জুলাই ২৭, ২০২১ ০৬:৩৪ Asia/Dhaka
  • আফগানিস্তানের একটি হাসপাতালে যুদ্ধাহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে (ফাইল ছবি)
    আফগানিস্তানের একটি হাসপাতালে যুদ্ধাহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে (ফাইল ছবি)

আফগানিস্তানের চলমান যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি বৃদ্ধির ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে জাতিসংঘ। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের রাজনৈতিক দপ্তর ইউনামা সোমবার তার সর্বসাম্প্রতিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে, ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশটিতে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা ছিল নজিরবিহীন।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে আফগানিস্তানে এক হাজার ৬৫৯ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও তিন হাজার ২৫৪ জন আহত হয়েছেন। ২০২০ সালের এই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা শতকরা ৪৭ ভাগ বেশি। হতাহতদের প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু বলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মে মাসে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শুরু ও তালেবান হামলা বেড়ে যাওয়ার পর থেকে এই প্রাণহানি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেছে বলে ইউনামা জানিয়েছে।এটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আফগানিস্তানের সংঘাত উল্লেখযোগ্য মাত্রায় না কমলে ২০০৯ সালের পর বেসামরিক নাগরিকদের সর্বোচ্চ মাত্রার প্রাণহানি প্রত্যক্ষ করতে হবে।জাতিসংঘ ওই বছর থেকে আফগানিস্তানের বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানির রেকর্ড রাখতে শুরু করেছিল।

হতাহতদের প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু বলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে

ইউনামার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের শতকরা ৩৯ ভাগ ঘটে তালেবানের হাতে, ২৩ ভাগ আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে, শতকরা ১৬ ভাগ অন্যান্য সরকার বিরোধী গোষ্ঠীর হাতে এবং উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশের (আইএস) হাতে হতাহত হন শতকরা নয় ভাগ বেসামরিক আফগান নাগরিক। এছাড়া শতকরা ১৩ ভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটে সংঘর্ষরত পক্ষগুলোর ক্রসফায়ারের মধ্যে পড়ে।

তবে তালেবান এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, তাদের হাতে কোনো বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে না। আর আফগান সেনাবাহিনী বলেছে, তারা সব সময় যুদ্ধের আইন মেনে চলে এবং তারা বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানির জন্য দায়ী নয়।#

পার্সটুডে/এমএমআই/২৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ