ঈদ আনন্দ ও তাৎপর্যকে তুলে ধরার অনবদ্য পরিবেশনা ‘ঈদের খুশি’
গত ১৩ মে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আশরাফুর রহমানের গ্রন্থনায় এবং সুকণ্ঠের অধিকারী নাসির মাহমুদ ও আক্তার জাহান-এর উপস্থাপনায় বিশেষ অনুষ্ঠানে ‘ঈদের খুশি’ দারুণ উপভোগ্য ছিল। কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত, সাক্ষাৎকার আর অপরূপ ধারাভাষ্যে ঈদের আনন্দ আর তাৎপর্যকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে তা এককথায় অনবদ্য পরিবেশনা।
তেপান্তর মিডিয়া পরিবেশিত বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’- গানটি শুধু ভালো লেগেছে বললে কম বলা হবে; গানটিকে যেভাবে যথাস্থানে ব্যবহার করা হয়েছে তা মনে রাখবার মতো।
এনেছে নব-গীতি, এনেছে সুখ-স্মৃতি, এনেছে প্রেম-প্রীতি-পুণ্য,
এনেছে নব-আশা, একতা ভালোবাসা, নিবিড় মিলনের জন্য,
ভ্রাতৃ-প্রণয়ের মহান দৃশ্য!
মিলন-কলগানে মুখর বিশ্ব!
বিভেদ-জ্ঞান যতো আজিকে সব হত
ধন্য ঈদ তুমি ধন্য!
ঈদের খুশি অনুষ্ঠানে কবি গোলাম মোস্তফার এই কবিতা যেমন আবৃত্তিকারের কণ্ঠে সুন্দরভাবে ধ্বনিত হয়েছে তেমনি তার প্রয়োগ ও প্রাসঙ্গিক এবং যথার্থতা লাভ করেছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুধু আবৃত্তি, সঙ্গীত আর কথামালায় মনোরঞ্জন পূরণ করেই অনুষ্ঠানটি তার দায়িত্ব শেষ করেনি; মনোরঞ্জনের পাশাপাশি মুসলমানদের দায়িত্ব- কর্তব্য হিসেবে ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাকসহ বিশ্বের সকল নির্যাতিত মুসলমানের পাশে দাঁড়ানোকেও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আশা ব্যক্ত করা হয়েছে যে, মুসলমানরা সব ধরনের পাপের প্রলোভনকে নাকচ করে সাম্রাজ্যবাদী ও তাগুতি শক্তির হুমকিকে উপেক্ষা করে মুক্ত করতে পারবে মজলুম জাতিগুলোকে।
আর তাই মনোরঞ্জনের পাশাপাশি ঈদের তাৎপর্য নৈতিক কর্তব্য ও মুসলমানদের সমাজে স্বপ্নের যে বীজ অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত হয়েছে তা সকলকে মুগ্ধ করে বৈকি।
পরিশেষে অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা ও পরিচালনার জন্য আশরাফুর রহমান ভাইকে এবং উপস্থাপক নাসির মাহমুদ এবং উপস্থাপিকার আকতার জাহানকে আরেকবার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে শেষ করছি।
ধন্যবাদান্তে
বিধান চন্দ্র সান্যাল
ঢাকা কলোনী, বালুরঘাট
দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।