'বিশাল খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ১৯ জুন সোমবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- সব নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে সক্ষম হবে ইসি: আশা রাষ্ট্রপতির-ইত্তেফাক
- ডিবি হেফাজতে থাকা ব্যক্তির লাশ হাসপাতালে, এমএসএফের তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ-প্রথম আলো
- যে কোনো সময় পতন, ধ্বংস হতে পারে বাংলাদেশ: জি এম কাদের –মানবজমিন
- সন্তানসহ আঁখির মৃত্যু : গাফিলতির কথা স্বীকার সেন্ট্রাল হসপিটালের-কালের কণ্ঠ
- পুলিশি বাধার মুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ যুগান্তর
কোলকাতার শিরোনাম:
- রক্ত ঝরেই চলেছে রাজ্যে-গণশক্তি
- উপাচার্য নিয়োগ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি কেন? রাজ্যের কাছে জবাব তলব প্রধান বিচারপতির-আনন্দবাজার পত্রিকা
- কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া আমাদের কাজ নয়’, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কমিশন-সংবাদ প্রতিদিন
এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
পুলিশি বাধার মুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ-যুগান্তরের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, নিত্যপণ্যের দাম কমানো এবং লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ সংকট সমাধানসহ বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশ সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। তবে এক পর্যায়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছে বিক্ষোভ মিছিল। এ সময় উভয়পক্ষের ধাক্কাধাক্কিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পুলিশি বাধার মুকে পড়ে পরে আব্দুল গনি রোডের জিরো পয়েন্ট মোড়ে বসে সমাবেশ করেন। সেখানে আ স ম রব বলেন, এ দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই খারাপ। জনগণের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এ সরকারকে আগে পদত্যাগ করতে হবে। এই মুহূর্তে দরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের পায়ের তলে মাটি নেই।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ বছর বাংলাদেশে যত মুদ্রার ঘাটতি দেখা গেছে তা গত কয়েক বছরে হয়নি। এ সরকারের কাছে বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুৎ পাবেন না, নিরাপত্তা পাবেন না, ভোট দিতে পারবেন না। এ সরকারের যাবার সময় হয়েছে। এ সরকার হচ্ছে স্বৈরাচারী, বদমাশ, লুটপাটের সরকার। এ সরকার আগে আমাদের ভয় দেখাত। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা কায়দা দেখাত। এ জন্যই আমরা বলি, তোমাদের সময় হয়েছে, তোমরা এবার যাও।
ভারতের অবস্থান জানতে চায় বাংলাদেশের জনগণ: গয়েশ্বর-যুগান্তর
বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের প্রশ্নে ভারতের অবস্থান জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, বিদেশি চাপে আ.লীগ-বিএনপির দূরত্ব কতটা কমেছে? বিস্তারিত খবরে বলা হয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রভাবশালী দেশগুলোর নানামুখী চাপে সংলাপের সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে অনেকের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে এলেও দেশের বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এখনো বিপরীতমুখী অবস্থানে। নির্বাচনকালীন সরকার, দলগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ছাড় না দেওয়া এবং কর্মসূচি পালনে বাধাসহ নানা ইস্যুতে সংকট তৈরি হয়েছে; যা সমাধানে নেই তেমন আশার আলো। কিন্তু বিদেশি চাপের পর বড় দুই দলের দূরত্ব আরও বেড়েছে।
ভিসানীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলে ব্যস্ত তারা। এমন পরিস্থিতিতে সব দলের অংশগ্রহণে নির্দিষ্ট সময়ে গ্রহণযোগ্য ভোট হবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নানা শঙ্কা। সমাধানের উদ্যোগ না নিয়ে ‘যথাসময়েই নির্বাচন হবে’-সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিদের এমন বক্তব্য এ আশঙ্কাকে আরও উসকে দিচ্ছে। অলিগলির চায়ের দোকান, সরকারি অফিস কিংবা নানা আড্ডায় এখন আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুই আগামী নির্বাচন। সংবিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে কী হতে পারে, সেই আলোচনাও চলছে।
মানবজমিনের খবর-বাংলাদেশ এখন এক ভয়াবহ দুরবস্থার মধ্যে আছে। আগে গর্তের মধ্যে ছিল। এখন বিশাল খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। যে কোনো সময় পতন হতে পারে। বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
‘সেন্ট্রাল হসপিটালে আইসিইউ পরিচালনার বিষয়টি জানা নেই’-ইত্তেফাক
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সেন্ট্রাল হসপিটালে আইসিইউ পরিচালনার বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত চলা অবস্থায় এটি চালু করা অন্যায়। এ সময় তিনি চিকিৎসকদের ভুলের কারণে মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।গত শুক্রবার (১৬ জুন) সেন্ট্রাল হসপিটালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. মো. দাউদ আদনান এবং উপ-পরিচালক ডা. মঈনুল আহসানের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় হাসপাতালটির আইসিইউ এবং জরুরি সেবার মান সন্তোষজনক না হওয়ায় অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। একই সঙ্গে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধের নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ইডেন কলেজের ছাত্রী ছিলেন আঁখি। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে আসেন সহপাঠীরা। শোকে পাথর হয়ে গেছেন সহপাঠী, বন্ধুরাও। মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন আঁখির বোন খালেদা আকতার জুঁই। হাসপাতালের মেঝেতে বসেই করছিলেন আহাজারি। তিনি বলন, ‘মেরে ফেলছে, আমার বোনকে মেরে ফেলছে।’ মেঝেতে বসে আঁখির ভাই শামীম বলছিলেন, ‘বাবাও ঢাকায় এসে লাশ হয়ে ফিরেছিলেন। আঁখিও তাই।’ আঁখির মৃত্যুতে সারা দেশে চিকিত্সকদের মধ্যেও ক্ষোভ ও হতাশা দেখা যাচ্ছে। ব্যাবসায়িক মানসিকতা ও অতি মুনাফা লাভের প্রবণতা পরিত্যাগ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে চিকিত্সকসমাজ।
প্রথম আলোর খবর-ডিবি হেফাজতে থাকা ব্যক্তির লাশ হাসপাতালে, এমএসএফ তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।হত্যা মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে আলাল দেওয়ান নামের এক ব্যক্তিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ১০ দিন হেফাজতে রাখা এবং পরে তাঁকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মৃত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া আমাদের কাজ নয়’, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কমিশন-সংবাদ প্রতিদিন
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) করানো নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে দায়ের করা মামলাটি সোমবার শীর্ষ আদালত (Supreme Court) গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি (Hearing) হবে বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতিরা। দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি নয়, পঞ্চায়েতে জনতাই ভরসা তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীতেও আপত্তি নেই।পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শোনা যাচ্ছে অশান্তির খবর। মনোনয়ন পর্বেও প্রকাশ্যে আসছে প্রাণহানির ঘটনা। তাতেই উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
রক্ত ঝরেই চলেছে রাজ্যে-গণশক্তি পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, রক্তাক্ত বাংলা। এখনও নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর্ব শেষ হয়নি, নির্বাচন ঘোষণার পরে সবে দশ দিন পার হয়েছে, এর মধ্যেই রাজ্যে ৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে রাজনৈতিক হিংসায়। শনিবার রাতে কোচবিহারের দিনহাটায় খুন হয়েছেন এক ব্যক্তি।
উপাচার্য নিয়োগ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি কেন? রাজ্যের কাছে জবাব তলব প্রধান বিচারপতির-আনন্দবাজার পত্রিকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে এ বার রাজ্যের কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যের তৈরি নতুন সার্চ কমিটিতে সরকার পক্ষের সদস্য বেশি কেন? সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধিই বা কেন রয়েছেন? জবাব দেওয়ার জন্য রাজ্যকে তিন সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে হাই কোর্ট।সোমবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, ‘‘এই কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও সদস্যকে কেন রাখা হয়েছে?#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ১৯