গাজায় ইসরাইলি অপরাধের ওপর চিত্রিত কয়েকটি শিল্পকর্ম পর্যালোচনা
https://parstoday.ir/bn/news/world-i150702
পার্সটুডে-বিশ্বজুড়ে শিল্পীরা গাজা ট্র্যাজেডির প্রতিকৃতি প্রভাবশালী শিল্পকর্মে পরিণত করার চেষ্টা করছেন।
(last modified 2025-07-29T13:25:46+00:00 )
জুলাই ২৬, ২০২৫ ২০:২০ Asia/Dhaka
  • হিন্দ রজব থেকে খাদ্য অঞ্চল পর্যন্ত; গাজায় ইসরাইলি অপরাধের ওপর চিত্রিত কয়েকটি শিল্পকর্ম পর্যালোচনা
    হিন্দ রজব থেকে খাদ্য অঞ্চল পর্যন্ত; গাজায় ইসরাইলি অপরাধের ওপর চিত্রিত কয়েকটি শিল্পকর্ম পর্যালোচনা

পার্সটুডে-বিশ্বজুড়ে শিল্পীরা গাজা ট্র্যাজেডির প্রতিকৃতি প্রভাবশালী শিল্পকর্মে পরিণত করার চেষ্টা করছেন।

পশ্চিমা মিডিয়া যখন নীরব রয়েছে বরং কখনও কখনও গাজার চিত্রকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে, তখন শিল্পীরা এমনসব প্রভাবশালী শিল্পকর্ম তৈরি করছেন যেগুলো গাজার জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলি অপরাধের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরছে। পার্সটুডে'র এই নিবন্ধে সেইসব সৃষ্টিকর্মের নমুনা উপস্থাপন করা হলো:

নীরব রয়েছে বা গাজায় কী ঘটছে তার একটি বিকৃত বর্ণনা উপস্থাপন করছে, সেখানে শিল্পীরা প্রভাবশালী কাজ তৈরি করছেন যা গাজার জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সরকারের অপরাধের সত্যতা প্রকাশ করে। পার্স টুডে-র এই নিবন্ধটি এই প্রকাশক সৃষ্টির কিছু উদাহরণ উপস্থাপন করে:

হিন্দ রজব থেকে হাঞ্জালা পর্যন্ত
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে, যখন গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল, তখন থেকে আলজেরিয়ান শিল্পী আবুল হাক আবিনা ইসরাইলি সেই পাশবিক হামলায় শহীদ ফিলিস্তিনিদের মুখ চিত্রিত করে আসছেন। তার এই চিত্রকর্মের লক্ষ্য হলো ইহুদিবাদী নৃশংসতার শিকার যারা তাদের, বিশেষ করে শিশুদের, ভুলে না যাওয়া এবং কেউ যেন তাদের মুষ্টিমেয় সংখ্যা হিসেবে না দেখে বরং অনন্য মানুষ হিসেবে দেখে। আবিনার সবচেয়ে প্রভাবশালী কাজগুলোর একটি হল হিন্দ রজবের প্রতিকৃতি অঙ্কন। ৬ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি মেয়ে যার জীবনের শেষ মুহূর্তের কণ্ঠস্বর রেকর্ড করা হয়েছিল এবং ব্যাপকভাবে তা ভাইরাল হয়েছিল। আবিনা বলেছিল: "এই শিশুটিকে গণহত্যাকারী খুনিরা শহীদ করেছে। আমি তার মুখ চিত্রিত করতে চেয়েছিলাম, কারণ সে ফিলিস্তিনে মারা যাওয়া সমস্ত শিশুর প্রতিনিধিত্ব করে, যাদের চেহারা কিংবা নাম নিশানাও ইউরোপীয় মিডিয়ায় দেখা যায় না।"

আলজেরিয়ার শিল্পী আবুল হাক আবিনার আঁকা হিন্দ রজবের চিত্রকর্ম

তার একটি চিত্রকর্মে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মুখের ছবি একত্রিত করা হয়েছে: গাজার একজন ডাক্তার, একজন সাংবাদিক, সন্তান কোলে ধরে রাখা একজন মা, পাশাপাশি প্রত্যাবর্তনের চাবি (ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনের অধিকারের প্রতীক), জলপাইয়ের ডাল (শান্তির প্রতীক), স্কুলের নোটবুক (হারানো নিষ্পাপ সত্তার প্রতীক) এবং হানজালা, ফিলিস্তিনি কার্টুনিস্ট এবং সাংবাদিক নাজি আল-আলি দ্বারা নির্মিত প্রতীকী ছেলে, যিনি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

আলজেরিয় শিল্পী আবুল হাক আবিনার আরেকটি শিল্পকর্ম: গাজার জনগণের ওপর নিপীড়নের চিত্র

একজন ইরানি শিল্পীর আঁকা ক্ষুধার্ত গাজাবাসীর চিত্র
"হাসান রুহুল আমিন" নামের একজন ইরানি চিত্রশিল্পীও সম্প্রতি গাজার জনগণের দুর্ভোগ এবং ক্ষুধার বর্ণনা দিয়ে একটি চিত্র আঁকেন। তিনি গাজার ক্ষুধার্ত জনগণের ওপর এই শিল্পকর্মটি তৈরি করেন এবং দর্শকদের সামনে তা উপস্থাপন করেন। "রুহুল আমিন" তার কাজের বর্ণনায় লিখেছেন: "প্রভু, তোমার উজ্জ্বল সূর্য কোথায়?"

ইরানি শিল্পী হাসান রুহুল আমিনের একটি শিল্পকর্মে গাজার মানুষের ক্ষুধার চিত্র

"কামাল শরাফ", একজন ইয়েমেনি কার্টুনিস্ট, ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যার কার্টুন ব্যঙ্গচিত্র সাইবারস্পেসে প্রচুর ভিউ পেয়েছে, তিনি গত কয়েকদিনে গাজার শিশুদের এবং ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে তাদের ক্ষয়ক্ষতির ওপর কাজ করেছেন, যার একটি উদাহরণ নীচে দেওয়া হল।

শিল্পী কামাল শরাফের একটি কার্টুনে ইসরাইলি অপরাধে জড়িত থাকার চিত্র

"মাসুদ শোজায়ি তাবাতাবাই", একজন ইরানি কার্টুনিস্ট, তার কার্টুনে "খাদ্য অঞ্চল"কে বিবেচনা করেছেন। এই কাজটি খাদ্যে ভরা একটি অঞ্চলকে তুলে ধরে, কিন্তু গাজার শিশুরা গুলি এবং বোমা বিস্ফোরণের বৃষ্টির মধ্যে ছাই আর রক্তের মধ্যে এক টুকরো রুটির জন্য দৌড়ায়, তাদের ক্ষুধা মৃত্যুর কোলে হারিয়ে যাওয়া কান্না।

খাদ্য অঞ্চল, ইরানি শিল্পী মাসুদ শোজায়ি তাবাতাবাইয়ের শিল্পকর্ম

পার্সটুডে/এনএম/২৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।