অক্টোবর ৩০, ২০২২ ১৮:২৮ Asia/Dhaka

রংধনু আসরের কাছের ও দূরের শিশু-কিশোর বন্ধুরা, কেমন আছো তোমরা? আশা করি যে যেখান থেকেই আমাদের অনুষ্ঠান শুনছো- সবাই আছো ও সুস্থ আছো। সপ্তাহ ঘুরে আসর সাজিয়ে তোমাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমি গাজী আবদুর রশীদ এবং আমি আকতার জাহান। আমাদের আজকের অনুষ্ঠানটিও গ্রন্থনা ও প্রযোজনা করেছেন সহকর্মী আশরাফুর রহমান।

বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে, ইসলামের মূল স্তম্ভগুলোর মধ্যে যাকাত অন্যতম। যাকাত আদায় করা সচ্ছল মুসলমানের প্রতি সৃষ্টিকর্তার অলঙ্ঘনীয় নির্দেশ। কোনো মুসলমানের স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে এ নির্দেশ অমান্য করার অর্থই হলো- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ অমান্য করা।

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, 'নিশ্চয়ই যারা সত্যে বিশ্বাস করে, সৎকর্ম করে, নামাজ কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তাদের প্রতিফল তাদের প্রতিপালকের কাছে সংরক্ষিত। তাদের কোনো ভয় বা পেরেশানি থাকবে না।' (সূরা বাকারা : আয়াত ২৭৭)

যাকাতের গুরুত্ব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'আমার উম্মত কল্যাণের যতক্ষণ ওপর থাকবে ততক্ষণ তারা প্রতারণা করবে না, আমানত ফেরত দেবে এবং যাকাত দেবে। কিন্তু যদি তারা এ দায়িত্বগুলো পালন না করে তাহলে তারা দুর্ভিক্ষ ও অভাবের মধ্যে পড়বে।'

বন্ধুরা, আজকের আসরে আমরা এমন এক ধর্নাঢ্য ব্যক্তির গল্প শোনাব যার কাহিনি পবিত্র কুরআনের সূরা কাসাসে উল্লেখ আছে। ধনী হবার পরও সে যাকাত দিতে অস্বীকার করায় মহান আল্লাহর ইচ্ছায় প্রচণ্ড ভূমিকম্পে তার প্রাসাদ ও ধন-সম্পদ ধ্বংস হয়ে যায়। ওই সীমাহীন কৃপণ ব্যক্তির নাম কারুন। কারুনের কাহিনি শোনানোর আগে যাকাত নিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি গান শোনা যাক।

শিশু শিল্পী আব্দুল্লাহ আল হিশামের কণ্ঠে বিখ্যাত গানটি শুনলে। বন্ধুরা, এবার আমরা যাকাত দিতে অস্বীকার করায় কারুনের কী পরিণতি হয়েছিল- সেই ঐতিহাসিক ঘটনাটি শোনাব।

ফেরাউন দ্বিতীয় রামেসিসের জমানায় বনি ইসরাইল সম্প্রদায়ের প্রায় ১২ লাখ লোক মিসরের রাজধানী এবং এর আশপাশের এলাকায় বাস করত। ওদের বেশির ভাগ লোকই ছিল মিসরীয় ভূমিপুত্র কিবতিদের ক্রীতদাস বা ক্রীতদাসী, যারা শত শত বছর ধরে ক্রমাগতভাবে নির্যাতিত হয়ে আসছিল তাদের পূর্বপুরুষদের নাফরমানির দায় শোধ করার জন্য। তাদের দুর্ভোগ-দুর্দশার মাত্রা যখন চরমে পৌঁছল তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমতের দরিয়ায় জোয়ার এলো। তিনি বনি ইসরাইলদের উদ্ধারের জন্য হজরত মুসা (.) ও তার ভাই হজরত হারুন (.)-কে নবী হিসেবে মনোনীত করেন এবং বিশেষ কিছু অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে ফেরাউন দ্বিতীয় রামেসিসের দরবারে পাঠান। পবিত্র কুরআন এবং খ্রিষ্টানদের বাইবেলসহ বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে হজরত মুসা (.)-এর কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা সে ব্যাপারে বিস্তারিত না বলে হজরত মুসার নিকটাত্মীয় এবং বনি ইসরাইলিদের অন্যতম সরদার কারুনের প্রসঙ্গে আলোচনা করব।

কারুন বাহ্যিকভাবে মূসা (আ.)-এর ধর্ম গ্রহণ করেছিল। সে প্রার্থনা করতো এবং তাওরাত থেকে আবৃত্তিও করতো। তবে ভেতরে ভেতরে সে ছিল মুনাফিক; ঈমান ছিল ঠুনকো আর দুর্বল। সত্যিকার অর্থে তার বিশ্বাস মজবুত ছিল না। শুধু চাইতো মানুষ তাকে ভালো বলুক যেন সে তাদের ধোঁকা দিতে পারে।

প্রকৃতপক্ষে ইসলামের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সমাজের কোনো স্থানে যেন ধন-সম্পদ পুঞ্জীভূত না হয়ে ওঠে। যারা প্রয়োজনাতিরিক্ত যথেষ্ট পরিমাণ ধন-সম্পদের অধিকারী হয়েছে তারা যেন তা জমা না করে রাখে, ব্যয় করা বন্ধ না করে দেয়। বরং তা এমনভাবে ব্যয় করে যার ফলে সমাজের আবর্তিত সম্পদ থেকে যেন বঞ্চিতরা জীবিকা অর্জন করতে পারে। এ লক্ষ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অংশ লোকদের কাছ থেকে নেওয়াই হচ্ছে যাকাত।

মৌসুমের শুরুতে কারুন কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ফসল কিনে নিত। আর পরে ঐ কৃষকদের কাছেই তা বেশি দরে বিক্রি করতো। মোটকথা লেনদেনে সে সব সময় অসাধু এবং পুরোমাত্রায় অবিচারী। সে অতিরিক্ত সুদে ঋণ দিত এবং মানুষকে যত পারতো শোষণ করতো।

এভাবে কারুন অনেক সম্পদের মালিক হলো। আর সে তার এ সম্পদকে ভালোবাসতো সবচেয়ে। কারুন আসলে আল্লাহর ইবাদত করতো না। কারণ, সে সত্যিকার অর্থে অর্থ-কড়ির পূজা করতো। কারুন আনন্দ আর ভোগবিলাসে তার টাকা খরচ করতো। সে বড় বড় সুন্দর প্রাসাদ তৈরি করল; সেগুলোর দেয়াল ও দরজায় মূল্যবান পাথর স্বর্ণ দিয়ে অলংকৃত করল। এমনকি ঘোড়া আর উট সাজাতেও সে স্বর্ণ ও মূল্যবান পাথর ব্যবহার করলো। তার শত শত দাস-দাসী ছিল। তাদের সাথে খারাপ আচরণ করতো। সে তার সামনে তাদেরকে ভূলুণ্ঠিত হতে বাধ্য করতো। যে পথ দিয়ে সে হেঁটে গেছে সেই জায়গায় চুমু দিতে বাধ্য করতো।

প্রায়ই জ্ঞানী ঈমানদার ব্যক্তিবর্গ তাকে উপদেশ দিত- ভর্ৎসনা করতো। বলতো : 'হে কারুন! এসব ধন-সম্পদ, বাগান কী কাজে আসবে? কেন তুমি লোকদের শোষণ কর? বিচার দিবসে তুমি আল্লাহর কাছে কী জবাব দেবে? কেন তুমি মানুষের অধিকার পদদলিত কর? কেন গরীব-অভাবী মানুষকে সাহায্য কর না? কেন পরকালের জন্য কাজ করছো না? সময় থাকতে কল্যাণের পথে চলো।' কিন্তু কারুনের মন গর্ব-অহংকারে পূর্ণ। উত্তরে সে বলতো : 'আমি কীভাবে আমার টাকা-পয়সা খরচ করবো তা আমার ব্যাপার- অন্য কারও নয়।'

ঈমানদার লোকেরা উত্তর দিত : 'হে কারুন! তোমার ধন-সম্পদ বৈধভাবে উপার্জিত হয়নি। তুমি অসাধু না হলে চড়া হারে সুদ নিতে না, আর এতসব ধন-সম্পদও বানাতে পারতে না; বরং তুমি অন্য সাধারণ মানুষের মতোই হতে। তখন তোমার আর সমাজের অন্যদের মধ্যে এত ব্যবধান সৃষ্টি হতো না।

কারুন বলতো : 'না, আমি অন্যদের মতো নই। আমি বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং ধনী হয়েছি। অন্যরাও কঠোর পরিশ্রম করে ধনী হতে পারে। কেন আমি গরীবদের সাহায্য করব?'

ঈমানদার লোকেরা তাকে সুপথে পরিচালিত করার জন্য অনেক চেষ্টা করতো। তারা বলতো : 'তুমি শুধু অন্য লোকদের অধিকার রক্ষা না করে ধনী হয়েছ। তুমি যদি অন্যদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করতে তাহলে এত বড় ধন সম্পদশালী হতে পারতে না এবং অন্যরাও এত দরিদ্র হতো না। যদি তুমি নিশ্চিত সুখী ও উন্নত ভবিষ্যৎ চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে আল্লাহর বান্দাদের জন্য অর্থ-সম্পদ ব্যয় করতে হবে। এটা ঠিক নয় যে, তুমি শুধু সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলবে। কারণ, আল্লাহর পথে ব্যয় করা অবশ্যকর্তব্য।' 

এতে কারুন রাগান্বিত হয়ে পড়তো এবং ঈমানদার লোকদের নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করতো। সে তাদের উপহাস করতো, তাদের উপদেশ অবজ্ঞা করতো এবং তাদেরকে বলতো : 'আমাকে তিরস্কার করো না। আল্লাহর ওপর তোমার চেয়ে আমার বিশ্বাস আরও গভীর। যাও, নিজের কাজ কর।'

একটি সুন্দর দিন কারুন তার সবচেয়ে আকর্ষণীয় পোশাকে সজ্জিত হয়ে তার সবচেয়ে সুন্দর ঘোড়ার পিঠে চড়ে প্রাসাদ ত্যাগ করল। তার সাথে চাকর-বাকরের বড় একটি দল চললো।

লোকেরা পথ চলার সময় তাকে দেখে থামল এবং তার শান-শওকত তাকিয়ে দেখলো। আবার অনেকে এত স্বর্ণ ও মূল্যবান পাথর দেখে তার নিন্দা করল। যারা আরও বেশি অজ্ঞ, তারা তাকে কুর্নিশ করল; বললো "কারুন কী সৌভাগ্যবান! তার কত ধন-সম্পদ! তার জীবনটা কত ভালো! আর কত সফল সে! আমরাও যদি কারুনের মতো হতে পারতাম!"

এসব অজ্ঞ-মূর্খ লোককে দেখে জ্ঞানী-ঈমানদার লোকেরা আফসোস করত, তাদের তিরস্কারও করতো। তারা বলত, 'এটা ভেবো না যে, ধন-সম্পদের মাঝে সাফল্য নিহিত। কেন তোমরা কারুনকে কুর্নিশ করছো? একজন অত্যাচারী লোককে তোমরা কি করে সম্মান জানাতে পারো? সে সম্মান পাবার যোগ্য নয়। সে এতসব সম্পদ অর্জন করেছে বেশি বেশি ঠকিয়ে লোকদের সাথে প্রতারণা করে। সে সফল নয়। তারাই সফল যারা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখে এবং যারা তাঁর সৃষ্টিকে সাহায্য করে; তারা সফল নয় যারা আল্লাহর সৃষ্টির অধিকার হরণ করে।' (বাজনা)

একদিন মুসা (আ.) আল্লাহর নির্দেশ পেলেন ধনী লোকদের জানিয়ে দেবার জন্য যে, তাদেরকে অবশ্যই যাকাত (দরিদ্রদের অধিকার) প্রদান করতে হবে। মূসা (আ.) এ নির্দেশ পালন করলেন এবং ধনীদের জানিয়ে দিলেন যে, এখন থেকে তাদেরকে যাকাত প্রদান করতে হবে মূসা (আ.) যাদেরকে এ বাণী পৌঁছে দিলেন কারুনও তাদের অন্তর্ভুক্ত।

মূসা (আ.) যা বলেছেন তা শুনে কারুন রাগে ফেটে পড়লো। তুমি যাকাত বলে কি বোঝাচ্ছো? আমি কেন অন্যদের আমার সম্পদ দেব? তারা কাজ করে টাকা উপার্জন করবে যেমন আমি করেছি।'

এর জবাবে মূসা (আ.) বললেন : 'যাকাত মানে এ অঢেল সম্পদ থেকে গরীব ও অসহায় মানুষদের কিছু দিয়ে দেয়া যেন তারা বাঁচতে পারে। তুমি তাদের শহরে বাস কর- তাদের সমাজে থাকো এবং তাদের মাধ্যমেই তোমার এ সম্পদ গড়েছো। তাদের সাহায্য ছাড়া তুমি এত ধন সম্পদ গড়ে তুলতে পারতে না। যদি গ্রামাঞ্চলে তুমি একা বসবাস করতে তাহলে এ প্রাসাদের কথাই ধরা যাক- এ প্রাসাদ কীভাবে বানাতে? কীভাবে এ বাগিচাগুলো বানাতে পারতে? কীভাবে এত সম্পদ জড়ো করতে? তুমি এতসব সম্পদ অর্জন করেছে এসব লোকের সহায়তায়। তাই তোমার সম্পদের একটি অংশ তাদের প্রাপ্য। অবশ্যই তুমি তোমার সম্পদ থেকে কিছুই তাদের দাওনি, আর যাকাতের অর্থ তো তাদের অধিকার তাদেরকে দিয়ে দেয়া।'

মূসা (আ.)-এর যুক্তিসঙ্গত উপদেশ কারুন কানে নিল না; বরং উদ্ধতস্বরে সে জবাব দিল : 'মূসা! তুমি এসব কী বলছো? যাকাত আবার কী? আমরা তোমার কথা বিশ্বাস করে কী ভুল করলাম উপাসনা করে কী। পাপ করলাম যে, এখন আমাদের কর দিতে হবে?'

ধৈর্য ও বিনয় সহকারে মূসা (আ.) তার কথা শুনলেন। তারপর জবাব দিলেন : “হে কারুন! আমি আমার জন্য যাকাত নিচ্ছি না; বরং সমাজের সেবার জন্য এবং দরিদ্রদের সহায়তার জন্য নিচ্ছি। এটা আল্লাহর নির্দেশ : ধনীদেরকে অবশ্যই অভাবী দরিদ্রদের প্রাপ্য দিয়ে দিতে হবে অর্থাৎ যাকাত দিতে হবে যাতে তারা দারিদ্র্যের কবল থেকে মুক্তি পায় যদি তুমি সত্যি আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখ এবং আমাকে তাঁর নবী বলে গ্রহণ কর তাহলে তোমাকে অবশ্যই তাঁর নির্দেশ মানতে হবে। যদি তুমি উপাসনা কর তাহলে যাকাতও দিতে হবে। কারণ, উপাসনা করে যাকাত অস্বীকার করলে তোমার উপাসনা বিফল হয়ে যাবে। তাওরাত থেকে তেলাওয়াত করা যথেষ্ট নয়, যদি না তা বোঝা যায় এবং সে অনুসারে চলা যায়।'

কিন্তু মূসা (আ.) উপদেশ সত্ত্বেও কারুন তার সম্পদের যাকাত দিতে অস্বীকার করল এবং সে মূসা (আ.)-এর শত্রু হয়ে গেল ও তাকে গালমন্দ করল। ফলে মূসা (আ.) হতাশ হলেন এবং এই লোভী অত্যাচারীর সকল দুষ্কর্মের প্রতিদান দেবার জন্য তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন।

আল্লাহর আদেশে একটি ভূমিকম্প হলো। পৃথিবী কেঁপে উঠল এবং একটি মাত্র মুহূর্তে কারুনের সবগুলো প্রাসাদ ধ্বংস হয়ে গেল। এ ভূমিকম্প সকল সম্পদসহ কারনকেও গ্রাস করল এবং এভাবে এক অত্যাচারীর লোভ আর অত্যাচারের পরিসমাপ্তি ঘটলো।

এভাবে কারুন শূন্যহাতে পরকালে চলে গেল- তার সকল দুষ্কর্মের প্রতিফল পাবার জন্য- পরকালে পীড়াদায়ক যন্ত্রণা ভোগ করার জন্য যা অত্যন্ত তীব্র এবং চিরস্থায়ী।

যারা কারুনকে সফল ভেবেছিল, তার মতো সম্পদশালী হবার আশা করেছিল ভূমিকম্পের পর তারাও তাদের ভুল বুঝতে পারল এবং অনুতপ্ত হলো। তারা এভাবে বলল- 'কী ভয়ানক পরিণতি! কারুন তার সব সম্পদ হারালো এবং পাপীরূপে শূন্যহাতে পরকালে চলে গেল। আর সেখানে সে তার সব অসৎকাজের পুরোমাত্রার প্রতিফল ভোগ করবে।'

বন্ধুরা, এ ঘটনা থেকে তোমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো যে, সম্পদ-সম্পত্তি এককভাবে কোনো ব্যক্তিকে সফল করতে পারে না। মানুষকে যা সফল করে তোলে তা হলো- আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন এবং ঐশী নির্দেশাবলী মেনে চলা।

বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে তোমাদের জন্য রয়েছে একটি কাওয়ালি। 'হে কামলিওয়ালা' শিরোনামের কাওয়ালিটি লিখেছেন, কে এম মুনির হুসাইন, সুর করেছেন গোলাম মাওলা আর গেয়েছে নারায়ণগঞ্জের শিশুশিল্পী শিল্পী হুমাইরা আফরিন ইরা ও তার সঙ্গীরা।

বন্ধুরা, তোমরা কাওয়ালিটি শুনতে থাকো আর আমরা বিদায় নিই রংধনুর আজকের আসর। 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৩০