রংধনু আসর
হাবশায় হিজরত ও বাদশাহ নাজ্জাশি
রংধনু আসরের কাছের ও দূরের শিশু-কিশোর বন্ধুরা, কেমন আছ তোমরা? আশা করি সবাই আছো ও সুস্থ আছো। আজকের আসরে তোমাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ এবং আমি আকতার জাহান।ঙ
বন্ধুরা, তোমরা নিশ্চয়ই জানো যে, ইসলামের প্রাথমিক যুগে কাফেররা মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাত। এসময় মুসলমানদের সংখ্যা এত কম ছিল যে, তারা কাফেরদের অত্যাচার-নিপীড়ন মোকাবেলা করতে সক্ষম ছিল না। এ অবস্থায় আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কুরাইশ কাফেরদের নিপীড়ন থেকে রক্ষা পেতে মুসলমানদেরকে আপাতত মক্কা থেকে হিজরত করে হাবশায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বললেন, “যদি তোমরা হাবশায় হিজরত করো তাহলে তা তোমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে। কারণ সেখানে একজন শক্তিশালী ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ আছেন যাঁর সামনে কোনো ব্যক্তির ওপর বিন্দুমাত্র অত্যাচার করা হয় না। সে দেশটি সত্য ও পুণ্যভূমি। তোমাদের জন্য মহান আল্লাহ কর্তৃক মুক্তির পথ বাতলে দেয়া পর্যন্ত তোমরা সে দেশটিতে বসবাস করতে পারো।”
মহানবী (সা.)-এর হৃদয়গ্রাহী বক্তব্য সাহাবীদের ওপর এতটা প্রভাব ফেলে যে, তাঁদের মধ্য থেকে ৪ জন নারীসহ ১০ থেকে ১৫ জন অনতিবিলম্বে রাতের আঁধারে জেদ্দা বন্দরের পথ ধরে হাবশার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। মুসলমানদের এ দলটির হিজরত ও দেশ ত্যাগ নবুওয়াতের ৫ম বর্ষের রজব মাসে সংঘটিত হয়েছিল।
এ হিজরতের পরপরই মুসলমানদের আরেকটি গোষ্ঠী হযরত জাফর ইবনে আবি তালিবের নেতৃত্বে হাবশায় হিজরত করেছিল। দ্বিতীয় হিজরতটি বাধাহীনভাবে সংঘটিত হয়েছিল। এ কারণেই কতিপয় মুসলমান নিজেদের স্ত্রী ও সন্তানদেরকে নিজেদের সাথে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন। এদের আগমনে হাবশায় মুসলমানদের সংখ্যা ৮৩ জনে উন্নীত হয়।
মহানবী (সা.) হাবশাকে যেমন বর্ণনা করেছিলেন মুহাজির মুসলমানগণ সে দেশটিকে ঠিক সে রকম একটি সমৃদ্ধশালী ও শান্ত দেশ হিসেবেই পেয়েছিলেন- যেখানে পূর্ণ স্বাধীনতা বিদ্যমান ছিল।
বন্ধুরা, হাবশা বা আবিসিনিয়ায় হিজরত সম্পর্কে আজ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। অনুষ্ঠানের শেষে থাকবে একটি গান। আমাদের আজকের অনুষ্ঠানটিও তৈরি করেছেন আশরাফুর রহমান। তাহলে প্রথমেই হাবশায় হিজরত পরবর্তী ঘটনা সম্পর্কে জানা যাক।
মুসলমানদের দ্বিতীয় কাফেলা হাবশায় পৌঁছার পর একদিন মক্কার কুরাইশ নেতারা সংবাদ পেল যে, হাবশায় গিয়ে মুসলমানরা খুব আরামে জীবনযাপন করছেন। তখন তারা চিন্তায় পড়ে গেল যে, হাবশায় ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত না হয়ে যায়। তাই তারা সবাই মিলে পরামর্শ করল যে, এমন একটি কৌশল বের করতে হবে যাতে সমস্ত মুসলমান মক্কায় ফিরে আসতে বাধ্য হন। তারপর তাদেরকে আবার জুলুম-নির্যাতনের শিকারে পরিণত করা হবে।
এ উদ্দেশ্যে তারা দুইজন চালাক ও বুদ্ধিমান লোক মনোনীত করল। তাদের সাথে হাবশার বাদশা নাজ্জাশির জন্যে বহু মূল্যবান উপহার-উপঢৌকন পাঠিয়ে দিল যাতে তারা বাদশাহ ও তাঁর সভাসদদের সাথে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করতে পারে। কুরাইশীদের দূতরা হাবশায় পৌঁছে সর্বপ্রথম বাদশাহর দরবারের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের সাথে সাক্ষাৎ করল। তাদেরকে মূল্যবান উপহার-সামগ্রী প্রদানের পর তাদেরকে বলল:
"আমাদের দেশের কিছু অজ্ঞ-মূর্খ ও অনভিজ্ঞ যুবক নিজেদের ধর্ম ত্যাগ করেছে। আর তারা আপনাদের ধর্মও গ্রহণ করে নি। তারা নিজেদের দেশ ত্যাগ করে আপনাদের দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এখন আমাদের দেশের নেতা ও সরদারগণ আমাদেরকে আপনাদের খেদমতে পাঠিয়েছেন আমাদের আবেদন হচ্ছে যে, আপনারা সেসব লোককে আপনাদের দেশ থেকে বের করে দিন। তাদেরকে আমাদের হাতে তুলে দিন। আপনাদের নিকট বিনীত নিবেদন হচ্ছে যে, যখন আমরা এ ব্যাপারটি মহামান্য বাদশাহর নিকট উত্থাপন করব তখন আপনারা আমাদের পক্ষে সুপারিশ করবেন।"
কুরাইশ নেতাদের উপহার ও অনুনয়-বিনয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের প্রস্তাবে রাজি হল। তারা সকলে প্রতিশ্রুতি দিল যে, তারা বাদশাহর সামনে কুরাইশ নেতাদের বক্তব্য সমর্থন করবে।
তারপর একদিন তারা বাদশাহ নাজ্জাশির দরবারে হাজির হলো। অতি উত্তম ও মূল্যবান উপঢৌকন পেশ করে তারা বাদশাহর কাছে নিজেদের আবেদন-নিবেদন তুলে ধরল। এসময় রাজদরবারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সকলেই কুরাইশ প্রতিনিধিদের দাবির প্রতি সমর্থন জানাল।
কিন্তু বাদশাহ্ নাজ্জাশি সভাসদদের মতামতের সাথে মোটেও একমত হলেন না। তিনি বললেন, “কিছু সংখ্যক লোক নিজের দেশ ত্যাগ করে আমাদের দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এটা কিছুতেই সমুচিত হবে না যে, আমি ব্যাপারটি তদন্ত না করে তাদের অনুপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে হুকুম জারী করে পাঠাব যে, তাদেরকে আমাদের দেশ থেকে বের করে দেয়া হোক। আমি অত্যন্ত জরুরী মনে করছি যে, তাদেরকে দরবারে ডাকা হোক যাতে আমি তাদের বক্তব্য শুনতে পারি এবং তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি যে, তাদের ব্যাপারে কী করা উচিত।"
বাদশাহ নাজ্জাশীর সর্বশেষ কথাটি শুনেই কুরাইশ প্রতিনিধিদের চেহারার রং বদলে গেল এবং তাদের হৃদস্পন্দনও বেড়ে গেল। তারা চাচ্ছিল না যে, মুসলমানদেরকে বাদশাহর দরবারে কথাবার্তা বলার সুযোগ দেয়া হোক। কিন্তু বাদশাহর যুক্তিপূর্ণ বক্তব্যের সামনে তাদের চুপ করে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
অতঃপর শাহী দরবারের বিশেষ কর্মকর্তা মুহাজির মুসলমানদের কাছে গমন করে তাদেরকে কিছু না জানিয়েই রাজদরবারে হাজির করল। সবার আগে দরবারে প্রবেশ করলেন হযরত জা'ফর ইবনে আবী তালিব। তাঁরা যখন দরবারে প্রবেশ করছিলেন তখন তাঁরা তাঁদের চাল-চলনে ও ভাব-ভঙ্গিমায় এমন একটি ভাবের অবতারণা করছিলেন যে, মনে হলো যেন দরবারের এ ঐতিহাসিক আড়ম্বর ও অসাধারণ সাজসজ্জা তাঁদের মধ্যে কোনই ভয়-ভীতির সঞ্চার করেনি। অন্যদিকে তাঁরা শাহী দরবারে প্রবেশের প্রচলিত আদব-কায়দা অবলম্বন না করে ইসলামী নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে বাদশাহকে সালাম জানালেন।
মুসলমানদের এমন আচরণকে কেউ কেউ রাজদরবারের প্রতি অবমাননাকর অভিহিত করে অভিযোগ উত্থাপন করল। এর জবাবে মুসলমানরা বললেন, “যে দ্বীনের জন্যে আমরা মাতৃভূমি ত্যাগ করে এ দেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছি, আমাদের সে দ্বীন কখনও আমাদেরকে এক আল্লাহ ব্যতীত আর কারো সামনে মাথা করার অনুমতি দেয় না।"
মুসলমানদের এ জবাবে শাহী দরবারে সমাগত লোকদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার হলো। আর মুসলমানদের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও অসামান্য শ্রেষ্ঠত্বের সামনে শাহী দরবারের বাহ্যিক জাঁকজমক ও যাবতীয় সাজসজ্জা ম্লান হয়ে গেল।
বাদশাহ নাজ্জাশি মুসলমানদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, "তোমাদের সে নতুন ধর্মটি কী- যা আমাদের ধর্ম ও তোমাদের পুরাতন ধর্ম অপেক্ষা অধিক উত্তম এবং ভিন্নতর?”
এ প্রশ্নের জবাবে আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আ.)-এর ভাই জনাব জা'ফর ইবনে আবী তালিব বললেন, "আসলে আমরা অজ্ঞতা ও মূর্খতার জীবন যাপন করছিলাম। আমরা মূর্তি পূজা করতাম, মৃত প্রাণী খেতাম, অশ্লীল কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকতাম। প্রতিবেশীর সাথে আমরা দুর্ব্যবহার করতাম। আমাদেরকে এ অবস্থা থেকে উদ্ধার করার জন্যে মহান আল্লাহ আমাদের মাঝে একজন নবী পাঠিয়েছেন যার পাক-পবিত্র বংশীয় মর্যাদা সম্পর্কে আমাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই। আল্লাহর সে রাসূল আমাদেরকে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসের আহ্বান জানিয়েছেন এবং এক আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী করার শিক্ষা দিয়েছেন। মুর্তি, পাথর, গাছপালা ইত্যাদির পূজা করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদেরকে সত্য কথা বলার হুকুম করেছেন। লোকদের আমানত পরিশোধ করার এবং প্রতিবেশীর সাথে ভালো আচরণ করার শিক্ষা দান করেছেন। তাঁর কাছে আমরা লোকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পন্থা শিক্ষালাভ করেছি। আল্লাহর এ রাসূল আমাদেরকে মিথ্যা কথা বলতে, পাক-পবিত্র নারীদের অপবাদ দিতে এবং অন্যায়ভাবে ইয়াতিমের মাল ভক্ষণ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদেরকে ইবাদত-বন্দেগীতে এক আল্লাহর সাথে আর কাউকে অংশীদার না বানাতে হুকুম করেছেন। আল্লাহর এ পয়গাম্বর আমাদেরকে নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদির শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং আমরা তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং তাঁর রেসালতের সাক্ষ্য প্রদান করেছি। আমরা ইসলামের এ মহান অনুশাসনগুলোর ও এর মহামূল্যবান শিক্ষাগুলোর অনুশীলন শুরু করেছি। কিন্তু আমাদের জাতির একদল লোক আমাদের এ ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে আপত্তি করেছে এবং আমাদের ওপর নানা রকম বিপদ-মুছিবত ও জুলুম-অত্যাচার চাপিয়ে দিয়েছে যা আগাগোড়া অন্যায়-অবিচার ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা পুনরায় মূর্তিপূজা ও অন্যান্য যারাপ কর্মকাণ্ডে প্রত্যাবর্তন করতে অস্বীকার করেছি। তাই আমাদের জাতির লোকেরা আমাদের ওপর অত্যাচার-নিপীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের সীমাহীন যুলুম-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা মাতৃভূমি ত্যাগ করে আপনাদের দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছি।”
হযরত জা'ফর ইবনে আবী তালিবের বক্তব্য শেষ হবার সাথে সাথেই বাদশাহ নাজ্জাশি বললেন, “যে কথাগুলোকে তোমাদের নবী ঐশী বাণী বলে প্রচার করেন এবং বলেন যে, এ বাণীগুলো মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে, তার কোনো কথা কি তোমাদের স্মরণ আছে?”
জা'ফর বিন আবু তালিব বললেন, “জ্বী স্মরণ আছে।”
বাদশাহ নাজ্জাশী বললেন, “তাহলে তার কিছু অংশ পাঠ করে শোনাও।”
এসময় হযরত জা'ফর দরবারের পরিবেশের দিকে একবার তাকালেন। সমগ্র দরবার খৃস্ট ধর্মমতে বিশ্বাসীদের দ্বারা পরিপূর্ণ। বাদশাহ নিজেও খৃস্ট ধর্মের অনুসারী। অনুষ্ঠানের পুরোভাগে উপবিষ্ট বড় বড় পাদ্রীগণ। তাঁদের সামনে পবিত্র ইঞ্জিল কিতাব রাখা। সুতরাং পরিস্থিতি ও পরিবেশের প্রতি দৃষ্টি রেখে তিনি ‘সূরা মারিয়াম’ তেলাওয়াত শুরু করলেন। পবিত্র সূরার সে সমস্ত আয়াতই তিনি অত্যন্ত ধীরস্থিরভাবে পাঠ করতে লাগলেন, যে আয়াতগুলো হযরত ঈসা, হযরত মারিয়াম, হযরত ইয়াহ্ইয়া ও হযরত যাকারিয়া (আ.)-এর সাথে সম্পর্কযুক্ত।
হযরত জাফরের ক্বেরাতের বিশেষ ভঙ্গিতে এ কোরআন তেলাওয়াত শাহী দরবারে সমবেত সকলের ওপর একটা অসাধারণ প্রভাব বিস্তার করল। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল কোরআনের এ আয়াতগুলো তেলাওয়াতের মাধ্যমে হযরত ঈসা ও হযরত মারিয়াম (আ.) সম্পর্কে কোরআন মজীদের বিশুদ্ধ ও মধ্যম নীতির বক্তব্যটি খৃস্টানদের সামনে তুলে ধরা। আর তিনি আরও বুঝাতে চাইলেন যে, পবিত্র কোরআন হযরত ঈসা ও মারিয়াম (আ.-কে অত্যন্ত পাক-পবিত্র বলে ঘোষণা করেছে, সাথে সাথে তাঁদেরকে আল্লাহর অংশীদারিত্ব থেকে অনেক দূরে বলে সাব্যস্ত করেছে। কোরআনের এ আয়াতগুলো পাঠ করার সাথে সাথে পরিস্থিতি বদলে গেল এবং সকলের চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হতে লাগল।
বাদশাহ নাজ্জাশি বললেন, “খোদার কসম! হযরত ঈসা (আ.) যে সত্যের আলোচনা করেছিলেন তা এগুলোই। হযরত ঈসা (আ.)-এর কথাবার্তা ও কোরআনের বাণীসমূহের ভিত্তি একই। সুতরাং তোমরা এদেশে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারো। একাগ্রচিত্তে তোমরা তোমাদের ইবাদাত করতে পারো।”
অতঃপর বাদশাহ নাজ্জাশি কুরাইশ প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বললেন, “তোমরা সোজা নিজেদের দেশে ফিরে যাও। আর তোমরা যে উপঢৌকন সামগ্রী নিয়ে এসেছো সেগুলোও ফিরিয়ে নিয়ে যেও। আর জেনে রেখো, আমি তোমাদের কাছে মুসলমানদের কাউকে হস্তান্তর করব না। এ মুহূর্তে এখান থেকে চলে যাও।”
বাদশাহ’র কঠোর নির্দেশের পর ওই দুই কাফের নেতা লজ্জিত হয়ে তাদের আনার উপহারগুলো ফেরত নিয়ে আবিসিনিয়া ত্যাগ করল। এর অল্প কিছুদিন পরেই বাদশাহ নাজ্জাশি ইসলাম কবুল করে মুসলমান হয়ে যান। তিনি নবম হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) সুদূর মদীনা থেকেই তাঁর জানাযার নামায পড়েছিলেন।
বন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে রয়েছে একটি লালনগীতি। ‘আল্লাহ বলো মন রে পাখী’ শিরোনামের গানটি গেয়েছে বাংলাদেশি শিশুশিল্পী ঐক্য। তোমরা গানটি শুনতে থাকো আর আমরা বিদায় নিই রংধনুর আজকের আসর থেকে।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৫