুর্দান্ত বল করে তিন উইকেট তুলে নেন পেসার উসমান শিনওয়ারি। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। ১৭৭ রানের জুটিতে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলেন শেহান জয়সুরিয়া ও দাসুন শানাকা। তবে দুই ওভারের ব্যবধানে তারা বিদায় নিলে হার নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের। চার রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত জয়সুরিয়া ১০৯ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৯৬ রান করে সেই শিনওয়ারির বলে মাঠ ছাড়েন। শানাকা ৮০ বলে ৬৮ করেন।
পাকিস্তান বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট দখল করেন উসমান। লেগ স্পিনার শাদাব খান দুটি উইকেট পান। আঁটসাঁট বোলিংয়ে একটি করে উইকেট নেন আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ফখর জামান ও ইমাম-উল-হকের ব্যাটে শুরুটা ভালো করে পাকিস্তান। দুই ওপেনারকেই ফেরান ভানিদু হাসারাঙ্গা। ৩১ রান করে ইমাম এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে ৭৩ রানের জুটি। ৬৫ বলে ৫৪ রান করে বিদায় নেন ফখর।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের চার ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি করা বাবর আবারও ভোগান দ্বীপ দেশটিকে। হারিস সোহেলের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১১১ রানের জুটি। রান আউট হয়ে হারিসের বিদায়ে ভাঙে বিপজ্জনক জুটি।
৯৭ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন বাবর। তার ক্যারিয়ারের একাদশ সেঞ্চুরি। এরপর বেশি দূর যেতে পারেন নি। ১০৫ বলে চার ছক্কা ও আট চারে ফিরেন ১১৫ রান করে। এর মধ্যদিয়ে এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে বা পঞ্জিকাবর্ষে বাবর আজম ১০০০ রান পূর্ণ করেন। দ্রুততর হিসেবে তাতে টপকে যান সাবেক কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জাভেদ মিয়াদাঁদকে।
শেষের দিকে ২০ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংসে দলকে তিনশ রানে নিয়ে যান ইফতেখার আহমেদ।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে হাসারাঙ্গা দুটি, উদানা ও লাহিরু কুমারা একটি করে উইকেট শিকার করেন।
১০ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেয়ায় ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন উসমান শিনওয়ারি।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কান দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর এবারই প্রথম পাকিস্তানে ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলো। যদিও দলের শীর্ষ ১০ তারকা ক্রিকেটার এই সিরিজে খেলতে আসেন নি। পাকিস্তান সরকার ক্রিকেটারদের রাষ্ট্রপ্রধানের সমান নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাসে পাকিস্তানে খেলতে যেতে রাজি হয় শ্রীলঙ্কা।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৩১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।