জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ ১৫:৫৮ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১৫ জানুয়ারি রোববারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ, ভোটার বৃদ্ধির হার ৫.১০%-প্রথম আলো
  • বিএনপি’র নয়া কৌশল, কক্ষপথে জাপা, কী করবে জামায়াত?–মানবজমিন
  • পাঠ্যবইয়ে ভুল আর ভুল, মিলছে কালোবাজারে-মানবজমিন
  • শেখ হাসিনা আছেন বলেই ধু ধু মাঠে ফসল, আমবাগানে আম হয়: খাদ্যমন্ত্রী-যুগান্তর
  • একজনও ঠিকানাবিহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
  • অপরাধ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী- বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • হাসপাতালে মির্জা ফখরুল-ইত্তেফাক

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ভারতের উপর আর জোর খাটানো যাবে না, চিনকে কড়া বার্তা বিদেশমন্ত্রীর, তোপ পাকিস্তানকেও-সংবাদ প্রতিদিন
  • চীনে একমাসে করোনায় ৬০ হাজার-আজকাল
  • মমতা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য, বলেই দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ‘ভারতরত্ন’ অমর্ত্য সেন–আনন্দবাজার
  • সঙ্ঘ পরিবারের আসল পরিচয় কপটচারিতা-গণশক্তি
  • ৭২ আরোহী নিয়ে নেপালে বিমান বিধ্বস্ত, ৪০ মরদেহ উদ্ধার-পুবের কলম

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. দুবাইয়ে ৪৫৯ জনের সম্পত্তি কেনার অভিযোগ অনুসন্ধান করতে দুদকসহ চার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কী বলবেন আপনি?

২. জনমত জরিপ রিপোর্ট বলছে- হাঙ্গেরির প্রায় সব মানুষ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতা করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ হয়েও ইউক্রেন ইস্যুতে হাঙ্গেরির ভূমিকা এমন কেন?

জনাব সিরাজুল ইসলাম আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

বিএনপি’র নয়া কৌশল, কক্ষপথে জাপা, কী করবে জামায়াত?-মানবজমিন

২০২৩ সালের ক্যালেন্ডার এরইমধ্যে সচল হয়েছে। বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতির নীতি-নির্ধারণী বছর। এ বছরের শেষদিকে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে? কেমন হবে সে নির্বাচনের চরিত্র- মূলত তা নিয়েই রাজনীতির ময়দানে চলছে লড়াই। মরিয়া দুই পক্ষই। সরকার কোনো ছাড় দেবে এখন পর্যন্ত তেমন ইঙ্গিত নেই। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ।গেল এক দশকের রাজনীতিতে এটা নয়া শিক্ষা। দৃশ্যত ব্যর্থ হরতাল-অবরোধ। নয়া কৌশলের খোঁজে বিএনপি। নয়া রাজনীতির খোঁজেও নয় কি! অবশেষে দলটি কি তা খুঁজে পেলো? সে প্রশ্নের জবাব খোঁজার সময় এখনো আসেনি।

বিএনপির আন্দোলন

গত কিছুদিনের মতো দলটির এদিনের কর্মসূচিতেও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। একইদিনে যুগপৎ কর্মসূচি পালন করেছে সমমনা আরও বেশকিছু দল। এটি ঢাকায় বিরোধী দলগুলোর এ ধরনের দ্বিতীয় কর্মসূচি। তবে প্রথমদিন জামায়াত মাঠে থাকলেও এদিন ছিল না। 

দুইযুগ আগে সরবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল ৪ দলীয় ঐক্যজোটের। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মঞ্চ আলোকিত করেছিলেন সেদিনের বিরোধী রাজনীতির শীর্ষ নেতারা। ক’দিন আগে অনেকটা নীরবেই সে জোট বিলুপ্ত হয়ে গেল। এটি অবশ্য এরইমধ্যে সবার জানা। এ জোটের তত্ত্বদাতা হিসেবে পরিচিত আনোয়ার জাহিদ কিংবা গোলাম আযমও বেঁচে নেই। কিন্তু যে থিওরির ওপর ভর করে আদিতে এই জোট গড়ে ওঠেছিল তা কি টিকে আছে? এ নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা মুশকিল। কারণ ২০১৪ কিংবা ১৮ সালে ভোটের ময়দানে এ তত্ত্বের পরীক্ষা হয়নি। তবে ‘বিএনপি-জামায়াত’ ব্র্যাকেটবন্দি রাজনীতি বিএনপি’র জন্য বহুক্ষেত্রে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। দলটি চেয়েছিল এর থেকে বেরিয়ে আসতে। যদিও বিএনপি’র ভেতরে এ নিয়ে নানামত ছিল। আন্দোলন এবং ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন বিএনপিতে এমন নেতার সংখ্যা একেবারে কম নয়।

আন্দোলন কিংবা নির্বাচন বিগত ১৬ বছরের অভিজ্ঞতা ভালো নয় বিএনপি’র। দলটি হোঁচট খেয়েছে বার বার। মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন লাখ লাখ নেতাকর্মী। গুম-খুনের ঘটনাও ঘটেছে। তবে আখেরে বিএনপি ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। সে অভিজ্ঞতা থেকেই কিনা এবার নতুন কৌশলে এগুনোর চেষ্টা করছে। বিএনপি’র এই কৌশল কেমন? দলটির সামনে চ্যালেঞ্জও বা কী? বিএনপি কি এসব চ্যালেঞ্জ উতরাতে পারবে। 

সাম্প্রতিক অতীতে বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দলের প্রতি কমিটমেন্টকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিশেষত অতীতে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, হেভিওয়েট নন, কিন্তু আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় থেকেছেন এমন ব্যক্তিদেরই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এটি করতে গিয়ে বেশকিছু হেভিওয়েট নেতা অবশ্য বাদ পড়েছেন। বিশেষত আগামী নির্বাচনে কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করেন কিনা সে বিষয়টিও মাথায় রাখছে বিএনপি নেতৃত্ব। এরইমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপনির্বাচনে প্রবীণ নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে অংশ নিচ্ছেন। এটিকে বিএনপি’র অনেকে সতর্ক সংকেত হিসেবে দেখছেন।  

২. রাজপথে এককভাবে কর্মসূচি পালন করে নিজেদের শক্তির জানান দেয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। গত কয়েকমাসে বিএনপি তার সবক’টি সমাবেশ, মিছিল এককভাবেই করেছে। এসব সমাবেশ-মিছিলে বিপুল লোক সমাগম বিএনপি’র নেতৃত্বকে আশাবাদী করেছে।

৩. আদিতেও বিএনপি’র রাজনীতিতে নানা মত ও পথের সম্মিলন ছিল। এখন অবশ্য বিএনপি যে যুগপৎ আন্দোলনের রাজনীতির সূচনা করেছে তা কিছুটা আলাদা। একই ফর্মুলায় আগেও এদেশে আন্দোলন হয়েছে। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগের আন্দোলনে এই যুগপৎ ধারা আমরা দেখেছি। এবার যেটা আলাদা সেটা হচ্ছে, বিএনপি ওয়াদা করেছে যদি তারা বিজয়ী হতে পারে তবে আন্দোলনকারী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। 

৪. বিএনপি’র এবারের যুগপৎ আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য বামপন্থি দল ও নেতারা যোগ দিয়েছেন। এটি আন্দোলনকে নতুনমাত্রা দিয়েছে। অবশ্য এটি অতি ডান-অতি বামের ঐক্য বলে কেউ কেউ সমালোচনাও করছেন।

৫. বিএনপি’র এই আন্দোলনের প্রধান চ্যালেঞ্জ কী? পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মামলা এবং চাপের মুখে দলটির নেতাকর্মীরা শেষ পর্যন্ত রাজপথে থাকতে পারেন কিনা সেটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। বিএনপি’র দাবি অনুযায়ী, দেড় লাখ মামলায় দলটির প্রায় ৩৬ লাখ নেতাকর্মী আসামি। এসব মামলা মোকাবিলা করা দলটির জন্য অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া এরইমধ্যে এটি পরিষ্কার হয়ে গেছে, বিএনপি’র কর্মসূচির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শাসকদলের নেতাকর্মীরাও মাঠে থাকবেন। সক্রিয় থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। এসব চাপ সামলানোর চ্যালেঞ্জ থাকবে বিএনপির সামনে।

৬. হরতাল-অবরোধের বিপরীতে এখন পর্যন্ত বিএনপি সমাবেশ, মিছিল, অবস্থানের মতো কর্মসূচি পালন করছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ ধরনের কর্মসূচি কতোটা কার্যকর হবে তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে। তবে এটা স্পষ্ট বিএনপি যেকোনো মূল্যে সংঘাত-সহিংসতা এড়াতে চায়।

৭. অসীম সময় ধরে নিশ্চয় বিএনপি’র এ আন্দোলন চলবে না। আন্দোলনকে একটি গন্তব্যে পৌঁছানো বিএনপি’র নীতি নির্ধারকদের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে।

হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ, ভোটার বৃদ্ধির হার ৫.১০%-প্রথম আলো

দেশে ভোটার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার ২৭৭ জন নাগরিক। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে মোট ভোটার বাড়ছে ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৮ জন। ভোটার বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ১০ শতাংশ।

আজ রোববার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়ার এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান। খসড়া এই তালিকার ওপর অভিযোগ নিষ্পত্তি শেষে আগামী ২ মার্চ প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।

খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী, এখন দেশের মোট ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১১২ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ জন। আর হিজড়া পরিচয়ে ভোটার হয়েছেন ৮৩৭ জন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। তবে ভোটার হওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তিরা যেকোনো সময় ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে পারেন।

সংবাদ বিশ্লেষণ-ইভিএম কেনার তোড়জোড়ে সন্দেহ–অনাস্থা বাড়বে-প্রথম আলো

ইভিএম

বিতর্কের মুখেও যখন দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম কেনার প্রকল্পের অনুমোদন দিতে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে, তখন সরকারের এমন তৎপরতার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। নির্বাচনে মূল অংশীজন যারা, সেই রাজনৈতিক দলগুলোই এখনো ইভিএম ব্যবহার নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। বরং বেশির ভাগ দলই এর বিরোধিতা করছে। বিরোধিতাকারী দলগুলোর সন্দেহ এবং আস্থার সংকট দূর করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। পরিস্থিতিটাকে উপেক্ষা করে ইভিএম কেনার তোড়জোড় সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

একদিকে ঐকমত্য নেই রাজনৈতিক অঙ্গনে, অন্যদিকে দেশের অর্থনীতি নিয়ে নানা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অর্থনীতিবিদেরা। এমনকি সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকেও অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে অপচয় কমানোসহ নানা রকম সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে।  কিন্তু ইভিএম প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকা। ফলে বাস্তবতা কতটা বিবেচনা করা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও উঠছে।

একদিকে ঐকমত্য নেই রাজনৈতিক অঙ্গনে, অন্যদিকে দেশের অর্থনীতি নিয়ে নানা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অর্থনীতিবিদেরা। এমনকি সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকেও অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে অপচয় কমানোসহ নানা রকম সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে।  কিন্তু ইভিএম প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকা। ফলে বাস্তবতা কতটা বিবেচনা করা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও উঠছে।

‘ইভিএম কিনতে হঠাৎ তড়িঘড়ি’ শিরোনামে প্রথম আলোতে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ১৭ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য তোলা হতে পারে। কিন্তু নিয়ম ভেঙে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ছাড়াই বড় অঙ্কের অর্থের প্রকল্প একনেকে নেওয়া হচ্ছে অনুমোদনের জন্য। এ ছাড়া প্রকল্পের মধ্যবর্তী মূল্যায়নও এখনো হয়নি। তড়িঘড়ি করতে গিয়ে নিয়মনীতিও মানা হচ্ছে না।  ফলে অনুমোদনের প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে কতটা?

যদিও জাতীয় সংসদের আগামী নির্বাচনে সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। এখন দেড় লাখ ইভিএম আছে। ১৫০ আসনে ভোট নিতে আরও ২ লাখ ইভিএমের চাহিদার কথা নির্বাচন কমিশন বলছে। নির্বাচন কমিশন থেকেই বিভিন্ন সময় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপকভাবে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল।

একজনও ঠিকানাবিহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশে একজন মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, ঠিকানাবিহীন থাকবে না। এটিই আমাদের লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনস অব ব্যাংকসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। সৌজন্য সাক্ষাতে এসে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩৬টি ব্যাংক অনুদান হিসেবে ১১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা দেয়। সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। কেএম শাখাওয়াত মুন জানান, বিভিন্ন সময় অনুদান দেওয়ার জন্য ব্যাংকারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাই। যেকোনো দুযোর্গ-দুর্বিপাকে আমার বলতেও হয় না আপনারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবাই চলে আসেন এবং সহযোগিতা করেন।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রদত্ত অনুদান যথাযথভাবে মানুষের কাজে লাগে। অনেক মানুষের কাজে লাগে, আপনারা হয়তো চিন্তাও করতে পারবেন না, কত মানুষকে আমরা কতভাবে সাহায্য করি চিকিৎসা, ঘর-বাড়ি সব বিষয়ে।’ আশ্রয়ণের ঘর পাওয়া মানুষের জীবন বদলে যাওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশ্রয়ণের ঘর পাওয়া মানুষের হাসি, তাদের তৃপ্তি, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না।’

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত: 

অমর্ত্য সেন ও মমতা বন্দোপাধ্যায়

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে। এমনই মনে করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারাতে গেলে দেশের আঞ্চলিক দলগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।বস্তুত, ২০২৪-এর লোকসভা ভোট বিজেপির ‘জেতা ম্যাচ’ বলে মনে করেন না অমর্ত্য। বরং তিনি তাকিয়ে রয়েছেন দেশের একাধিক আঞ্চলিক দলের ফলাফলের দিকে। তৃণমূলের মতো আঞ্চলিক দলগুলির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বলেই মনে করেন তিনি। নবতিপর অর্থনীতিবিদ ‘ঘোষিত’ বিজেপি বিরোধী। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর একাধিক বার উগ্র জাতীয়তাবাদের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন তিনি। বিজেপির লাগাতার আক্রমণের মুখেও পড়তে হয়েছে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীকে।

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যা দরকার, সবই করবে ভারত’, চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের-আনন্দবাজার পত্রিকা/সংবাদ প্রতিদিন

ভারতের  বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর

একদিকে কাশ্মীরেজুড়ে পাক জঙ্গিদের উপদ্রব, অন্যদিকে লাদাখ এবং অরুণাচল সীমান্তে চিনা সেনার আগ্রাসন। ত্রিফলা চাপের মুখে পড়েও মাথা নত করেনি ভারত। আর আগামীদিনেও কোনও চাপের কাছে আমরা মাথা নোয়াব না। একযোগে চিন এবং পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। তাঁর সাফ কথা, গোটা বিশ্বে যে হারে ভারতের গৌরব এবং গুরুত্ব বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে ভারতের উপর আর কেউ জোর খাটাতে পারবে না। চেন্নাইয়ে তুঘলকের ৫৩তম বাৎসরিক অনুষ্ঠানে চিনকে কড়া আক্রমণ করে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভারতও যোগ্য জবাব দিয়েছে। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যা দরকার, ভবিষ্যতে তার সবই করবে ভারত।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৫

ট্যাগ