আসিফ আলীর ৪ ছক্কায় আফগানিস্তানকে হারাল পাকিস্তান
https://parstoday.ir/bn/news/world-i99306-আসিফ_আলীর_৪_ছক্কায়_আফগানিস্তানকে_হারাল_পাকিস্তান
আসিফ আলীর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা তিন জয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল। এর আগে সুপার টুয়েলভের প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করেছিল পাকিস্তান।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
অক্টোবর ৩০, ২০২১ ০০:২৫ Asia/Dhaka

আসিফ আলীর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা তিন জয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল। এর আগে সুপার টুয়েলভের প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করেছিল পাকিস্তান।

আজ (শুক্রবার) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৭ রান করে আফগানরা। জবাবে ৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাবর আজমের দল।

শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। ১৯তম ওভারে করিম জানাতকে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন আসিফ। ৭ বলে ৪ ছক্কায় তিনি করেন ২৫ রান। আর এতেই জয় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে পাকিস্তান। তবে ওপেনার রিজওয়ানকে ফিরিয়ে পাক শিবিরে প্রথম আঘাত হাতে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান। নাবিন উল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৮ রান করে সাঝঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ব্যাট করতে নামা ফখর জামানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক বাবর আজম। ৫০ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন তারা।

১২তম ওভারে ফখর জামানকে এলবিডব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নবী। ২৫ বলে ৩০ রান করে সাঝঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর ব্যাট করতে নেমে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারলেন না মোহাম্মদ হাফিজ। রশিদ খানের শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১০ রানে বিদায় নেন তিনি। এরই সাথে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মালিক বনে যান আফগান স্পিনার রশিদ খান।

ব্যাট হাতে একাই পাকিস্তানকে এগিয়ে নেওয়া বাবর আজম ৪৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেন। কিছুক্ষণ পরেই দুর্দান্ত এক গুগলিতে পাক অধিনায়ককে বোল্ড করেন রশিদ খান। ৪ চারে ৪৭ বল খরচায় ৫১ রান করে সাঝঘরে ফেরেন তিনি। পরের ওভারেই নাবিন উল হকের বলে শাহজাদের হাতে ক্যাচ তুলে ব্যক্তিগত ১৯ রানে বিদায় নেন শোয়েব মালিক।

শেষদিকে ব্যাট করতে নেমেই ম্যাজিক দেখান আসিফ আলী। গত ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের নায়ক সেই ব্যাটারই করিম জানাতের ওভারে ৪ ছয় মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান। 

আফগানিস্তানের পক্ষে ২টি উইকেট পেয়েছেন রশিদ। মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবী ও নাভীন উল হক একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তানের সূচনাটা ছিল বিবর্ণ। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। তারপরও পাওয়ার পেলতে আগ্রাসী ব্যাটিং বন্ধ করেনি দলটি। ৪টি উইকেট হারালেও পাওয়ার প্লেতে ৪৯ রান তুলে দেয় দলটি।

এদিন দলীয় ১৩ রানেই দুই ওপেনার হজতরুল্লাহ জাজাই ও মোহাম্মদ শাহজাদকে হারায় আফগানিস্তান। তৃতীয় উইকেটে স্কোরবোর্ডে ২০ রান যোগ করলেও ৩ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও আসগর আফগান। তাতে বড় চাপে পড়ে আফগানরা।

এরপর পঞ্চম উইকেটে ২৫ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধের আভাস দেন করিম জানাত ও নজিবুল্লাহ জাদরান। কিন্তু ১২ রানের ব্যবধানে আউট হন এ দুই ব্যাটার। তাতে বড় চাপেই পড়েছিল দলটি। এমনকি একশ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে তারা।

কিন্তু এরপর গুলবাদিন নাইবকে নিয়ে অসাধারণ এক জুটি গড়ে তোলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। ইনিংস মেরামতের পাশাপাশি রানের চাকাও সচল রাখেন দারুণভাবে। বিশেষ করে হাসান আলীর করা ১৮তম ওভারে ২১ রান তুলে লড়াকু পুঁজির ভিত গড়ে দেন এ দুই ব্যাটার। পরের ওভারেও ১৫ রান তুলে নেয় দলটি।

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার হাতে আসিফ আলী

শেষ পাঁচ ওভারে ৫৮ রানে তুলে নেয় আফগানরা। তাতে লড়াকু সংগ্রহই মিলে দলটির। নবি ও নাইব দুইজনই করেন ৩৫ রান করে। তবে নবির চেয়ে বেশি আগ্রাসী ছিলেন নাইব। ২৫ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৩২ বলে ৫টি চারে নিজের ইনিংস সাজান অধিনায়ক। নজিবুল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।

পাকিস্তানের পক্ষে ২৫ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান ইমাদ ওয়াসিম। শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, হাসান আলী ও শাদাব খান একটি করে উইকেট লাভ করেন।

৭ বলে ৪ ছক্কায় ২৫ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান আসিফ আলী।

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।