রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে
তিউনিশিয়ার পার্লামেন্ট স্পিকার রাশেদ ঘানুচি সামরিক হাসপাতালে ভর্তি
তিউনিশিয়ার পার্লামেন্ট স্পিকার ও দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আন-নাহদা’র নেতা রাশেদ আল-ঘানুচিকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য রাজধানী তিউনিসের একটি সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘানুচির দু’জন উপদেষ্টার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ (সোমবার) ভোরে এ খবর দিয়েছে।
তবে ঠিক কী কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে তা খবরে জানানো হয়নি। তিনি গতকাল তার দেশের বিপ্লব ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দায়ী করে বলেছিলেন, মিশরের মতো তিউনিশিয়ায় কোনো সামরিক অভ্যুত্থান করা যাবে না। মিশরের বিপ্লব ধ্বংস করে সেনাপ্রধান জেনারেল সিসি’র প্রেসিডেন্ট হওয়ার ঘটনায় আরব আমিরাতের হাত ছিল বলেও ঘানুচি অভিযোগ করেন।
৮০ বছর বয়সি তিউনিশয়ার পার্লামেন্ট স্পিকার গত মাসে একবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তখন তিনি সক্রিয় পার্লামেন্টের স্পিকার ছিলেন। বর্তমানে সেনা-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ তিউনিসিয়ার পার্লামেন্টের কার্যক্রম স্থগিত করে রেখেছেন।
গত সপ্তাহের রোববার কায়েস সাঈদ এক ডিক্রি জারি করে প্রধানমন্ত্রী হিচেম আল-মেচিচিকে বরখাস্ত ও পার্লামেন্টকে এক মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তিনি সংসদ সদস্যদের দায়মুক্তি বাতিল করেন। প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের এ পদক্ষেপকে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে সেনা-সমর্থিত অভ্যুত্থান হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তারা মনে করছেন, ২০১১ সালের বিপ্লবের চেতনা ধ্বংস করে দেয়ার জন্য বিদেশি ষড়যন্ত্রে এই অভ্যুত্থান পরিচালিত হয়েছে। #
পার্সটুডে/এমএমআই/২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।