মে ১৫, ২০২২ ১৬:৩৬ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠকবন্ধুরা!কথাবার্তার প্রাত্যহিক আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ।আজ ১৫ মে রোববারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। তারপর দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

ঢাকার কয়েকটি খবরের শিরোনাম

  • পিকে হালদার ৩ দিন রিমান্ডে,দর্জির ছেলে পিকে যেভাবে মহাদুর্নীতিবাজ-যুগান্তর
  • পরিকল্পনা ছাড়াই বিদেশে প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা-এক যুগে ব্যয় ৫৫০ কোটি টাকা-যুগান্তর
  • বরিশালে সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে মরণ নেশা ইয়াবা–ইত্তেফাক
  • বিপজ্জনক অবস্থায় চলে যেতে পারে রিজার্ভ-অধ্যাপক মইনুল-মানবজমিন
  • দুদক আইনজীবী বললেন পি কে হালদারকে দেশে আনতে ৩-৬ মাস লাগতে পারে-প্রথম আলো
  • সেনা অভ্যুত্থান, পুতিনের পতন আসন্ন: ইউক্রেনীয় জেনারেলের চাঞ্চল্যকর দাবি!-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • কৃষির রাজকুমার! গ্রামের বাজারে লতি বিক্রি ডক্টর প্রিন্সের-কালের কণ্ঠ

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ২০২৪ লোকসভায় গান্ধী পরিবার থেকে প্রার্থী শুধু রাহুল! ‘অ-গান্ধী’ হিসাবে লড়তে পারেন প্রিয়াঙ্কা-সংবাদ প্রতিদিন
  • বেকারত্ব ইস্যু নিয়ে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পদযাত্রা কর্মসূচি কংগ্রেসের, থাকবেন রাহুলও -আজকাল
  • ঝুলে ২ লাখ মামলা! ৩ বিচারপতি নিয়োগের পরও ৩০% পদ শূন্যই রইল কলকাতা হাই কোর্টে -আনন্দবাজার পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবারে বিশ্লেষণে যাচ্ছি। 

বিশ্লেষণের বিষয়:

১. চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে দেড় কোটি লিটার সয়াবিন-পাম তেল রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এই রপ্তানিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

২. নিউ ইয়র্কের বাফেলো শহরে শ্বেতাঙ্গের গুলিতে নিহত ১০, বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ। কী বলবেন আপনি?

জনাব সিরাজুল ইসলাম আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

বিশ্লেষণের বাইরের কয়েকটি খবর:

পিকে হালদার ৩ দিন রিমান্ডে-যুগান্তর

পিকে হালদার রিমান্ডে

বাংলাদেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলার মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পিকে হালদার) তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।  ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে পিকে হালদারকে শনিবার দুপুরের দিকে গ্রেফতারের পর আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করা হয়।

তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জেরা করা হচ্ছে।  ১৭ মে পিকে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে সিবিআইর কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে।

দর্জির ছেলে পিকে যেভাবে মহাদুর্নীতিবাজ-যুগান্তর

বহুল আলোচিত তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাচারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ লোপাটকারী প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার একজন গরিব দর্জির ছেলে। সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও প্রশান্ত বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ ও বিত্ত-বৈভবের মালিক বনে গেছেন। দেশে-বিদেশে তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ফ্ল্যাটসহ বিপুল সম্পত্তি রয়েছে।

শনিবার পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে পিকে হালদার গ্রেফতার হয়েছেন। এ গ্রেফতারের পর তিনি আবার আলোচনায় এসেছেন। কলকাতায় প্রশান্তের বিলাসবহুল ১০টি বাড়ি সিলগালা করা হয়েছে। তার অর্থ লোপাটের সহযোগীরাও সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা। সবার বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, আলোচিত পিকে হালদারের বাবা প্রণবেন্দু হালদার পেশায় ছিলেন দীঘিরজান বাজারের একজন দর্জি। আর মা লীলাবতী হালদার ছিলেন স্কুলশিক্ষক। দীঘিরজান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও পাশের বাগেরহাটের সরকারি পিসি কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পাশ করেন।

পিকে হালদারের সহযোগী 

এরপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নিয়ে তিনি বেক্সিমকো গ্রুপের জুট ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। ১৫-১৬ বছর আগে ভিন্ন ধর্মের এক নারীকে বিয়ে করার পর থেকে তিনি গ্রামছাড়া। পিকে হালদারের অর্থ পাচারের কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর লীলাবতী আরেক ছেলে প্রীতিশ হালদারের বাড়ি ভারতের অশোকনগরে চলে যান। পিকে হালদারের আরেক ভাই প্রাণেশ হালদার কানাডায় অবস্থান করছেন জানা গেছে।

১০ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নিয়েই ২০০৯ সালে পিকে হালদার অদৃশ্য আশীর্বাদে রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি বনে যান। এরপর ২০১৫ সালের জুলাইয়ে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের এমডি পদে যোগ দেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে কমপক্ষে চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) মালিকানায় অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে। সেই চার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা এখন চরম খারাপ। একটি বিলুপ্তের পথে, বাকি তিনটিও গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। নানা কৌশল করে এসব প্রতিষ্ঠান দখল করেন পিকে হালদার। প্রতিষ্ঠান দখল করার জন্য নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলেছেন, শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন, দখল করা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের নামে টাকাও সরিয়েছেন। এমনকি দেশের বাইরেও তিনি কোম্পানি খোলেন।

পরিকল্পনা ছাড়াই বিদেশে প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা-এক যুগে ব্যয় ৫৫০ কোটি টাকা-যুগান্তর

সরকারের কোন খাতে কতজন বিশেষায়িত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও উচ্চশিক্ষিত জনবল দরকার, এর নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। পদ পরিকল্পনাও নেই। প্রশিক্ষণ শেষে কোথায় পদায়ন করা হবে, সেবিষয়েও নেই কোনো বাধ্যবাধকতা। এসব ছাড়াই শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম চালাচ্ছে সরকার। ফলে এগুলো তেমন কাজে আসছে না। তবে এতে কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছেন। অনেকেই লিয়েনে বিদেশে চাকরির সুযোগ বাগিয়ে নিচ্ছেন।

এক যুগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৫ হাজার ১২৪ জন ক্যাডার কর্মকর্তা বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এজন্য ‘বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারকে শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে। এর অধীনেই চলছে অপরিকল্পিত এ কর্মকাণ্ড। এতে প্রশাসনের প্রত্যাশিত মান অর্জন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্যায় চলমান। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫৩ কোটি টাকা।

জানা যায়, পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো এবং দেশের সুশাসন নিশ্চিত করতে বিদেশে প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত একটি প্রকল্প এক যুগের বেশি সময় ধরে চলছে। ‘বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারকে শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটির প্রথম ধাপ ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত শেষ হয়েছে। ২০১৮-২০২২-এর দ্বিতীয় পর্যায় চলছে। প্রকল্পটির পৃথক ধাপ দুটি থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রথম আট বছরে আড়াই হাজার অফিসারের উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণে ২৫০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে। দ্বিতীয়টির চার বছর মেয়াদে চার হাজার জনের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। যদিও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রত্যাশিত বিদেশ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্প ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে বিদেশে পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেন কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারকে শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের তৃতীয়বারের মতো সময় বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে। এর মেয়াদ ২০২৫ পর্যন্ত বাড়াতে নতুন প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সুযোগের অপব্যবহার : পরিকল্পনাহীন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জনস্বার্থে তেমন কাজে আসছে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। অভিযোগ আছে, অনেকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগকে ব্যক্তিগত স্বার্থে অপব্যবহার করছেন। বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা বিদেশে মাস্টার্স বা পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে সেখানেই লিয়েনে চাকরির ব্যবস্থা করছেন। আনুষ্ঠানিকতা সারতে দেশে এসে অনুমতি নিয়ে আবার চলে যাচ্ছেন। এমন অনেক নজির আছে। এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনতে উচ্চশিক্ষা শেষে অন্তত পাঁচ বছর দেশে কাজ করার শর্ত দিচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

অন্যদিকে যারা যে ক্ষেত্রে শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ নিয়ে আসছেন তাদেরকে সেই খাতে পদায়ন করা হচ্ছে না। উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ওপর মাস্টার্স করে দেশে ফেরা এক কর্মকর্তাকে প্রথমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পদায়ন করা হয়। বর্তমানে আছেন অন্য একটি বিভাগে। কিন্তু দেশে পিপিপির পৃথক কর্তৃপক্ষ আছে। সেখানে তার মতো দক্ষ অফিসারের কাজ দেওয়া প্রয়োজন হলেও তা পাননি। এমন অনেক কর্মকর্তাই তাদের অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগাতে পারছেন না। ক্যারিয়ার প্ল্যানিং না থাকায় তদবিরনির্ভর বদলি পদায়নই এজন্য দায়ী বলে মনে করেন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

বিপজ্জনক অবস্থায় চলে যেতে পারে রিজার্ভ-অধ্যাপক মইনুল-মানবজমিন

প্রায় সবদিক থেকে ভালো থাকা বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার চেয়ে অর্থনীতির সব সূচকে বাংলাদেশ স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছে। তবে এখন যে স্বস্তি অবস্থা আছে সেটা বেশিদিন নাও থাকতে পারে। কারণ টাকার বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না। রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়েই চলেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ হ্রাস পাচ্ছে। তাই এখনই যদি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারি রির্জাভ দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। 

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মানবজমিন-এর সঙ্গে আলাপকালে একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম এসব কথা বলেন। 

অধ্যাপক মইনুল বলেন, খুব শিগগির বাংলাদেশ কোনো সংকটে পড়বে না। কিন্তু দেশে অনেকগুলো প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন; রাশিয়ার ঋণে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।

২০২৫ সাল থেকে যখন কিস্তি শুরু হবে তখন বছরে ৫৬৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে। ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে পদ্মা সেতুর রেললাইন প্রকল্প হচ্ছে। তথ্য বলছে- এখান থেকে যে আয় হবে তা দিয়ে ঋণের কিস্তি শোধ করার কোনো সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে এটা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। এরপর এডিবি থেকে ঋণ নিয়ে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এর কিস্তির টাকা এই প্রকল্প থেকে আয়ের টাকায় শোধ করাও সম্ভব হবে না। এ ছাড়া দেশের অন্য প্রকল্পসহ আমাদের ঋণের কিস্তি ২০২৫ সালের মধ্যে ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে এখনই ঋণ এবং প্রকল্প গ্রহণে যদি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারি তাহলে শ্রীলঙ্কার মতো কঠিন অবস্থা হবে বাংলাদেশের। এখন যে স্বস্তি অবস্থা আছে সেটা বেশিদিন নাও থাকতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে ডলারের দাম বেড়েছে ৭০ পয়সা। গত সোমবার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে এক ডলারের জন্য ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব জায়গায় মুদ্রাস্ফীতির আগুন লেগেছে। তেলের বাজারে আগুন। গম সংকট। ডলার ক্রাইসিস। রেমিট্যান্স প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে কমেছে। একটা অস্থির অবস্থায় যাচ্ছে আর্থিক ব্যবস্থা। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত রোববার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ২.২৪ বিলিয়ন (২২৪ কোটি) ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর গত বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১.৯০ বিলিয়ন ডলার। গত তিন মাস ধরে (জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ) প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য আমদানি হচ্ছে দেশে। এ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এদিকে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে প্রায় ৪৬ শতাংশ। তবে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৩ শতাংশ। আবার প্রবাসী আয় যা আসছে, তা গত বছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম।

এসব বিষয়ে অধ্যাপক মইনুল বলেন, চলতি বছরই আমাদের আমদানি ব্যয় প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু রপ্তানি আয় প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি যেতে পারে। ফলে ৩০ বিলিয়ন ডলারের একটা বাণিজ্য ঘাটতি হতে পারে। সেটা তো রেমিট্যান্স দিয়ে পূরণ করতে পারবো না। রেমিট্যান্স দিয়ে সর্বোচ্চ ২০ বিলিয়ন ডলার পূরণ করতে পারবো। কাজেই আমাদের ১০ বিলিয়ন ডলারের একটা ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে।

মইনুল বলেন, ইতিমধ্যেই গত ৮ মাসে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ তা এখন ৪১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। পরের ২ মাসে এটা আরও ৪ বিলিয়ন ডলার কমে যাবে। এভাবে যদি আমাদের আমদানি ব্যয় রপ্তানি আয়ের তুলনায় বাড়তে থাকে এবং সেটা যদি রেমিট্যান্স দিয়ে পূরণ করতে না পারি তাহলে অতি দ্রুত আমাদেরও রিজার্ভ শেষ হয়ে যাবে। বিপজ্জনক অবস্থায় রিজার্ভ চলে এলে টাকারও দাম আরও কমবে। তখন অর্থনীতিতে একটা বিপদ দেখতে পাবো। এখন যে স্বস্তির অবস্থানে আছি সেটা বেশিদিন নাও থাকতে পারে। 

বেশকিছু পরামর্শ দিয়ে এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারকে এখনই আমদানি ব্যয় কঠোরভাবে দমন করতে হবে। ব্যাণিজ্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনার ওপর জোর দিতে হবে। অবৈধ চ্যানেল বা হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসার পথ বন্ধ করতে হবে। মনে রাখতে হবে শ্রীলঙ্কার আজকের এই আর্থিক দেউলিয়ার জন্য অন্যতম দায়ী হুন্ডি ব্যবস্থা বন্ধ করতে না পারা। 

কেমন বাজেট চাই’ অনুষ্ঠানে ড. দেবপ্রিয়-আসছে বাজেটে তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে-মানবজমিন

অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, এবারের বাজেট যখন প্রণীত হচ্ছে, তখন পূর্ণভাবে দেশ করোনাত্তর পুনরুজ্জীবন এখনো হয়নি। ২০১৯ সাল সবচেয়ে শেষ স্বাভাবিক অর্থবছর ছিল, সেই স্বাভাবিক অর্থবছরে আমরা এখনো ফিরে যেতে পারিনি। এখন বিশ্বের পরিস্থিতি সম্বন্ধে আপনারা অবহিত। গত ১৫ বছরের ভেতর ২০০৮-৯ বৈশ্বিক পরিস্থিতির পরে এত জটিল সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আমাদের দেশে কখনো ছিল না। তাই আসছে বাজেটে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে। 

শনিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর যৌথ উদ্যোগে ‘কেমন বাজেট চাই’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ড. দেবপ্রিয়।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে জটিল হয়েছে আমাদের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। এই সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ভঙ্গুরতা বা চ্যালেঞ্জগুলো সবচেয়ে বেশি প্রকাশ পায় আমাদের মূল্যস্ফীতির ভেতর দিয়ে। আমাদের টাকার বিনিময় হারের ভেতর দিয়ে। খুব দ্রুত যেটা আসবে আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি সুদের হার উপরের দিকে যাবে। এবং এর সঙ্গে বড় ধরনের ঘাটতি বা যে ধরনের অর্থনৈতিক সংহতি দরকার সেটার জন্য বাজেটে বার্ষিক আমাদের যে রাজস্ব বাজেট আছে তার ভেতরে ভর্তুকির পরিমাণ প্রভূত পরিমাণে বাড়বে। এবং সেটা ৫৫ হাজার কোটি টাকা থেকে ৮০-৯০ হাজার কোটি টাকায় যেতে পারে এবং ভর্তুকি প্রয়োজনীয়তা আরও খুব দ্রুততার সঙ্গে বাড়বে। 

দ্বিতীয়ত, আর্থিক সামাজিক বাস্তবতায় সরকারের দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রে অর্থের প্রয়োজন আরও বেশি হবে

এই মুহূর্তে প্রায় এক-চতুর্থাংশ অর্থ সরকারের রাজস্ব বাজেটের এখন বৈদেশিক এবং অভ্যন্তরীণ অনেক বেশি। এবং সেই জন্য সাধারণ এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির বিগত সময়ে সবচেয়ে শক্তির জায়গাটা ছিল বৈদেশিক খাত। অনেকে আপনারা আমরা উৎসাহ বোধ করি যে আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। আমরা ভুলে যাই এই রপ্তানি হলো আমাদের আমদানি পণ্যের দাম বাড়ার কারণে এটা হচ্ছে এবং বাণিজ্য ঘাটতি আমার ধারণা ৩২০০ কোটি টাকায় গিয়ে পরবর্তীতে ঠেকবে। অর্থাৎ টাকার মূল্যমান-এর উপরে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে এখনই আপনারা বাজারে দেখছেন যে ৯৪-৯৫ টাকায় এলসি খোলা হচ্ছে। আর সরকারি হিসাবে থাকে সেটা ৮৭ টাকা। এই পার্থক্যটা হচ্ছে এটাকে কতদিন সরকার টিকিয়ে রাখতে পারবে এটার ব্যাপারে আমার ঘোরতর সন্দেহ আছে। কারণ হলো- আপনার যে মজুত আছে মজুতের ৪৪ মিলিয়ন ডলার দিয়ে এখন আমরা অর্থনীতির ভাষায় স্টেরিলাইজেশন করা, অর্থাৎ টাকাকে শক্তিশালী রাখা জটিল হবে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এ বছর খুবই জটিলভাবে আছে। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে মূল্যস্ফীতি নাকি টাকার বিনিময় হার, নাকি সুদের হার- কোথায় আমরা করবো এঙ্কার করবো, কোনটাকে স্থিতিশীল রেখে অন্যগুলোকে নাড়াবো- এই সিদ্ধান্তে আমাদের আসতে হবে।

তৃতীয়ত, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থানে আপনার খুব ভালো করে জানেন যে ৩১ শতাংশ জিডিপি তার ভেতরে ২৩ শতাংশ আমাদের ব্যক্তি খাতের- এইটা আমার ২০১৮-১৯ সালের পর থেকে আদৌ বাড়েনি। এর ফলে অবধারিতভাবে কর্মসংস্থানের বিষয়টি সামনে চলে আসে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি প্রকাশ্য এবং প্রচ্ছন্ন বেকারত্ব কর্মহীনতা যেটা করোনাকালে শুরু হয়েছিল এবং করোনা আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগের পরে তৃতীয় যে অগ্রাধিকারের কথা বলবো সেটা হল- সুরক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে। অবশ্যই এই মুহূর্তে সুরক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে স্বল্প আয়ের মানুষদের করযোগ্য সীমা অবশ্যই সাড়ে তিন লাখ টাকাতে নিয়ে যাওয়া উচিত। এবং এটাকে বাড়ানো উচিত। একইরকমভাবে আমাদের দেখা উচিত যে এর বাইরে আর কোন কোন দুর্গত জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে পারি কিনা।

এনটিভির হেড অব নিউজ জহিরুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিকেএমইএ এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আলোচনায় অংশ নেন।

কৃষির রাজকুমার! গ্রামের বাজারে লতি বিক্রি ডক্টর প্রিন্সের-কালের কণ্ঠ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বাবুলের বাজারে লতি বিক্রি করছিলেন ডক্টরেট ডিগ্রিধারী আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। বিষয়টি দেখে অনেকে আশ্চর্য হয়েছেন। কেউ ছবিও তুলেছেন। সেই ছবির কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালও হয়ে গেছে। গত দুইদিন ধরে ফেসবুকে তাঁর ছবি ঘুরছে।  

কিষান কৃষি উদ্যোগ নামের একটি আইডিতে আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স লিখেছেন, ‘আজকে স্থানীয় বাজারে ১৬ কেজি কচুর লতি বিক্রি করলাম, কেজি ৫০ টাকা। বাজারের সবচেয়ে দামী সবজি এখন। পাইকার বলেছিল ৪০ টাকা, দেই নাই। তবে লতির সম্ভবত জাত পাত আছে, আরেকটু মোটা সেগুলো একটু কম। যদিও তিন জনের কাছ থেকে বাজার দামের থেকেও কম নিয়েছি, কারণ তাদের কাছে লতি কেনার তেমন টাকা ছিল না। লতিটা বিলের পাশের এলাকার একটা অভিজাত আইটেম, কারণ এখানে হরহামেশা গুড়া মাছ পাওয়া যায়। আইডিয়ায় নেওয়া। মনে হচ্ছিল ক্ষেতে ১ মণ প্রডাকশন হলেও বিক্রি হতো। এই সময় ধান কাটা কামলাদের হাতে টাকা থাকে। ’

পোস্টে আরো লেখে হয়, ‘পোস্টটি দেখার পর ছবির পাশের পিচ্চিটার জন্য মায়া লাগতেছে, বেচারার বয়স সম্ভবত ৫-৬ বছর হবে। আমাদের ৫-৬ বছর বয়সের বাচ্চাদের সঙ্গে একটু কম্পেয়ার করি। ’

আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্সকে নিয়ে যা জানা গেল

বড় ঘরের বড় ছেলে। বড় হয়ে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সময়ে সব সুযোগ এলেও আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স চাইলেন কৃষক হতে। এর আগে ২০০০ সালে স্নাতকোত্তর হন প্রিন্স। তারপর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবি থেকে কৃষি ব্যবসায় এমবিএ ডিগ্রি নেন ২০০৬ সালে। আরো পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. হরিপদ ভট্টাচার্যের তত্ত্বাবধানে ডক্টরেট হন।  

তিনি ২০১৪ সালে শখের বশে নিজের গ্রামে ফলের বাগান করেন। গড়ে তোলেন কিষান সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ। এরপর দেশ-বিদেশ থেকে উন্নত ফলগাছের চারা ও বীজ সংগ্রহ করে বাগানে লাগাতে থাকেন।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে রাঙামাটিয়া ইউনিয়নের হাতিলেইট গ্রামে প্রিন্সের বাগান। বাগানে ঢোকার মুখেই গাছের নামের তালিকা দেখা যায়। ছোট্ট একটি সাইনবোর্ডে লেখা আছে  ‘কিষান সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ’। ড্রাগন ফল বাগানে তিন প্রজাতির পাঁচ হাজার গাছ আছে। আছে মাহালিশা, কিউজাই, ব্রুনাই কিং, বাউ-৪, কাঁচামিঠা, তাইওয়া গ্রিন, কাটিমন, পালমার, মল্লিকাসহ ১০ প্রজাতির আম, চায়না থ্রি, মঙ্গলবারিসহ তিন প্রজাতের লিচু, মিসরীয় শরিফা, স্ট্রবেরি, চেরি, থাই পেয়ারা, আম, লেবু, জাম্বুরা, লটকন, মাল্টা, সফেদা, আতাফল, কদবেল, আমলকী, ডেউয়া, ডুমুর, কাঠবাদাম, জামরুল, থাই জাম্বুরা, লটকন, মল্টা ও কলা ইত্যাদি ফলগাছ। দেশি-বিদেশি পাঁচ হাজার ফলগাছের একটি নার্সারি রয়েছে বাগানে।

প্রিন্সের ভাবনা

আমাদের কৃষিজমির সংখ্যা কমছে। অথচ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক। এ পরিস্থিতিতে অল্প স্থানে বেশি উৎপাদন করতে না পারলে ভবিষ্যতে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে। সেই চিন্তা থেকেই বাগান করেন প্রিন্স। পরিকল্পিত একটি ফলের বাগান গড়তে সময় লাগে কমপক্ষে সাত থেকে আট বছর। ‘কিষান সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ’ বাগানটির বয়স হয়েছে সাত বছরেরও বেশি। তিনি চান দেশে আরো অনেক কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি করতে।

প্রিন্সের লক্ষ্য নিরাপদ ও বিষমুক্ত ফল আবাদ। বাগানে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে তিনি নিজের উৎপাদিত কেঁচো সার ও জৈব সার ব্যবহার করেন। ফলগাছে পোকা-মাকড় নিধনে বেশি ব্যবহার করেন বিভিন্ন ধরনের ট্র্যাপ বা ফাঁদ।

সেনা অভ্যুত্থান, পুতিনের পতন আসন্ন: ইউক্রেনীয় জেনারেলের চাঞ্চল্যকর দাবি!-বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সরাতে সেনা অভ্যুত্থানের প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল কিরিলো বুদানভ। তার দাবি, কোনোভাবেই এই সেনা অভ্যুত্থান থামানো যাবে না। 

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ফেডারেশনের নেতৃত্ব পরিবর্তন ঘটাবে এটি। এই প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে, তারা পরিকল্পনা মাফিক সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া সরসারি সাক্ষাৎকারে তিনি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা তাদের রাস্তায় আগাচ্ছে এবং তাদের রোখা অসম্ভব।’

এসময় পুতিন শারীরিক ও মানসিকভাবে খুব খারাপ অবস্থায় আছেন বলেও মন্তব্য করেছেন এই ইউক্রেনীয় জেনারেল। তার দাবি পুতিন ক্যান্সারসহ নানা রোগে ভুগছেন। এসময় তিনি জোর গলায় দাবি করেছে, তিনি কোনোরকম প্রোপাগাণ্ড ছড়াচ্ছেন না।

এ বিষয়ে রাশিয়া এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। 

অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, ‘গমযুদ্ধ’ ঠেকাতে রাশিয়াকে আরও চাপে রাখবে জি-৭

রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে একঘরে করে রাখতে আরও চাপ বাড়ানোর হুংকার দিয়েছে জি-৭। সংস্থাভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সভা শেষে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবেন তারা। এই যুদ্ধকে গম যুদ্ধ বলে আখ্যা দিয়েছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

জার্মানির বাল্টিক সাগরের ঐতিহাসিক রিসোর্ট ওয়েইসেনহাউসে বৈঠকের পর যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌভভাবে এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

যৌভ বিবৃতিতে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কী এই যুদ্ধ প্রশমনে যথেষ্ট করতে পেরেছি? এটা আমাদের যুদ্ধ নয়, এটা রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের যুদ্ধ, কিন্তু আমাদের বৈশ্বিক দায়িত্ব আছে।’

এসময় যতো দ্রুত সম্ভব রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস ও কয়লা আমদানি বন্ধের চেষ্টা করা হবে বলেও জানিয়েছে জি-৭ এর নেতারা।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

২০২৪ লোকসভায় গান্ধী পরিবার থেকে প্রার্থী শুধু রাহুল! ‘অ-গান্ধী’ হিসাবে লড়তে পারেন প্রিয়াঙ্কা-সংবাদ প্রতিদিন

আগামী লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন না সোনিয়া গান্ধী? উদয়পুরে কংগ্রেসের নবসংকল্প শিবিরে শোনা যাচ্ছে এমনই ফিসফাস। বয়স ৭৫। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তার উপর আবার আসতে চলেছে এক পরিবার-এক প্রার্থীর নিয়ম। সব মিলিয়ে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে অংশ নাও নিতে পারেন কংগ্রেস দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। যদিও দলের নিয়মে সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কার একসঙ্গে অংশ নিতে কোনও সমস্যা নেই। তবু দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সোনিয়া এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বলে কংগ্রেসের (Congress) একটি সূত্রের দাবি। সেক্ষেত্রে গান্ধী পরিবার থেকে টিকিট পাবেন শুধুই রাহুল (Rahul Gandhi)। বিয়ে হয়ে যাওয়ায় প্রিয়াঙ্কাকে অ-গান্ধী হিসাবেই দেখা হতে পারে। তিনদিন ব্যাপী নবসংকল্প শিবিরের প্রথম দিনে সংগঠনকেন্দ্রিক কিছু বৈপ্লবিক সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত মিলেছিল।

বেকারত্ব ইস্যু নিয়ে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পদযাত্রা কর্মসূচি কংগ্রেসের, থাকবেন রাহুলও-আজকাল

রাহুল গান্ধী

কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পদযাত্রা এবং ‘জনতা দরবার’ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। এক বছর ব্যাপী এই কর্মসূচিতে দেশের মানুষের সঙ্গে সযোগ স্থাপনের চেষ্টায় পথে নামবেন রাহুল গান্ধীও। সূত্রের খবর, দেশব্যাপী এই পদযাত্রায় জনগণের সামনে বেকারত্বের ইস্যু তুলে ধরবেন কংগ্রেস নেতারা। উদয়পুরে তিন দিন ব্যাপী দলের চিন্তন শিবিরে গৃহীত ‘জন জাগরণ ২.০’ কর্মসূচির অংশ হিসেবেই এই পদযাত্রার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়, বেকারত্বকে তুলে ধরে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত পদযাত্রা হওয়া উচিত যাতে রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেস নেতারা বিভিন্ন সময়ে যোগ দেবেন।

ঝুলে ২ লাখ মামলা! ৩ বিচারপতি নিয়োগের পরও ৩০% পদ শূন্যই রইল কলকাতা হাই কোর্টে-আনন্দবাজার পত্রিকা

কলকাতা হাই কোর্টে মোট ৭২ জন বিচারপতি থাকার কথা। এত দিন ছিল ৩৯ জন। মাঝে এক জন বিচারপতি অবসর নেন। এখন নতুন তিন জন নিয়োগের ফলে বেড়ে হল ৪১। অর্থাৎ, এখনও প্রায় ৩০ শতাংশ বিচারপতির আসন শূন্য রয়েছে উচ্চ আদালতে। ফলে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের তথ্য বলছে এখনও প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৯ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। 

দুই লাখের বেশি মামলা ঝুলে রয়েছে। বিচারপতির অভাবে শুনানির জন্য উঠছেই না অনেক মামলা। এমন এক পরিস্থিতিতে নতুন তিন বিচারপতি পেল কলকাতা হাই কোর্ট। শনিবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, আপাতত দুই বছরের জন্য তিন জুডিশিয়াল অফিসারকে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হল। ফলে এখন উচ্চ আদালতের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল ৪১।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৫

ট্যাগ