যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লয়েডের পর আরও এক কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা: বিক্ষোভ চলছে, পরিস্থিতি থমথমে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ অন্যায়ভাবে কৃষ্ণাজ্ঞ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার পর থেকেই মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনোপোলিস শহরসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে। এক কৃষ্ণাজ্ঞ নাগরিকের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় গতকাল মিনোপোলিসে গুলিতে আরও এক কৃষ্ণাজ্ঞ নিহত হওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন পতাকায় আগুন দিয়েছে।
সেখানে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পর একজন পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তাঁর গলা চেপে ধরলে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান।
ফ্লয়েড মিনোপোলিস শহরের একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করতেন। এ ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে করোনা উপেক্ষা করে প্রতিবাদে সরব হন শত শত মানুষ। এরপর থেকেই বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে।
এরইমধ্যে বিক্ষোভকারীদের দেওয়া আগুনে মিনোপোলিস শহরের প্রধান থানা পুড়ে গেছে। সহিংস বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।
জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের পাশাপাশি বিবেকবান শেতাঙ্গদেরও দেখা যাচ্ছে। ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স নামের বেসরকারি সংস্থার চালানো জরিপে উঠে এসেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তিনগুণ বেশি মারা যায় কৃষ্ণাঙ্গরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের শুরু থেকেই কৃষ্ণাঙ্গরা নানাভাবে নির্যাতিত হয়ে আসছে।#
পার্সটুডে/সোহেল আহম্মেদ/২৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।