জানুয়ারি ০৪, ২০২৩ ১৮:৪৮ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি চিঠিপত্রের সাপ্তাহিক আসর 'প্রিয়জন'। আজও চিঠিপত্রের জবাব দেওয়ার জন্য স্টুডিওতে উপস্থিত হয়েছি আমরা তিনজন। আমি গাজী আব্দুর রশীদ, আমি আকতার জাহান এবং আমি আশরাফুর রহমান।

আশরাফুর রহমান: আজকের অনুষ্ঠান শুরু করব একটি বাণী শুনিয়ে। হযরত আলী (আ.) বলেছেন: "যে ব্যক্তি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাবার খায়, ভালো করে চিবিয়ে খায়, পুরোপুরি তৃপ্ত হবার আগেই খাওয়া বন্ধ করে এবং পায়খানা-প্রস্রাবের বেগ হলে বিলম্ব করে না, মৃত্যু ছাড়া সে অসুস্থ হবে না।"

আকতার জাহান: খুবই দরকারি একটি উপদেশ শুনলাম। আমরা সবাই তা মেনে চলার চেষ্টা করব- এ কামনা করে নজর দিচ্ছি চিঠিপত্রের দিকে।

আজও ভারত থেকে আসা ইমেইলই বেশি দেখতে পাচ্ছি। প্রথম মেইলটি এসেছে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থেকে আর পাঠিয়েছেন মহম্মদ ঘোরী শাহ

তিনি লিখেছেন, রেডিও তেহরান বাংলা- শ্রোতা সেতুবন্ধনরূপে আজ আপনজনে পরিণত হয়ে গেছে। বর্তমানে রেডিও তেহরান শ্রোতামুখী হওয়ার শীর্ষে পৌঁছাতে পেরেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রেডিওতে বহির্বিশ্ব কার্যক্রম করে আসছে, আমার মতে রেডিও তেহরান সর্বসেরা জনমুখী প্রতিষ্ঠান।

চিঠির শেষাংশে ঘোরী ভাই সমসাময়িক বিষয়ের ওপর একটি পাক্ষিক ফোন-ইন অনুষ্ঠান চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন।

গাজী আব্দুর রশীদ: ফোন-ইন অনুষ্ঠান চালুর বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় থাকল। তবে যতদিন না অনুষ্ঠানটি চালু হচ্ছে- ততদিন শ্রোতাবন্ধুরা ইচ্ছে করলে আমাদেরকে সময়সাময়িক বিষয়ে ১/২ মিনিটের ভয়েজ পাঠাতে পারেন। প্রিয়জন অনুষ্ঠানে তা বাজিয়ে শোনানো হবে। তো চিঠি ও মতামতের জন্য মহাম্মদ ঘোরী শাহ আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।  

আশরাফুর রহমান: ভারতের পর এবার বাংলাদেশের চিঠি। গোপালগঞ্জের জলিরপাড় থেকে এটি পাঠিয়েছেন বিধান চন্দ্র টিকাদার।

তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও তার বাংলা তর্জমা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনি। ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশিত  দৈনিক সংবাদপত্রের সংবাদ দিয়ে সাজানো কথাবার্তা অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনে থাকি। দুই দেশ থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রের খবর জানার সুযোগ হচ্ছে- একটি বড় পাওনা। রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগ থেকে প্রচারিত সাপ্তাহিক অন্য সব অনুষ্ঠানগুলোও অনেক শিক্ষণীয়, জ্ঞানবর্ধক এবং বিনোদনমূলক"।

আকতার জাহান:  ভাই বিধান চন্দ্র টিকাদার, নিয়মিত রেডিও তেহরান শুনে উপকৃত হচ্ছেন জেনে ভালো লাগল। আশা করি মাঝেমধ্যে লিখবেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুপী মিলন সংঘ থেকে মহ. হাফিজুর রহমান পাঠিয়েছেন বেশকিছু মেইল। ১৯ ডিসেম্বর আসা মেইলে তিনি লিখেছেন, "নিয়মিত রেডিও তেহরান থেকে প্রচারিত বাংলা অনুষ্ঠান শুনছি এবং সময় ও সুবিধামতো  আপনাদের ওয়েবপেজ ভিজিট করছি ওয়েব পেজের বিন্যাস অতিব সুন্দর ও চমকপ্রদ মুগ্ধ হতে হয়, জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার এ এক সুবর্ণ সুযোগ "

গাজী আব্দুর রশীদ: আমাদের অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কে তিনি কিছু লিখেছেন কি?

আকতার জাহান:   হ্যাঁ পুরো অনুষ্ঠান সম্পর্কেই তিনি বিস্তারিত মতামত জানিয়েছেন। লিখেছেন, "পবিত্র কোরআনের তেলওয়াত ও বাংলা তর্জমার পর বিশ্ব সংবাদ, দৃষ্টিপাত, জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইরানিদের অবদান, কথাবার্তা এবং ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে সাজানো পুরো পরিবেশনা শুনলাম এবং দারুণ ভাবে উপভোগ করলাম আন্তরিক ধন্যবাদ আকর্ষণীয় ও মনোগ্রাহী অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য"

আশরাফুর রহমান: আমাদের এক ঘণ্টার সান্ধ্য অধিবেশন মনোযোগ দিয়ে শোনার পর প্রতিবেদনধর্মী চিঠিটি লিখার জন্য হাফিজুর রহমান ভাই আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

মিউজিক বিরতির পর নজর দিচ্ছি বাংলাদেশের বরিশাল জেলার মঠবাড়ীয় থানার দক্ষিণ বন্দর কর্মকার পট্টি থেকে আসা একটি মেইলের দিকে। এটি পাঠিয়েছেন আমাদের নিয়মিত শ্রোতা ও পত্রলেখক কৃষ্ণ কর্মকার কৌশিক।

হেমন্তের হৈমন্তী মিষ্টি রোদেলা সকালে একরাশ হাসনাহেনা ফুলের প্রীতি, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, "গত ১১ ডিসেম্বর তারিখে প্রচারিত 'নারী: মানব ফুল' অনুষ্ঠানটি আমার কাছে খুব তথ্যবহুল ছিল আর 'সুখের নীড়' অনুষ্ঠানটি ছিল শিক্ষণীয়। এছাড়া ৯ ডিসেম্বর প্রচারিত আলাপন অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারটি খুবই ভালো লেগেছে।"

গাজী আব্দুর রশীদ: আমাদের কয়েকটি অনুষ্ঠান সম্পর্কে ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশ করে চিঠি লিখায় কৃষ্ণ কর্মকার কৌশিক আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার নওপাড়া শিমুলিয়া থেকে ভিআরএল ক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন পাঠিয়েছেন আসরের পরের মেইলটি। তিনি লিখেছেন, "আমি রেডিও তেহরানের একনিষ্ঠ শ্রোতা। বহির্বিশ্বে বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ক্ষেত্রে প্রথম স্থান রেডিও তেহরানকেই দিয়ে থাকি। তার কারণ রেডিও তেহরান সততা ও আদর্শ নিয়ে সাজানো-গোছানো অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। সঠিক সংবাদ পরিবেশনা, ইসলামি আদর্শের প্রচার এবং সমাজের সভ্য আচরণগুলো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরে আমাদেরকে সঠিক রাস্তা দেখায়।"

আকতার জাহান: ভাই জাকির হোসেন, রেডিও তেহরান সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন জেনে ভালো লাগল। আশা করি আবারো লিখবেন।

আসরের মেইল মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের রংপুর জেলার পীরগাছা থানার 'আলোকিত মানুষ চাই আন্তর্জাতিক বেতার শ্রোতা ক্লাব' থেকে আর পাঠিয়েছেন এটিএম আতাউর রহমান রঞ্জু     

তিনি লিখেছেন, "১৫ ডিসেম্বর অলসদের কাহিনি নিয়ে রংধনু আসরে প্রচারিত অনুষ্ঠানটি খুবই সুন্দর ও প্রাণবন্তভাবে  ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এজন্য উপস্থাপকদের  আন্তরিক ধন্যবাদ। রংধনু আসরের পাশাপাশি গল্প ও প্রবাদের গল্প এবং সুখের নীড় অনুষ্ঠানটিও আমার ভীষণ ভালোলাগে।" 

আশরাফুর রহমান: আমাদের তিনটি সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে ভালোলাগার অনুভূতি জানিয়ে ইমেইল করা আতাউর রহমান রঞ্জু ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থেকে মনীষা রায় পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, "১৪ ডিসেম্বর প্রচারিত স্বাস্থ্যকথা অনুষ্ঠানে ভিটামিন ডি'র ঘাটতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজে ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম কথাগুলো খুবই মূল্যবান ও উপকারী মনে হয়েছে। এছাড়া, বিশ্বসংবাদ, দৃষ্টিপাত, কথাবার্তা ও কোরআনের আলো শুনেছি। এ বেতারের প্রতিটি পরিবেশনা আমার কাছে খুবই প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান থেকে যে জ্ঞান ও শিক্ষা পাই তা নিয়ে আমার প্রবাহমান জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত সাজিয়ে তুলি।"

গাজী আব্দুর রশীদ: রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালা শ্রোতাদের কাজে লাগছে; তারা উপকৃত হচ্ছেন- এমন কথা শুনতে পেলে আমাদের সত্যি সত্যিই অনেক ভালো লাগে, অনুষ্ঠান তৈরি স্বার্থক মনে হয়। তো নিয়মিত মতামত জানিয়ে আমাদের পাশে থাকার জন্য বোন মনীষা রায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আকতার জাহান: বেশকিছু চিঠির জবাব তো দেওয়া হলো। এবার নাহয় এক শ্রোতাবন্ধুর সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যাক।

আশরাফুর রহমান: খুব ভালো কথা মনে করেছেন আপনি। আজ আমাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের কুমিল্লার এক শ্রোতাবন্ধু। প্রথমেই তার পরিচয় জানা যাক।

Image Caption

গাজী আব্দুর রশীদ: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার মহেন্দ্রনগর থেকে ভাস্কর পাল পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি। দীর্ঘ বিরতির পর একটি বড়সড় চিঠি লিখেছেন তিনি। আমি তার চিঠির কিছু অংশ পড়ে শোনাচ্ছি। ভাস্কর পাল লিখেছেন, "এই ২০২২ সালেই রেডিও তেহরান বাংলার গৌরবময় পথচলার ৪০টি বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। সময় যত এগিয়েছে, ততই ঘরে ঘরে বেজে উঠেছে রেডিও তেহরান। শ্রোতাদের যুক্ত করে, তাদের মতামত, ভালোলাগা ও পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে অনুষ্ঠান সাজানোর ফলে এই গণমাধ্যমের জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বাংলাভাষী শ্রোতাদের কাছে রেডিও তেহরান 'প্রিয়জন' হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। বাংলা অনুষ্ঠানের একটি ঘণ্টা তাই শ্রোতাদের কাছে সারাদিনের প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে।"  

আকতার জাহান: ভাই ভাস্কর পাল, রেডিও তেহরান সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন জেনে ভালো লাগল। আশা করি নিয়মিত লিখবেন।

আশরাফুর রহমান: আজকের আসরের শেষ মেইলটি এসেছে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার জোনাইডাঙ্গা গ্রাম থেকে। আর পাঠিয়েছেন ফারুক আহমেদ।

তিনি লিখেছেন, আমি এই প্রথম রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগে লিখছি। আমি জানতে চাই- রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠান কোন দিন এবং বাংলাদেশ সময় কখন প্রচারিত হয়? সেইসাথে চিঠিপত্রের জবাবদানের অনুষ্ঠান প্রিয়জন কোন দিন বাংলাদেশ সময় কখন প্রচারিত হয়? আর মাসিক কুইজ মাসের কোন তারিখে দেয়া হয় এবং কুইজের ফলাফল কোন তারিখে ঘোষণা করা হয়?

গাজী আব্দুর রশীদ: ভাই ফারুক আহমেদ, আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান প্রতিদিন বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ২৩ মিনিট থেকে ৯টা ২৩ মিনিট এবং রাত ১০টা ২৩ মিনিট থেকে ১০টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত প্রচারিত হয়। চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন প্রচারিত হয় প্রতি সোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে। আর কুইজের ঘোষণা ও ফলাফল দেখার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের প্রতিযোগিতা বিভাগের নজর রাখবেন। তাহলেই আপনার প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন। তো, প্রথম চিঠির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আশরাফুর রহমান: ইমেইল পাঠানোর জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তো শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নেওয়ার আগে আজও আপনাদের জন্য রয়েছে একটি গান। শৈশবের স্মৃতি নিয়ে এই গানটি লিখেছেন চৌধুরী গোলাম মাওলা। আর গেয়েছেন শিল্পী নিজেই।

গাজী আব্দুর রশীদ: শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা গানটি শুনতে থাকুন আর আমরা বিদাই নিই প্রিয়জনের আজকের আসর থেকে।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৪

ট্যাগ