রংধনু আসর :
হযরত আলী (আ.)'র বীরত্ব ও মহানুভবতা
রংধনু আসরের কাছের ও দূরের শিশু-কিশোর বন্ধুরা, কেমন আছো তোমরা? আশাকরি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো ও সুস্থ আছো। আজকের আসরে তোমাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি নাসির মাহমুদ এবং আমি আকতার জাহান।
বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই আমিরুল মুমিনীন হযরত আলী (আ.)-এর নাম শুনেছো। তিনি ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অতুলনীয় ও শ্রেষ্ঠ বীরযোদ্ধা। আসাদুল্লাহ বা ‘আল্লাহর সিংহ’ ছিল তাঁর উপাধি। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা:)’র জীবদ্দশায় প্রায় প্রতিটি যুদ্ধে বিজয়ের তিনিই ছিলেন প্রধান স্থপতি।
হযরত আলী (আ.)'র আকাশ-ছোঁয়া বীরত্ব ও মহত্ত্ব কেবল মুসলিম কবি, সাহিত্যিক বা মনীষীদেরই প্রভাবিত করেনি, অমুসলিম পণ্ডিতরাও তার সুবিশাল ব্যক্তিত্বের ব্যাপকতায় অভিভূত ও হতবাক হয়েছেন। তাঁর মহত্ত্ব ও উদারতার প্রশংসা করে আর ডি ওসবোর্ন বলেছেন, আলী (আ.) ছিলেন মুসলমানদের ইতিহাসের সর্বোত্তম আত্মার অধিকারী সর্বোত্তম ব্যক্তি।
ওয়াশিংটন আরভিং বলেছেন, "সব ধরনের নীচতা ও কৃত্রিমতা বা মিথ্যার বিরুদ্ধে আলী (আ.) ছিলেন মহৎ। সমালোচনা এবং আত্মস্বার্থকেন্দ্রিক সব ধরনের কূটচাল থেকে তিনি নিজেকে দূরে রেখেছিলেন।"
ঐতিহাসিক মাসুদির মতে, রাসূল (সা.)'র চরিত্রের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল যার ছিল তিনি হলেন হযরত আলী। আমীরুল মুমিনীন আলী সম্পর্কে মাওলানা রুমী লিখেছেন,
“সাহসিকতায় তুমি ছিলে খোদার সিংহ তা জানি
পৌরুষত্বে আর বদান্যতায় তুমি কী তা জানেন শুধুই অন্তর্যামী।”
হযরত আলী (আ.) শুরু থেকেই হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুরক্ষায় কাজ করেছিলেন এবং মুসলমানদের প্রায় সকল যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। অকুতোভয় যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। বদর যুদ্ধ বিশেষ বীরত্বের জন্য নবীজি তাঁকে 'জুলফিকার' নামক তরবারি উপহার দেন। খাইবারের সুরক্ষিত কামুস দুর্গ জয় করলে মহানবী তাঁকে 'আসাদুল্লাহ' বা 'আল্লাহর সিংহ' উপাধিতে ভূষিত করেন।
বন্ধুরা, এসব কথা বলার উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছো! হ্যাঁ, আজকের আসরে আমরা হযরত আলীর বীরত্ব ও মহানুভবতা সম্পর্কে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। অনুষ্ঠানটি তৈরি করেছেন সহকর্মী আশরাফুর রহমান।

বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে, দ্বিতীয় হিজরির ১৭ই রমজান বদর প্রন্তরে মক্কার মুশরিকদের সঙ্গে মুসলমানদের সংঘটিত যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ। ওই যুদ্ধে এক হাজার কুরাইশ যোদ্ধা সশস্ত্র অবস্থায় তিনশ’ তেরজন মুসলমান সেনার মুখোমুখি হয়। অসম এই যুদ্ধে মুসলমানরা জয়ী হল। এ যুদ্ধে সত্তরজন কুরাইশ নিহত হয়। এর মধ্যে ৩৫ জন বড় যোদ্ধা ও গোত্রপতি হযরত আলী (আ.)-এর হাতে নিহত হয়।
এরপর তৃতীয় হিজরিতে কুরাইশরা বদর যুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য মদিনায় দিকে যাত্রা করে। মহানবীও তাদের মোকাবিলা করার জন্য মদিনা থেকে বের হলে দু’দল উহুদ প্রান্তরে পরস্পরের মুখোমুখি হয়। মহানবী (সা.)- এ যুদ্ধে শ্রেষ্ঠ বীর হযরত আলীর হাতে ইসলামের পতাকা দিলেন। সে সময় যুদ্ধে ওই ব্যক্তির হাতেই পতাকা অর্পণ করা হতো যে সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা এবং যদি তার হাত থেকে পতাকা পড়ে যেত তবে তারপর যে শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা তার হাতে তা দেওয়া হতো। উহুদের যুদ্ধে কুরাইশদের নয় জন শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা যারা একের পর এক পতাকা ধারণ করেছিল যারা সবাই হযরত আলীর হাতে নিহত হয় যা কুরাইশদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
পঞ্চম হিজরির জিলকদ মাসে মক্কার মুশরিকরা দশ হাজার সৈন্য নিয়ে মদীনা আক্রমণের পরিকল্পনা করে। মুসলমানরা হযরত সালমান ফারসির পরামর্শে বিশাল এক পরিখা খনন করে যাতে মুশরিক সেনাদল মদীনায় প্রবেশ করতে না পারে। আমর ইবনে আবদে উদ নামের আরবের এক প্রসিদ্ধ বীর তার ঘোড়া নিয়ে পরিখা অতিক্রম করে মুসলমানদের সামনে এসে মল্লযুদ্ধের আহ্বান জানায়। মুসলমানরা তার বিশাল দেহ ও রণমূর্তি দেখে তার মুখোমুখি হওয়ার সাহস পাচ্ছিল না। সে তাদের আহ্বান করে বলছিল, ‘তোমরা তো বিশ্বাস কর যে, তোমাদের কেউ নিহত হলে বেহেশতে যাবে তাহলে কেন অগ্রসর হচ্ছ না?’ তখন মহানবী (সা.) সাহাবীদের আহ্বান করে বললেন,‘তোমাদের মধ্যে কে তার সঙ্গে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত আছ?’
হযরত আলী (আ.) বললেন, ‘আমি আছি’। তখন নবীজি তাঁর পাগড়ি খুলে আলী (আ.)-এর মাথায় বেঁধে দিলেন। আলী আমরের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘আমি তোমাকে তিনটি প্রস্তাব দিচ্ছি, এর মধ্যে যে কোন একটি মেনে নাও : এক. ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে যাও; দুই. যে সৈন্যদলসহ এসেছ তা নিয়ে ফিরে যাও; তিন. যেহেতু আমার ঘোড়া নেই তাই যুদ্ধ করার জন্য ঘোড়া থেকে নেমে আস।’
আমর বলল, ‘আমি তোমার তৃতীয় প্রস্তাব মেনে নিচ্ছি।’ অতঃপর সে ঘোড়া থেকে নেমে আসল। উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে সে তরবারি দিয়ে হযরত আলীর ওপর আঘাত হানল। তিনি ঢাল দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করলে তা দ্বিখণ্ডিত হয়ে তাঁর মাথায় আঘাত হানল। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায়ই তার সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকলেন। সুযোগ বুঝে তিনি আমরের পায়ে তরবারি দিয়ে আঘাত হানলে তার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল এবং তিনি আরেকটি আঘাত করে তাকে মাটিতে ফেলে দিলেন। অতঃপর তাকে হত্যা করলেন।
বন্ধুরা, তোমরা হয়তো জানো যে, মদীনার ইহুদিরা খুবই সম্পদশালী ছিল। তারা মহানবী (সা.)-কে অত্যন্ত কষ্ট দিত। মহানবী তাদের এক গোত্র বনি নাযিরকে দমনের জন্য তাদের আবাসস্থল খায়বারের দিকে যাত্রা করলেন। সেখানে তাদের দুর্ভেদ্য দুর্গ ছিল। দীর্ঘদিন তিনি তাদের অবরোধ করে রাখলেন, কিন্তু তা ফলপ্রসূ হল না। তিনদিন পরপর তাদের সঙ্গে মুসলমানদের মুখোমুখি যুদ্ধ হয়। প্রথম দিন রাসূল (সা.) হযরত আবু বকরকে একদল সেনাসহ তাদের উদ্দেশে প্রেরণ করলেন। তিনি তাদের আক্রমণ করে পরাস্ত হয়ে ফিরে এলেন। দ্বিতীয় দিন তিনি হযরত ওমরকে সেনাদলসহ যুদ্ধে প্রেরণ করলেন। তিনিও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসলেন।
তৃতীয় দিনের আগের রাতে রাসূল (সা.) বললেন, ‘আগামীকাল এমন এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করব যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলও তাকে ভালোবাসে। সে প্রচণ্ড আক্রমণকারী, পলায়নকারী নয়।’
সকল সাহাবী আকাঙ্ক্ষা করতে লাগলেন- ঐ ব্যক্তি যেন তিনি হন। তৃতীয় দিন সকালে রাসূল (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আলী কোথায়?’ সকলে বললেন, ‘তিনি চোখের ব্যথায় আক্রান্ত ও পীড়িত।’ মহানবী (সা.) বললেন, ‘তাকে আন।’
হযরত আলীকে আনা হলে তিনি তাঁর মুখের লালা তাঁর চোখে লাগিয়ে দিলেন। আলী আরোগ্য লাভ করলেন। হযরত আলী বলেন, ‘এরপর কখনও আমি চোখের ব্যথায় আক্রান্ত হইনি।’
রাসূল (সা.) যুদ্ধের পতাকা হযরত আলীর হাতে দিলেন এবং সৈন্যদের নিয়ে যাত্রা করতে বললেন। ইহুদিদের প্রসিদ্ধ বীর মারহাবের রণমূর্তিই মূলত পূর্ববর্তী সেনাদলের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছিল। হযরত আলী ইহুদিদের দুর্গের নিকট পৌঁছলে মারহাব তাঁর সাথে মোকাবিলার জন্য বেরিয়ে আসল। যুদ্ধ শুরু হল এবং বেশ কিছুক্ষণ যুদ্ধের পর হযরত আলী তাকে হত্যা করলেন। এরপর ‘আল্লাহর সিংহ’ একাই নিজ হাতে খায়বার দুর্গের বিশাল দরজাটিকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলেছিলেন। অথচ এই দরজা খোলা ও বন্ধের কাজে দরকার হতো বেশ কয়েকজন শক্তিশালী প্রহরী। হযরত আলী বিশাল দরজাটি উপড়ে ফেলার পর মুসলিম সৈন্যরা দুর্গের মধ্যে প্রবেশ করে তা দখল করে নেন।
বন্ধুরা, অনুষ্ঠানে এ পর্যায়ে রয়েছে হযরত আলী (আ.)-কে নিবেদিত একটি ফার্সি গান। গানটি গেয়েছে ইরানে নাসিমে রাহমাত শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা।
শিশু-কিশোরদের চমৎকার কণ্ঠে গানটি শুনলে। ইরাকে নাজাফে শায়িত হযরত আলী সম্পর্কে এ গানে বলা হয়েছে-
আমার সরল ও বন্দি হৃদয়ে রয়েছে নাজাফের প্রেম অনুরাগ
নিচ্ছি নাম তোমার ও তা ছেড়ে দিচ্ছি শরীরের অংশে আমার
‘আলী সত্যের সঙ্গে’-লিখে যাচ্ছি ও তা পড়ছি বা গাইছি
হাতে তোমার খুলে যাচ্ছে আমার খাইবারের দ্বার
আবারও বার্তা এনেছে বৃষ্টির ফোটাগুলো
মূর্তাজার নেতৃত্বের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা পেল ধর্ম মোদের
ফেরেশতারা লিখেছে জান্নাতের দরজার ওপর
সফল আলীর অনুসারীরা
এ যুগে তুমিই আশ্রয় আমাদের মাথার ওপর
তোমার খোতবাগুলো আমাদের দ্বীন ও দুনিয়ার আলো।
বন্ধুরা, এবার আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে হযরত আলীর মহানুভবতার একটি ঐতিহাসিক ঘটনা শোনাব। এক যুদ্ধে এক আরব বীরের সঙ্গে মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হন হজরত আলী। দুই আরব বীরের তুমুল লড়াইয়ের এক পর্যায়ে শত্রু সম্পূর্ণ ধরাশায়ী হয়। হজরত আলী দুশমনের বুকের ওপর চেপে বসলেন, হাতে তার উন্মুক্ত দু’ধারী তলোয়ার, জুলফিকার। ধরাশায়ী পাহলোয়ানের জীবন হরণের মুহূর্তের অপেক্ষা।
মহাবীর আলীর পাঞ্জার কবজায় আরব বীরের বেঁচে থাকার আশা রূপান্তরিত হলো নিরাশায়। প্রচণ্ড ক্ষোভে আরব বীর প্রতিশোধের ঘৃণাবাণ নিক্ষেপ করল। মুখের থুথু ছুঁড়ে মারল তার বুক চেপে বসা আলীর মুখজুড়ে। আলীর মুখে গিয়ে পড়ল সেই থুথু। প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠল হজরত আলীর সর্বাঙ্গে। কিন্তু নাহ। মুহূর্তে দৃশ্যপটে আমূল পরিবর্তন।
বীর কেশরি হজরত আলীর ডান হাত যেন নিস্তেজ হয়ে গেল। উত্তোলিত তরবারি নামিয়ে রাখলেন শত্রুর পাশে। এতক্ষণ ক্রোধে টগবগ আলীর নতুন অবয়ব দেখে আরব বীর অবাক। সম্পূর্ণ অবিশ্বাস্য এমন ঘটনা তার জীবনে এই প্রথম। যুদ্ধের মাঠে শত্রুকে বাগে পেয়ে চরম উত্তেজনার এমন মুহূর্তে শিকার হাত ছাড়া করা যুক্তিতে মাথায় আসে না।
বিস্ময়ে হতবাক কাফের শত্রু জিজ্ঞেস করে, আলী! আমার মতো শত্রুকে বাগে পেয়েও এভাবে ছেড়ে দিলে, বল তো এর কী কারণ? তুমি তো বীরত্বে আরবের সেরা। তোমার উপাধি না আল্লাহর বাঘ। তুমি কি কোনো আলামত দেখতে পেয়েছ? কিসের আলোর বিচ্ছুরণে তোমার চোখ ধাঁধিয়ে গেল। বস্তুজগতের ওপারে কোনো সে প্রাণের জগৎ, কার ইংগিতে তুমি আমার প্রাণ রক্ষার তাগাদা পেলে?
হযরত আলী বলেন: যখন তুমি আমার দিকে থুথু নিক্ষেপ করেছ, তখন দেখলাম আমার মধ্যে ক্রোধের আগুন জ্বলে উঠেছে, প্রতিশোধের সর্প ফণা তুলেছে। এতক্ষণ তোমাকে ধরাশায়ী করা, বধ করার সংকল্প ছিল নিঃস্বার্থ আল্লাহর জন্য। আর এখন আমার নফস, ব্যক্তিগত ক্ষোভ ক্রোধ তাতে ভাগ বসাল। এ অবস্থায় তোমাকে বধ করলে আমার আল্লাহর ওয়াস্তে যে নিয়ত তার অংশীদার হবে। ব্যক্তিগত স্বার্থ চিন্তা আমাকে নিয়ে যাবে দ্বীনের মূলনীতির বাইরে। অথচ আমার ভালোবাসা হওয়া চাই আল্লাহর জন্য এবং শত্রুতাও হতে হবে আল্লাহর ওয়াস্তে।
হজরত আলী আরও বললেন: আমি যুদ্ধের ময়দানে শত্রু বধ করি না। বরং শত্রুর প্রাণ রক্ষা করি। এই আমার সাধনা, আমার জিহাদ। আমি আল্লাহর বাঘ, তারই কোষমুক্ত তলোয়ার। আমি ধৈর্যের পাহাড়। পাহাড় যেমন প্রবল ঝড়-তুফান স্থানচ্যুত করতে পারে না, তেমনি কোনো স্বার্থচিন্তা আমার ধৈর্য ও সহনশীলতার ভীতও নাড়তে পারে না। আমি যদি খড়কুটো হতাম, তখন কামনা বাসনা ও স্বার্থচিন্তার বাতাস আমাকে উড়িয়ে নিত।
বিস্ময়ে অভিভূত আরব বীর হজরত আলীর ধৈর্য ও মহানুভবতার পরশে নিজেকে আবিষ্কার করল নতুনভাবে। বলল-
কলেমা শাহাদত পড়ান যেন তার পরশে ধন্য হয় আমার জীবন
যার পরশে কালজয়ী হলো আপনার মহান মন।
ধৈর্যের তলোয়ার আরও ক্ষুরধার ইস্পাতের তরবারির চেয়ে
এমনকি শত সেনাদল পরাস্ত করার শক্তি সহনশীলতার আছে।
বন্ধুরা, এ ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে, জীবনকে স্বার্থক ও মহিমান্বিত করতে হলে ধৈর্যের বর্মে সজ্জিত হতে হবে, আর সব কাজের পেছনে আল্লাহর সন্তুষ্টিকে বিবেচনায় নিতে হবে।
তো বন্ধুরা, তোমরা ভালো ও সুস্থ থেকো আবারো এ কামনা করে বিদায় নিচ্ছি রংধনুর আজকের আসর থেকে।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৩