জুন ২৮, ২০২২ ১৬:৪০ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ২৮ জুন মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • আগের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি ও র‌্যাবের সংস্কার চায় যুক্তরাষ্ট্র-পিটার ডি হাস-মানবজমিন
  • পদ্মা সেতু-দুর্নীতির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের নির্দেশ-প্রথম আলো
  • বন্যায় দেড় লাখ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত-ভেসে গেছে ৮২৫ কোটি মাছের পোনা-যুগান্তর
  • বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সাত লাখ টাকা দিয়েও আয়া পদে চাকরি হয়নি রেশমার!-কালের কণ্ঠ
  • প্রচণ্ড দাবদাহে জাপানে বিদ্যুৎ সংকট, সতর্কতা জারি-বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতের শিরোনাম:

  • ‘অগ্নিপথ আসলে দুর্নীতি, লোকসভা ভোটের আগে ললিপপ দেখাচ্ছে BJP’, ফের তোপ মুখ্যমন্ত্রীর-সংবাদ প্রতিদিন
  • অবশেষে মুম্বই আসছেন শিন্ডে সহ বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়করা -আজকাল 
  • দেশের ১৪৪ হারা কেন্দ্র দখলের তোড়জোড়, বাংলায় তেমনই ১৯ আসন পদ্মের নজরে -আনন্দবাজার পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

জনাব সিরাজুল ইসলাম কথাবার্তার বিশ্লেষণে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১) চিরচেনা পাটুরিয়া ঘাটের অচেনা রূপ। এই খবরে গরিব অসহায় মানুষের কষ্ঠের কথা ফুটে উঠেছে। তাহলে কী উন্নয়ন অনেকের কষ্টের কারণ হলো?

২) আজ দোহায় শুরু হচ্ছে ইরান –আমেরিকা পরোক্ষ আলোচনা। কীভাবে এই আলোচনা হবে এবং কী ফলাফল আসতে পারে বলে মনে করেন?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

পদ্মা সেতু-দুর্নীতির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের নির্দেশ-প্রথম আলোর এ খবরে লেখা হয়েছে, পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যোগাযোগসচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

ফেরিতে পদ্মা নদী পারাপার বন্ধ। সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। পিকআপে মোটরসাইকেল নিয়ে সেতু পার হওয়াতেও বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই কৌশলে মোটরসাইকেল পিকআপে তুলে সেগুলো ত্রিপলে ঢেকে মালামালের গাড়ি বলে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলগামী মোটরসাইকেল আরোহীরা।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাওয়া টোল প্লাজায় এমন চিত্রই দেখা গেছে। তবে বাস-ট্রাক প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন টোল প্লাজার সামনে আসছে। কোনো রকম অপেক্ষা ছাড়াই এসব যানবাহন টোল পরিশোধ করে সেতুতে উঠে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে।

তবে, নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত সাময়িক।

বন্যায় দেড় লাখ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত-ভেসে গেছে ৮২৫ কোটি মাছের পোনা-যুগান্তর

এবারের অপ্রত্যাশিত বন্যায় দেড় লাখ হেক্টরের বেশি ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে প্রায় ৮০ হাজার পুকুর, দিঘি ও মাছের খামার ক্ষতির কবলে পড়ছে। ভেসে গেছে ৮২৫ কোটি মাছের পোনা। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তর-সংস্থা সূত্রে এসব প্রাথমিক তথ্য জানা গেছে। বন্যা চলমান থাকায় এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি খাতে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৪০ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৭৯ হাজার ৭১২ হেক্টর আউশ ধানের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বোনা আমন ৩০ হাজার ১৩৬ হেক্টর, সবজি ১৫ হাজার ৪২৬ হেক্টর, রোপা আমনের বীজতলা ১ হাজার ৬১ হেক্টর ও অন্যান্য ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩ হাজার হেক্টর। দেশের মোট ২০ জেলা থেকে ক্ষয়ক্ষতির এ চিত্র জানা গেছে।

এদিকে, বন্যাকবলিত সিলেট-সুনামগঞ্জে রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত অংশে ব্রিজ-কালভার্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।

আগের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি ও র‌্যাবের সংস্কার চায় যুক্তরাষ্ট্র-পিটার ডি হাস-মানবজমিন

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব রয়েছে। তবে, অনেকে এই প্রভাব নিয়ে অতিরঞ্জিত কথাও বলছেন। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাব কর্তৃক আগে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি দেখতে চাওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন এমন কিছু না হয় সেজন্য বাহিনীটির সংস্কার চায়। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূত পিটার হাস  দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরে ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক, রোহিঙ্গা ইস্যু, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়েও বিভিন্ন প্রশ্নের খোলামেলা জবাব দিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন আনিস আহমেদ। 

সাক্ষাৎকারের শুরুতেই প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বর্ষপূর্তি নিয়ে। রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের, বন্ধুত্বের ৫০তম বর্ষপূর্তির এই সময়ের চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে! গত ৫১ বছরে বাংলাদেশ অসাধারণ সব উন্নতি করেছে।

একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে কেবল স্বাধীনতার ধারণা নিয়ে পথচলা দেশটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চমৎকার উন্নতি করেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় দেশটি এশিয়ার মধ্যে অন্যতম। উন্নতি করেছে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণেও। আমার কাছে যেটা বিস্ময়কর সেটা হলো, ৯৬% টিকাদানের হার, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ।

বিগত ৫০ বছরের এসব সাফল্যের পর এখন সময় সামনের ৫০ বছরটা কেমন যাবে সেটা ঠিক করা। কারণ, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করতে চলেছে এবং দেশটিকে গত ৫০ বছরের তুলনায় ভিন্নধর্মী, নতুন নতুন সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে তিনি মনে করেন, গণতন্ত্রের পথে আরও বেশি অগ্রসর হওয়া, আরও অর্থনৈতিক উদারীকরণসহ যেসব চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে রয়েছে; সেগুলো ইতিমধ্যেই অতিক্রম করে আসা চ্যালেঞ্জগুলোর তুলনায় কিছুই না। 

গত বছর ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার’ অভিযোগে বাংলাদেশের বিশেষ পুলিশ র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। র‍্যাব কর্মকর্তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য ছিল এমন: এটা একদম পরিষ্কার- আমাদের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুঝিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রয়েছে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার। এই ইস্যুটি (র‍্যাব) নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই কথা বলে আসছি। বিচারবহির্ভূত হত্যা একটা ইস্যু। মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদনগুলোতে র‍্যাব দ্বারা বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়টি অনেক বছর ধরেই উঠে এসেছে। এসব নিয়ে উদ্বেগের কারণে আমরা ২০১৮ সালে র‍্যাবকে প্রশিক্ষণ প্রদানও বন্ধ করে দিয়েছি। সুতরাং, অবশ্যই র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার একটা প্রভাব তো রয়েছেই। এগুলো অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমি মনে করি, অনেকে এর প্রভাব নিয়ে অতিরঞ্জিত কথা বলছে। আমাদের সম্পর্ক অনেক বিস্তৃত, আমরা অনেক কিছু নিয়ে কাজ করি। সেটা একটা মাত্র ইস্যু। নিরাপত্তা ক্ষেত্রে যেমন আমরা নিরাপত্তা বাহিনীকে নিবিড়ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশে ইতিপূর্বে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি দেখতে চাই এবং ভবিষ্যতে র‍্যাব যেন এমন কিছু না করে সেজন্য বাহিনীটির সংস্কার চাই।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

দেশের ১৪৪ হারা কেন্দ্র দখলের তোড়জোড়, বাংলায় তেমনই ১৯ আসন পদ্মের নজরে-আনন্দবাজার

তৃতীয় বার নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর লক্ষ্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি। কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফেরা তো বটেই। পাশাপাশি শক্তিবৃদ্ধিরও লক্ষ্য নিয়েছে গেরুয়া শিবির। দল ঠিক করেছে, দেশের এমন ১৪৪টি আসনে এখন থেকে শক্তি বাড়ানোর কাজ শুরু হবে, যেখানে গত লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য আসেনি। বাংলায় এমন লোকসভা আসনের সংখ্যা ১৯। কোন কোন আসন সেই তালিকায় রয়েছে, তা প্রকাশ্যে না এনেই কর্মসূচি সফল করতে উদ্যোগী রাজ্য বিজেপি। গোটাটাই হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশমতো। সম্প্রতি বিজেপি সর্বভারতীয় সমীক্ষার মাধ্যমেই দেশের ১৪৪ এবং বাংলার ১৯ আসন বেছেছে। কোন কোন আসন বাছা হয়েছে, তা রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হলেও আপাতত তা গোপন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবারই ৫০ বিধায়ক পৌছচ্ছেন মুম্বই! উদ্ধবকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ শিন্ডের-আনন্দবাজার পত্রিকা/আজকাল

মহারাষ্ট্রের মসনদের দখল নিয়ে নাটক জমে উঠেছে। এত দিন গুয়াহাটিতে বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে থাকছিলেন তাঁদের নেতা একনাথ শিন্ডে। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের পদ খারিজের নোটিস খারিজ করতেই মঙ্গলবার শিন্ডে গুয়াহাটির হোটেল ছেড়েছেন। মঙ্গলবার গুয়াহাটির হোটেলের বাইরে এসে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘শীঘ্রই মুম্বই আসছি।’ শিন্ডে এদিনও হুঙ্কার ছেড়েছেন, ‘আমরাই প্রকৃত শিবসেনা। শীঘ্রই মুম্বই যাব আমরা।’ এদিকে শোনা যাচ্ছে, দিল্লি গিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন শিন্ডে। তবে শিন্ডে ও বিদ্রোহী সেনা বিধায়করা এই বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে শিন্ডে এদিন বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে স্বেচ্ছায় ৫০ জন বিধায়ক রয়েছেন। পরবর্তী পদক্ষেপের কথা দ্রুত জানানো হবে। বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’ রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করতে পারেন শিন্ডে। 

উদ্ধব পুত্র আদিত্য ঠাকরে দাবি করেছিলেন, গুয়াহাটিতে শিন্ডের সঙ্গে থাকা ১৫ জন বিদ্রোহী বিধায়ক উদ্ধব শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যদিও শিন্ডে এদিন জানিয়েছেন, ‘স্বেচ্ছায় বিধায়করা আমার সঙ্গে রয়েছেন।’ এদিকে শরদ পাওয়ারের এনসিপি আবার জানিয়েছে, বিরোধী আসনে বসতে তাদের আপত্তি নেই। তবে মহারাষ্ট্র সরকারের ভবিষ্যৎ কী হবে তা ঠিক করতে হবে ওই ৫০ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে।  

‘অগ্নিপথ আসলে দুর্নীতি, লোকসভা ভোটের আগে ললিপপ দেখাচ্ছে BJP’, ফের তোপ মুখ্যমন্ত্রীর-সংবাদ প্রতিদিন

ফের কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর কটাক্ষ, “অগ্নিপথ প্রকল্প আসলে দুর্নীতি। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে ললিপপ দেখাচ্ছে বিজেপি।” একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, “ভোট মিটলেই অগ্নিবীরদের বাড়ি পাঠিয়ে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।” তাই তাঁর আরজি, বিজেপির ফাঁদে পা দেবেন না।

মঙ্গলবার আসানসোলের পোলো গ্রাউন্ডে কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখান থেকেই কর্মসংস্থান থেকে অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “৪ বছর চাকরি দেয়নি ওরা। আর এবার সাধারণ ছেলেমেয়েরা এই প্রশিক্ষণ (অগ্নিপথ প্রকল্প) পাবেন না। প্রশিক্ষণ পাবেন বিজেপির কিছু শাখার লোকজন। সেনাকে সামনে রেখে চালাকি করছে কেন্দ্রীয় সরকার।” তাঁর দাবি, “অগ্নিপথ প্রকল্পে রাজ্যে পিছু কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে চাকরি পাবেন। তাও মেরেকেটে মাত্র ৪ বছরের জন্য।” এরপর সেই ছেলেমেয়েদের চাকরি দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। কেন্দ্রের তরফে এমন নির্দেশিকা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৮

ট্যাগ