জুন ১৬, ২০২৩ ১৫:৫৫ Asia/Dhaka
  • জনগণ আর সরকারের ফাঁদে পা দেবে না : ড. মোশাররফ -দৈনিক নয়াদিগন্ত

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ১৬ জুন শুক্রবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • নিহত সাংবাদিক রব্বানির মায়ের কান্না থামছে না, বিচার দিলেন জনগণের কাছে -প্রথম আলো
  • অবশ্যই নির্বাচন বানচাল করতে হবে: বদরুদ্দীন উমর-মানবজমিন
  • সাংবাদিক নাদিম হত্যা : জড়িতদের গ্রেপ্তারে তৎপর র‍্যাব-কালের কণ্ঠ
  • জনগণ আর সরকারের ফাঁদে পা দেবে না : ড. মোশাররফ -দৈনিক নয়াদিগন্ত
  • ভোট ডাকাতি ছাড়া বিএনপির পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না: প্রধানমন্ত্রী

কোলকাতার শিরোনাম:

  • সিপিএমের সঙ্গে ঘর করে তৃণমূলের সাহায্য আশা করবেন না’, কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি মমতার -‘সংবাদ প্রতিদিন
  • মণিপুরে ফের ছড়াল হিংসা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল উন্মত্ত জনতা-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হোক পঞ্চায়েত ভোট, প্রস্তাব হাই কোর্টের -গণশক্তি

এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

নিহত সাংবাদিক রব্বানির মায়ের কান্না থামছে না, বিচার দিলেন জনগণের কাছে -প্রথম আলো

বাড়িতে মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। এর মধ্যে ৬৫ বছর বয়সী আলেয়া বেগম অনবরত কেঁদে যাচ্ছেন। কখনো উচ্চ স্বরে, কখনো নীরবে, আবার কখনো আকাশের দিকে হাত তুলে। সঙ্গে বিলাপ করছেন। কেঁদে কেঁদে উপস্থিত সবার কাছে সন্তান হত্যার বিচার চাচ্ছেন। কিছুতেই তাঁর কান্না থামছিল না। সেখানে সান্ত্বনা দিতে আসা প্রতিবেশীরাও কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

আজ সকাল ৯টায় জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা শহরের গরুহাটি কাচারিপাড়া গ্রামে নিহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানির বাড়িতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেল।

আহাজারি করতে করতেই আলেয়া বেগম বলছিলেন, ‘আমার বাবা (ছেলে) আছিল বকশীগঞ্জের মধ্যে সাহসী সাংবাদিক, আমার বাবার মতো এত সাহসী সাংবাদিক কেউ আছিল না।’ ছেলের জীবন কেড়ে নেওয়ার জন্য বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুকে দায়ী করে আলেয়া বেগম বলেন, ‘পেপারের মধ্যে (পত্রিকায়) দেওয়াতে বাবু চেয়ারম্যান আমার বাবা’ক খাইছে গো। আমি ফাঁসি চাই বাবুর গো। আমার বাবার হত্যার বদলে ফাঁসি চাই গো। তুমরা সগলেই আমার বাবা হত্যার বিচার করবে। জনগণের কাছেও এই বিচার দিলেম গো।’

সাংবাদিক নাদিম হত্যা : জড়িতদের গ্রেপ্তারে তৎপর র‍্যাব-কালের কণ্ঠ

জামালপুরের বকশীগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম নিহতের ঘটনায় অভিযান শুরু করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। র‍্যাব বলছে, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আজ শুক্রবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, এভাবে সাংবাদিক হত্যা খুবই দুঃখজনক।এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‍্যাব ছায়াতদন্ত করছে তারা।র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-১৪ এ বিষয়ে আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর প্রতিনিধি ছিলেন।

ভোট ডাকাতি ছাড়া বিএনপির পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না: প্রধানমন্ত্রী

আসলে বিএনপি চোর ও ভোট কারচুপিকারীদের দল। ভোট ডাকাতি ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় আসা সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্রবাসীদের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে, জনগণ তাদের ভোট দেবে। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। কারণ তাদের ভোটের মালিক তারাই। যারা জনগণের ভোট পাবে, তারাই সরকার গঠন করবে। এটিই গণতান্ত্রিক ধারা এবং এটা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, বিএনপি খুব ভালো করেই জানে যে, অতীতের অপকর্মের কারণে তারা জনগণের ভোট পাবে না। এ কারণে তারা নির্বাচনি প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে চাইছে। বিএনপি অতীতে দেশের সম্পদ বিক্রি করার শর্তে ক্ষমতায় বসেছিল মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, এ কারণে জনগণ তাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা জনগণের ভোট পায় না। তাই তারা নির্বাচন থেকে দূরে থাকার পথ খুঁজছে।

অবশ্যই নির্বাচন বানচাল করতে হবে: বদরুদ্দীন উমর-মানবজমিন

আওয়ামী লীগ বলছে, বিরোধীরা নির্বাচন বানচাল করতে চায়’ উল্লেখ করে লেখক-গবেষক ও বামপন্থী রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, অবশ্যই নির্বাচন বানচাল করতে হবে। তোমরা নির্বাচন বানচাল করোনি ১৯৯৬ সালে? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তোমরা তো আন্দোলন করেছিলে। এমন আন্দোলন হলো যে সেখানে শুধু নির্বাচন বাতিল হলো তা-ই না, বিএনপির মন্ত্রিসভার সবাইকে পদত্যাগ করতে হলো। তারপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলো। এখনো তা-ই করতে হবে। ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম ও সংবাদপত্র’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বদরুদ্দীন উমর এসব কথা বলেন। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সভার আয়োজন করে গণসংস্কৃতি ফ্রন্ট।

তিনি বলেন, এখনো আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হলে যেভাবে আমলা-পুলিশের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, এতে কোনোভাবেই এখানে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে না। তিনি বলেন, তাদের যেতে হবে, তাদের তাড়াতে হবে। তাদের অধীন কোনো নির্বাচন করা যাবে না।

জনগণ আর সরকারের ফাঁদে পা দেবে না : ড. মোশাররফ -দৈনিক নয়াদিগন্ত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন জনগণ আর তাদের ফাঁদে পা দিবে না। তিনি বলেন, সরকার বিদেশীদেরও অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছে, সেখানেও তারা ব্যর্থ হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি মিডিয়া সেল কর্তৃক আয়োজিত গণমাধ্যমের কালো দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণার পর সরকার বেসামাল হয়ে গেছে। সরকারের মন্ত্রীরা একেক সময় একেক কথা বলছেন। কারণ জনগণের আন্দোলনে সরকার আজ ভীত। এই সরকারকে বিদায় করাই এখন জনগণের একমাত্র লক্ষ্য। সহসা বিদায় না নিলে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘বুধবার (১৪ জুন) একজন সাংবাদিককে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ করায় হত্যা করা হয়েছে। কেবল গত ১৪ বছরেই ৫৯ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সাগর-রুনি হত্যার পুলিশি প্রতিবেদন ১০০ বার পিছিয়েছে। এসবের কারণে সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।’

মণিপুরে ফের ছড়াল হিংসা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল উন্মত্ত জনতা-দৈনিক আজকাল

শুক্রবার গভীর রাতে ফের হিংসা ছড়াল মণিপুরে।

প্রায় হাজার উন্মত্ত জনতা হামলা চালায় ইম্ফলে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিং এর বাড়িতে। তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে, ঘটনার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি রয়েছেন দিল্লিতে। প্রসঙ্গত, গত ৩ মে থেকে মণিপুরে সংখ্যাগুরু মেইতেই এবং আদিবাসী কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা চলছে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া। বুধবার রাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী নেমচা কিপগেনের বাংলোতেও। বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন আরকে রঞ্জন সিং।

মণিপুরের (Manipur) আইন শৃঙ্খলা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে, মেনে নিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর কে রঞ্জন সিং (RK Ranjan Singh)। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মণিপুরে তাঁর বাসভবন জ্বালিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। রাজ্যে লাগাতার অশান্তির জন্য বিজেপি (BJP) সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় ১২০০ জন দুষ্কৃতী মিলে পেট্রল বোমা মেরে আগুন ধরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়িতে।

সিপিএমের সঙ্গে ঘর করে তৃণমূলের সাহায্য আশা করবেন না’, কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি মমতার -‘সংবাদ প্রতিদিন

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের বিজেপি বিরোধী মহাজোট নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। কাকদ্বীপে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে দিলেন, “কংগ্রেস যেন বাংলায় সিপিএমের কোলে ঘর করে তৃণমূলের সাহায্য প্রত্যাশা না করে।”

বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেস এবং বিজেপি আঁতাঁত করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়ছে, এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাকদ্বীপের সভা থেকেও সেই একই সুরে বাম-কংগ্রেস এবং গেরুয়া শিবিরকে বিঁধলেন মমতা। তৃণমূল নেত্রীকে বলতে শোনা গেল, “সিপিএমের কোলে কংগ্রেস দোলে, কংগ্রেসের কোলে বিজেপি দোলে। বিজেপির দোসর সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস। চারটি দল মিলে তৃণমূলের পিছনে পড়ে আছে।”

তবে এদিন সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তাটি সম্ভবত কংগ্রেসকেই দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কাকদ্বীপের সভা থেকে মমতা সাফ বলে দিয়েছেন, “কংগ্রেস বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধে আবার সংসদে আমাদের সাহায্য চায়। বিজেপি বিরোধিতার জন্য আমরা দিল্লিতে তাও সাহায্য করব। কিন্তু বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে ঘর করে তৃণমূলের সাহায্য যেন না আশা না করে কংগ্রেস।” বস্তুত, তৃণমূল নেত্রী এদিন স্পষ্ট করে দিলেন, বিজেপি বিরোধিতার স্বার্থে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় তৃণমূলের আপত্তি নেই। কিন্তু রাজ্যে কংগ্রেস যদি সিপিএমের সঙ্গে চলার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে কোনওরকম সমঝোতা বা জোটের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ।

ট্যাগ