এপ্রিল ০২, ২০২৩ ১৫:০০ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশ ও ভারতের পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ খবর

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ রোববার ২ এপ্রিলের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে নাজেহাল করা হচ্ছে: জেড আই খান-প্রথম আলো
  • এ বছর ফিতরা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২৬৪০ সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা-ইত্তেফাক
  • নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
  • প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন: আইনমন্ত্রী -যুগান্তর
  • মতিউর রহমানের জামিন-মানবজমিন
  • শীঘ্রই যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা দেওয়া হবে : মির্জা ফখরুল-বাংলাদেশ প্রতিদিন 
  • উল্টো পথে মধ্যবিত্তের নিরাপদ বিনিয়োগ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের চেয়ে প্রত্যাহার বেশি-নয়া দিগন্ত

ভারতের শিরোনাম:

  • নির্ভয়ে এবং নিরপেক্ষ ভাবে কর্তব্য করতে হবে পুলিশকে’, হাওড়া নিয়ে আবার বার্তা রাজ্যপালের -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • সাক্ষীদের বয়ানে অসঙ্গতি, গুজরাট দাঙ্গায় খুন ও গণধর্ষণে অভিযুক্ত ২৬ জনকে রেহাই আদালতের-সংবাদ প্রতিদিন
  • কিছু দাঙ্গাবাজ ধর্মীয় উন্মাদ রামনবমীর দিন দাঙ্গা লাগিয়েছে অভিযোগ সুকান্ত মজুমদারের-দৈনিক পুবের কলম

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. আগামী বছরে হজ প্যাকেজের মূল্য বাড়বে জানিয়ে এবারের হজ প্যাকেজে নিবন্ধিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কী বলবেন আপনি? ২. সিরিয়ায় টানা তৃতীয় রাতের মতো হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এছাড়া, ইসরাইলের হামলায় আইআরজিসির দুই কর্মকর্তা শহীদ হয়েছেন। পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে বলে মনে হয়?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে নাজেহাল করা হচ্ছে: জেড আই খান-প্রথম আলো

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে মানুষকে নাজেহাল করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তিনি বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কালাকানুনের বিরুদ্ধে বিরোধিতা আগেও করেছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও তাতে হয়রানি করা বন্ধ করতে হবে।’

আজ রোববার সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সামনে জেড আই খান পান্না এসব কথা বলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানি বন্ধের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সামনে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। আয়োজকেরা অভিযোগ করেন, মানববন্ধনের আগেই তাঁদের মাইক ও ব্যানার কেড়ে নেওয়া হয়। পরে মাইক ছাড়াই তাঁরা বক্তব্য দেন।

জেড আই খান পান্না বলেন, ‘সংবাদে ভুল আসতে পারে, বক্তব্য ভুল হতে পারে, তাই বলে সাংবাদিককে জেলে ঢুকিয়ে দেবেন। এটা সভ্য দেশে হতে পারে না। এটি বর্বরতম কোনো দেশ না। লেখার জন্য রাষ্ট্রদ্রোহী, দেশদ্রোহী বলবেন, এটি ঠিক না।’ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী বলেন, ‘২০০৪ সালে র‍্যাব গঠনের সময় সেটির বিরোধিতা করেছিলাম। র‍্যাব যারা করেছিল, পরে তারাও সেটির বিরোধিতা করেছে। এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে মানুষকে নাজেহাল করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিক গ্রেপ্তারসহ নানা অনাচার দেখতে পাচ্ছি, এগুলো মানতে পারি না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও তাতে কাউকে হয়রানি করা বন্ধ করতে হবে।’

নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ

নতুন দেশে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ অন্বেষণ এবং সেখানে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র এবং নতুন দেশ (জনশক্তি পাঠানোর জন্য) খুঁজে বের করতে হবে। আমরা এমন ধরনের প্রশিক্ষণের (কর্মীদের জন্য) ব্যবস্থা করব যা একটি দেশের প্রয়োজন।’ 

আজ রবিবার নিজ সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সরকার এরই মধ্যে কয়েকটি নতুন দেশে কর্মী পাঠানো শুরু করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে হবে এবং সেজন্য আমরা কর্মীদের জন্য বহুমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘যদি আমরা যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে পারি, তাহলে আমাদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা অর্জনের বড় সুযোগ রয়েছে।’ বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকরা কীভাবে ভালো থাকবেন এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করবেন সে বিষয়েও তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন: আইনমন্ত্রী -যুগান্তর

অনেক সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে হয়রানির অভিযোগ উঠছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রয়োজন হলে আইনের বিধি সংযুক্ত বা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত সেমিনার শেষে তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী জানান, দেশে-বিদেশে বা জাতিসংঘে আলোচনায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু অপব্যবহার হয়েছিল, সেটা আমরা স্বীকার করে এ বিষয়ে কী পরিবর্তন আনা যায়, সেটি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনা এখনো চলমান আছে। সেখান থেকে একটা টেকনিক্যাল নোট এসেছে, আমরা সেটি নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করছি।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের যাতে অহেতুক হয়রানি করা না হয়, সে বিষয়ে একটা পদ্ধতি গ্রহণ করা (উদ্যোগ নেওয়া) হয়েছে। সুধীজনদের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। এ বিষয়ে ৩০ মার্চ আবারও বসার কথা ছিল, তবে তা স্থগিত করা হয়। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় বসা হবে। সুধীজনরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ডাটা প্রটেকশন আইন এবং এনজিও ভলেন্টারি নিয়েও একটা আইনের কথা বলেছেন। এসব নিয়েও আলোচনা হবে।

এ বছর ফিতরা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২৬৪০ সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা-ইত্তেফাক

১৪৪৪ হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতর-এর হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২৬৪০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রবিবার (২ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, ইসলামী শরীয়াহ মতে, আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। গম বা আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা‘ অথবা ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১১৫ (একশত পনের) টাকা প্রদান করতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে এক সা‘ অথবা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৩৯৬ (তিনশ ছিয়ানব্বই) টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা‘ অথবা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৬৫০ (এক হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ অথবা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৯৮০ (এক হাজার নয়শ আশি) টাকা ও পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ অথবা ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২,৬৪০ (দুই হাজার ছয়শত চল্লিশ) টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।

দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। উল্লেখ্য, উপর্যুক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।

শীঘ্রই যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা দেওয়া হবে : মির্জা ফখরুল-বাংলাদেশ প্রতিদিন 

অতি শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান বিএনপির মহাসচিব। বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে দমন করার জন্য গত ১৪ বছর ধরে তারা একই কায়দায় সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ করছে, হত্যা করছে, নির্যাতন করেছে, গ্রেফতার করছে ও মিথ্যে মামলা দিচ্ছে। বিশেষ করে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট ব্যবহার করে তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সংবাদ মাধ্যমের যে স্বাধীনতা এটা তারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে।  গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সাথে বৈঠকে বিশেষ করে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট বাতিল করার বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে জানান মির্জা ফখরুল। 

তিনি বলেন, চলমান আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সাথে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে কিভাবে সম্পর্ক উন্নয়ন, আরো দৃঢ় করা যায় এবং আন্দোলন সংগ্রামকে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আশা করি যুগপৎ কর্মসূচির আন্দোলন আরো বেগবান হবে। অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের সংখ্যা আরো বাড়াতে পারবো এবং আন্দোলনকে আরো বেগবান করে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকারকে প্রতিষ্ঠা করতে পারব। 

মতিউর রহমানের জামিন-মানবজমিন

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট।  রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না। (বিস্তারিত আসছে…)

নির্ভয়ে এবং নিরপেক্ষ ভাবে কর্তব্য করতে হবে পুলিশকে’, হাওড়া নিয়ে আবার বার্তা রাজ্যপালের -আনন্দবাজার পত্রিকা

হাওড়ায় অশান্তির ঘটনায় শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছিল রাজভবন। রবিবার একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবারও পুলিশকে তাদের ‘কর্তব্য’ মনে করিয়ে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জানালেন, পুলিশকে ‘নির্ভয়ে, নিরপেক্ষ ভাবে’ তদন্ত করতে হবে। সর্বোপরি, মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। এবিপি আনন্দকে দেওয়া এই টেলিফোন সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘পুলিশকে নির্ভয়ে, নিরপেক্ষ ভাবে কর্তব্য করতে হবে। বস্তুনিষ্ঠ হতে হবে। দায়বদ্ধ হতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ করতে হবে।’’ গোটা সাক্ষাৎকারে তিনি বার বার নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। পুলিশকে মানুষের আস্থা অর্জন করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। কোনও ভাবেই তার অন্যথা করা যাবে না।’’

বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার হাওড়া জেলার কিছু এলাকায় অশান্তির পর, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল তাঁর লিখিত বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘‘পুলিশের উচিত লক্ষ্য স্থির রেখে কড়া এবং স্বচ্ছ পদক্ষেপ করা। অশান্তি তৈরির পিছনে যাঁদের মদত রয়েছে তাঁদের ভয় পেলে চলবে না।’’ তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রকাশ্যে পুলিশের একাংশের ‘গাফিলতি’-র প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। এমনও জানিয়েছিলেন যে, ‘দোষী’ পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তিনি প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা নেবেন।

সাক্ষীদের বয়ানে অসঙ্গতি, গুজরাট দাঙ্গায় খুন ও গণধর্ষণে অভিযুক্ত ২৬ জনকে রেহাই আদালতের-সংবাদ প্রতিদিন

২০০২ সালের গুজরাট (Gujarat) দাঙ্গায় গণধর্ষণ ও খুনের অভিযুক্ত ২৬ জনকে রেহাই দিল গুজরাটের আদালত। ওই মামলাগুলিতে মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল ৩৯। এর মধ্যে ১৩ জন ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। বাকিদের প্রমাণের অভাবে মুক্তি দিল আদালত।

২০০২ সালের ১ মার্চ গুজরাটের গান্ধীনগরের কলোল শহরে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। বহু দোকানও ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হলে পুলিশের গুলিতে এক যুবক আহত হন। তাঁকে টেম্পোয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। উত্তেজিত জনতা আরও একজনকে খুন করে। আরেক ঘটনায় দেলোল গ্রাম থেকে আসা ৩৮ জনের উপরে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। পুড়িয়ে মারা হয় ১১ জনকে। পালানোর চেষ্টা করার সময় এক মহিলাকে গণধর্ষণও করা হয়।

গত দুই দশক ধরেই চলছে এই মামলা। ১৯০ জন সাক্ষ্য দেন। ৩৩৪টি প্রমাণও জমা দেওয়া হয়েছিল আদালতে। কিন্তু বিচারকরা জানিয়েছেন, সাক্ষীদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তদের মধ্যে জীবিত সকলকেই অব্যাহতি দিলেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক।

৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙল পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি, বিনা পয়সার খাবার নিতে গিয়ে মৃত ২৬-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

পাকিস্তানের দুর্দশা দিনদিন বাড়ছে। আকাশ ছুঁয়েছে দ্রব্যমূল্য। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের শর্তপূরণ করতে ব্য়াপক হারে কর চাপিয়েছে সে দেশের সরকারও। সবমিলিয়ে আমজনতার ক্রয় ক্ষমতা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। যার ফল ভুগছে সে দেশের অর্থনীতি। পাক সরকারির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সে দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার গত ৫ দশকের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। মার্চ মাসে পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৩৭ শতাংশ।

পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে পাকিস্তানের। চাহিদা মেটাতে সরকারির বিনামূল্য়ের রেশনের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে সেদেশের জনতাকে। যার জেরে সে দেশের রাস্তায় চুরি-ছিনতাই-পকেটমারির মতো ঘটনা ঘটছে। আবার বিনামূল্যে রেশন আনতে গিয়ে হুড়োহুড়ির চোটে পদপিষ্ট হয়ে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। একের পর এক এধরনের ঘটনায় পাকিস্তানে চাপ বাড়ছে।

পাক সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে মুদ্রাস্ফিতী বৃদ্ধির হার ৩.৭২ শতাংশ। গত বছর এই সময় পাকিস্তানের গড় মুদ্রাস্ফিতীর হার ছিল ২৭.২৬ শতাংশ। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই ভয়ানক মুদ্রাস্ফিতীর মুখে পড়বে সে দেশে। ইতিমধ্যে গ্রামাঞ্চলে খাবারের দামের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফিতীর হার বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। সুরা জাতীয় পানীয়র দাম বেড়েছে অন্তত ৪০ শতাংশ। তামাকজাত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে অন্তত ১৪০ শতাংশ।#

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।