মে ০৮, ২০২৩ ১৬:০৮ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ৮ মে সোমবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • সুদান থেকে দেশে ফিরলেন ১৩৬ বাংলাদেশি-মানবজমিন
  • ফৌজদারি মামলা-আসামি দুই পুলিশ কর্মকর্তা আড়াই মাস ধরে ছুটিতে, জামিন নেননি, গ্রেপ্তারও হননি-প্রথম আলো
  • দেশের ৪৩ জেলায় এখন তাপপ্রবাহ বইছে,এত গরম কেন, কত দিন থাকবে-প্রথম আলো
  • পাঁচ সিটিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে: ইসি –ইত্তেফাক
  • আগামী নির্বাচনে আ.লীগ জয়ী হবে: প্রধানমন্ত্রী, ভোট ডাকাতি নিয়ে রিজভীর নতুন তথ্য-যুগান্তর

কোলকাতার শিরোনাম:

  • সাইক্লোন মোকা মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য, সুন্দরবন-দিঘায় জারি বাড়তি সতর্কতা, জানালেন মমতা-সংবাদ প্রতিদিন
  • সার্বভৌম কর্নাটক’! এ বার সনিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিতে বিজেপি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মণিপুর সামলাচ্ছে সেনারা, আশ্রয় ২৩ হাজার মানুষকে-গণশক্তি

এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

পাঁচ সিটিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে: ইসি-ইত্তেফাকের এ খবরে লেখা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অবসরপ্রাপ্ত) বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রতিটা নির্বাচনের ব্যাপারে খুবই সতর্ক। অবাধ, সুন্দর, নিরপেক্ষ এবং পক্ষপাতিত্ববিহীন নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারবো, সেজন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন আমাদের হাতে গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী ৫ সিটি নির্বাচন।সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ভালোভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সবাইকে সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। খুলনাসহ পাঁচ সিটি করপোরেশনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা হবে।

পরিত্যক্ত সম্পত্তি-৫২ বছর পর ঢাকার ৫১ বাড়ি উদ্ধারের চেষ্টা-প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখঅ হয়েছে, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর সরকার ৫৫টি পরিত্যক্ত বাড়ি বা সম্পত্তি উদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা শহরেই রয়েছে ৫১টি বাড়ি। ঢাকার পরিত্যক্ত বাড়ির দখলদারদের তালিকায় বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, আবাসন প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারি কর্মকর্তাও রয়েছেন। বেদখল হওয়া এসব বাড়ি উদ্ধার করে সেখানে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর স্থাপনের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব নাগরিক তাঁদের বাড়ি বা সম্পত্তি ফেলে চলে গেছেন, স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে সেসব সম্পত্তিকে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ঘোষণা করা হয়।বর্তমানে যাঁরা সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে বসবাস করছেন, তাঁদের কাছ থেকে সম্পত্তি দখলে নেবে সরকার। কেউ যদি সম্পত্তি নিজের প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে তাঁর কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

নির্বাচন করতে পারবেন না জাহাঙ্গীর: হাইকোর্ট-ইত্তেফাক

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিন্ধান্ত বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।সোমবার (৮ মে) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালত আদেশে বলেছেন, যেদিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, সেদিন পর্যন্ত তিনি ঋণ খেলাপি ছিলেন।

যুগান্তরের নির্বাচন বিষয়ক খবরে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,আগামী নির্বাচনে আ.লীগ জয়ী হবে। তবে দৈনিকটির অপর এক খবরে বিএনপি নেতা রিজভী ভোট ‘ডাকাতি’ নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গায়েবি মামলা-গ্রেফতার নিয়ে বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশ, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালেও নিশিরাতের সরকার নিজেকে রক্ষা করতে এই অপকর্মে মরিয়া।

ক্লান্তি আর ভয় নিয়ে সুদান থেকে দেশে ফিরলেন ১৩৬ বাংলাদেশি-প্রথম আলো, মানবজমিনে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে,

সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে গত ১৫ এপ্রিল সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সংঘর্ষে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সংঘাতপূর্ণ সুদানের খার্তুম থেকে জেদ্দা হয়ে নিরাপদে দেশে ফিরেছেন ১৩৬ বাংলাদেশি। সংঘাতময় সুদানে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেই গল্প শুনিয়েছেন কেউ কেউ । অনেকের চোখে–মুখে ক্লান্তির ছাপ। অনেকে ভবিষ্যতের চিন্তা দিশাহারা।সবকিছু ফেলে দেশে চলে আসতে হয়েছে—এ গল্প বলতে গিয়ে কাঁদছিলেন একজন।

 এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের শেষ প্রচার, এগিয়ে কংগ্রেস। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, কর্ণাটক দক্ষিণ ভারতের একমাত্র রাজ্য যা বর্তমানে বিজেপি শাসিত। তবে, গত কয়েক বছরে মোদির কর্মকাণ্ড রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি করেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের এই রাজ্যে স্কুল ও কলেজে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়। বাজারে হালাল মাংস বিক্রির ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এমনকি পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের জন্য ৪ শতাংশ কোটা ব্যবস্থাও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।বিজেপির এই হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির ফলে সমালোচনা হয়েছে এবং জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে কাঁপছে বিজেপি সরকার। শেষ মুহূর্তের প্রচারণা চলছে। মোদি সরকার নতুন কর্মসংস্থান, রান্নার জন্য বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণসহ উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'কংগ্রেস শুধু মিথ্যা বলছে। আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিতদের সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য বিজেপির যা যা করা দরকার তা করছে।'

তবে হিজাব ইস্যুর পর মোদির দল মুসলিম অধ্যুষিত ১৩টি আসনে নামতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই এ বছর বেশিরভাগ পোলিং এজেন্সি কংগ্রেসকে এগিয়ে রেখেছে।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, বিজেপি শুধু এই রাজ্যকে লুণ্ঠন করেছে। সব সেক্টরে দরিদ্র মানুষের টাকা লুট করা হচ্ছে। তরুণদের কর্মসংস্থান কমে গেছে। কংগ্রেস যুবকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে প্রকল্প চালু করবে।

বর্তমান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কর্ণাটকের বাসিন্দা, তাই জনগণের আস্থা অর্জন করা অনেক সহজ হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

কর্ণাটকের সার্বভৌমত্ব’ মন্তব্যে সোনিয়ার বিরুদ্ধে কমিশনে চিঠি বিজেপির, কঠোর শাস্তির দাবি-সংবাদ প্রতিদিন

ভারত রাষ্ট্র থেকে কর্ণাটককে (Karnataka) আলাদা করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস (Congress), গতকাল অভিযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এবার ভোটপ্রচারে কর্ণাটকের ‘সার্বভৌমত্ব’ প্রসঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে তেড়ফুড়ে ময়দানে নামল বিজেপি (BJP)। কংগ্রেস নেত্রীর বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে (Election of India) চিঠি লিখল বিজেপি। সোনিয়ার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাল তাঁরা। কংগ্রেসের দলীয় স্বীকৃতি বাতিলেরও আর্জি। 

কুন্তলের চিঠিতে অভিষেকের নাম, তদন্তে TMC সাংসদকে সহযোগিতার পরামর্শ হাই কোর্টের-সংবাদ প্রতিদিন

কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় সহযোগিতা করুক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পরামর্শ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court)। সুপ্রিম নির্দেশে মামলাটি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শুনানির ভার পেয়েছেন বিচারপকি অমৃতা সিনহা। সোমবার তাঁর এজলাসেইমামলার শুনানি ছিল। চলতি তদন্তে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে সহযোগিতার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি। অভিষেককে সিবিআই জেরায় কোনও স্থগিতাদেশ দিলেন না বিচারপতি। অর্তাৎ প্রয়োজনে তদন্তকারীরা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠি মামলায় তৃণমূল সাংসদকে জেরা করতেই পারেন।

দেউলিয়া শ্রীলঙ্কার পথেই বাংলাদেশ! উদ্বেগ প্রকাশ IMF-এর-সংবাদ প্রতিদিন

দেউলিয়া শ্রীলঙ্কার পথেই কি হাঁটছে বাংলাদেশ? উন্নয়নের স্তম্ভ কি দাঁড়িয়ে ঋণের চোরাবালিতে? এমন অনেক প্রশ্নই উসকে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (IMF)। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইএমএফ।বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প তথা অর্থনীতির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে আসে আইএমএফ-এর একটি দল। অপ্রিলের ২৫ তারিখ থেকে ৭ মে পর্যন্ত চলা ওই সফরের পরই ক্রমে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডারের ক্ষয় এবং দেশটির মুদ্রা ‘টাকা’র মুল্য পতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আইএমএফ প্রতিনিধিরা। মুদ্রাস্ফীতি এবং বিশ্ব অর্থনীতির ঘটনাবলীর নেতিবাচক প্রভাব ঢাকার অর্থনীতিতে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত ছবছরে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডারে রেকর্ড পতন দেখা গিয়েছে।তবে, আইএমএফ প্রতিনিধি দলের মিশন চিফ বা প্রধান রাহল আনন্দ বলেন, “অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গতির নিরিখে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে দ্রুততম অর্থনীতিগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে বাংলাদেশ।”

বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বাংলাদেশকে (Bangladesh) কাছে পেতে মরিয়া চিন। ভারতের প্রভাব খর্ব করতে ঢাকার জন্য ঋণের পসরা সাজিয়েছে বেজিং। ঋণের ফাঁদে ফেলে হাসিনা সরকারকে নিজেদের স্বার্থপূরণে ব্যবহার করতে চাইছে কমিউনিস্ট দেশটি। আর বিশ্লেষকরা মনে করছেন চিনা ঋণ বিপজ্জনক হয়ে ওঠতে পারে। পরিকাঠামো তৈরির নামে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতোই বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে পারে বেজিং।

মণিপুর সামলাচ্ছে সেনারা, আশ্রয় ২৩ হাজার মানুষকে-গণশক্তি

রবীন্দ্রনাথের ‘‘চিত্রাঙ্গদা’’- র রাজ্যে এখন শুধু আগুনে পোড়া গন্ধ। পুড়ছে মণিপুরের গ্রাম-নগর। বন্দুক, পিস্তল আর সেনার বুটের আওয়াজে গুমোট বেঁধে আছে রাজ্যের স্বাভাবিক জনজীবন। হিংসার আগুনে মুহুর্তে ধ্বংস করে দিয়েছে সাজানো গুছানো ছোট্ট রাজ্যকে। সেনা টহল চললেও আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন রাজ্যের মানুষ। রাজ্যের পরিস্থিতি সামলাতে প্রায় ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকি আকাশ থেকেও টহলদারি চালাচ্ছে সেনারা। সেনাবাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে, ২৩ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে সেনাদের আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।  তার মধ্যেই উপদ্রুত এলাকায় বিচ্ছিন্ন হামলার ঘটনা ঘটছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে, যে বিতর্ককে কেন্দ্র করে মণিপুর জ্বলছে, তা নিয়ে বিজেপি নিজের অবস্থান বদল করে নিয়েছে। মেইতেইদের উপজাতি মর্যাদার দাবিকে ঘিরেই জাতিদাঙ্গা বাধে রাজ্যে। মেইতেইদের উপজাতি মর্যাদা দিতে কেন্দ্রের কাছে এক মাসের মধ্যে সুপারিশ করতে গত ২৭ মার্চ রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় মণিপুর হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করতে তৎপর হয়ে ওঠে রাজ্যের বিজেপি সরকার। একইসঙ্গে আদিবাসীদের বেপরোয়া উচ্ছেদ চালায়। যুগপৎ দুটি ঘটনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন আদিবাসীরা। নিজেদের উপজাতি মর্যাদার দাবিতে পালটা আন্দোলনে নামে মেইতেইরা। এই সুযোগকে কাজে লাগায় বিভেদকামী শক্তি। এর থেকেই জাতিদাঙ্গা হচ্ছে। এই দাঙ্গায় ষাট জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বিপুল সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ছারখার হয়ে গেছে একেরপর এক গ্রাম। লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন। এসবের পর এবার মেইতেইদের উপজাতি মর্যাদার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছে শাসকদল বিজেপি। দলের বিধায়ক তথা হিল এরিয়া কমিটির চেয়ারম্যান দিঙ্গাঙলাঙ গেঙ্গমেই শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করে হাইকোর্টের নির্দেশ বাতিল করতে আরজি জানিয়েছেন। তিনি তাঁর আবেদনে বলেছেন, উপজাতির মর্যাদার বিষয়টি রাজনৈতিক। এখানে আদালত এতে হস্তক্ষেপ করায় হিতে বিপরীত হয়েছে। অবশ্য এবিষয়ে সরকারিভাবে কিছুই বলা হয়নি। 

কর্ণাটকের নির্বাচনী প্রচারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কর্ণাটকে দাঙ্গা হবে। গত ২৩ এপ্রিল শাহের করা অভিযোগের এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতে তাঁর দলের শাসিত মণিপুর দাঙ্গায় বিধ্বস্ত। এনিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, মণিপুরে সাড়ে ছয় বছর ধরে শাসন করছে বিজেপি। মোদী-শাহ বরাবর  দাবি করেন, ডবল ইঞ্জিনের সরকার হলে নাকি উন্নয়নের গতি ঝড়ের বেগে ছুটবে। মণিপুরে ডবল ইঞ্জিনের শাসনে উন্নয়নের বদলে হিংসার আগুনে জ্বলছে। এনিয়ে শাহ এখন চুপ কেন? এই প্রশ্নও উঠছে। মণিপুরে হিংসাত্মক ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর বিজেপি থেকে বলা হয়েছিল মণিপুরের পরিস্থিতির জন্য অমিত শাহ কর্ণাটকের প্রচার বন্ধ রেখেছেন। অথচ,একথা বলার পরদিনই শনিবার কর্ণাটকে একেরপর এক  নির্বাচনী সভা করেছেন অমিত শাহ। রবিবারও তিনি সভা করেছেন। এদিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর পূর্বে বিজেপি যে খেলা খেলছে তার ফলাফল যে এমন হবে, তা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল কংগ্রেস। 

রবিবার অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, সিকিম ও নাগাল্যান্ড সরকার তাদের  রাজ্যের মানুষদের বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে মণিপুর থেকে নিয়ে গেছে। নিজের রাজ্যের মানুষদের ফিরিয়ে আনতে বিমান দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছে মিজোরাম সরকার।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৮

ট্যাগ