আগস্ট ২১, ২০২৩ ১২:৫৪ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা! পত্রপত্রিকার পাতার বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান কথাবার্তার আজকের আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। ২১ আগস্ট (সোমবার) ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে শীর্ষ শিরোনাম করা হয়েছে। প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি

ঢাকার পত্রপত্রিকার শিরোনাম:

  • শেখ হাসিনা হারলে অস্থিতিশীলতার মুখে পড়বে বাংলাদেশ: দ্য হিন্দু- দৈনিক কালেরকণ্ঠ
  • শেখ হাসিনাকে চারবার হত্যার চেষ্টা চালায় হরকাতুল জিহাদ- প্রথম আলো
  • উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই: প্রধানমন্ত্রী-ইত্তেফাক
  • সর্বজনীন পেনশন স্কিম : ব্যবস্থাপনাই হবে মূল চ্যালেঞ্জ- দৈনিক কালেরকণ্ঠ
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন-বেড়ে যাচ্ছে ব্যাংকের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ: দৈনিক নয়াদিগন্ত

কোলকাতার পত্রপত্রিকার শিরোনাম

  • পাথর, গর্ত এড়িয়ে কোথায় অবতরণ? চাঁদে নিরাপদ জায়গা খুঁজছে বিক্রম, ছবি দেখাল ইসরো: আনন্দবাজার
  • তামিলনাড়ুর লজ্জা! লোকসভার আগে পা চাটছেন?’, যোগীর পা ছুঁয়েই কেলেঙ্কারি, রোষানলে রজনীকান্ত: দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্ট করলে, তার ফলও ভুগতে হবে:  সুপ্রিম কোর্ট-পূবের কলম

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত

শেখ হাসিনাকে চারবার হত্যার চেষ্টা চালায় হরকাতুল জিহাদ- প্রথম আলো

চার বছর আগে ঢাকায় এক ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালায় হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামি—হুজি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান হত্যা এবং কারাগারে চার জাতীয় নেতার হত্যাকাণ্ডের পর দেশে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা ও হত্যাযজ্ঞ। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জনসমাবেশের ওপর এই গ্রেনেড হামলা হয়। এর আগে আরও অন্তত তিনবার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল ধর্মের নামে তৎপর গোপন জঙ্গি সংগঠনটি। শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রথম চেষ্টা হয়েছিল তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০০ সালে। গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ২০০১ সালে খুলনায়, একই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে সিলেটে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল একই জঙ্গি গোষ্ঠী।

শেখ হাসিনা হারলে অস্থিতিশীলতার মুখে পড়বে বাংলাদেশ: দ্য হিন্দু- দৈনিক কালেরকণ্ঠ

শেখ হাসিনা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে হারলে বাংলাদেশ দীর্ঘ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোববার বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দু এক বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

সাংবাদিক প্রণয় শর্মার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতা থেকে বিদায় কেবল ভারতের জন্য উদ্বেগের নয়, এতে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহিংসতা ও অস্থিরতা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

প্রণয় শর্মা লিখেছেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে যে ভারতবিরোধী মনোভাব আছে, সেখানে শেখ হাসিনার সরকার খুব সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে নির্ভরশীল ও ঘনিষ্ঠ মিত্র। যদিও ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ায় ‘বিগ পাওয়ার’ হিসাবে ধরা হয় কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাদের এই অবস্থানে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন। আর দক্ষিণ এশিয়ায় চীন দিনের পর দিন তার অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে এক গুচ্ছ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছে এবং জানুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক নির্বাচন নিশ্চিত করতে চাইছেন। ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপি এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড গড়েছেন।

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই: প্রধানমন্ত্রী-ইত্তেফাক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার চায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অগ্নিসন্ত্রাসের মতো মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করেও আমরা উন্নয়নের পথে দেশের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চাই। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত ১৫ তলাবিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন’ (বিটিআরসি) ভবন ও ১৩ তলাবিশিষ্ট ‘তথ্য কমিশন ভবন’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে গতকাল এ কথা বলেন। এ ছাড়া তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে একইসঙ্গে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন’ (বিএফডিসি) কমপ্লেক্সেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে নবনির্মিত বিটিআরসি ও তথ্য কমিশন ভবন এবং বিএফডিসি কমপ্লেক্সের ওপর একটি অডিও-ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এই দেশটাকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলাই তার সরকারের লক্ষ্য এবং এই মাসেই জাতির পিতাকে হারানোর বিয়োগান্তক অধ্যায় স্মরণ করে সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতার তৈরি করে দেয়া ভিত্তি বা শুরু করে যাওয়া প্রতিটি কাজ সফলভাবে করতে পেরে আমি দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তিনি বলেন, জনগণ আমাদের বার বার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন বলেই এই কাজগুলো আমরা করতে পেরেছি। বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সরকার চলছে, দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম : ব্যবস্থাপনাই হবে মূল চ্যালেঞ্জ- দৈনিক কালেরকণ্ঠ

দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে সরকার। চার ক্যাটাগরির ১০ কোটি মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে স্কিমটি চালু করা হয়েছে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, তাড়াহুড়া করে স্কিমটি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ সর্বজনীন পেনশন স্কিমের জমা করা অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করা হবে, সেখান থেকে কিভাবে লভ্যাংশ পাওয়া যাবে, এ নিয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি। আর স্কিমটি চালু করা হয়েছে কর্তৃপক্ষ গঠনের আগে। কিভাবে গঠন করা হবে কর্তৃপক্ষ, কোন আইনের ভিত্তিতে তারা কাজ করবে তা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। আইন অনুযায়ী একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্যের সমন্বয়ে পেনশন স্কিম কর্তৃপক্ষ গঠিত হওয়ার কথা। কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ দেবে সরকার। নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের চাকরির মেয়াদ ও শর্ত বিধি দ্বারা নির্ধারিত। কর্তৃপক্ষসহ সর্বজনীন পেনশন স্কিম ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ও সরকার বহন করবে। নির্বাহী চেয়ারম্যান হবেন কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এসব ছাড়াই সরকার এ পর্যন্ত পেনশন স্কিমের জন্য দুই সদস্যের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন-বেড়ে যাচ্ছে ব্যাংকের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ: দৈনিক নয়াদিগন্ত

অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাচ্ছে ব্যাংকের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ। ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করছে। কিন্তু তার বড় একটি অংশই আদায় হচ্ছে না। বছরের পর বছর এসব ঋণ আদায় না হওয়ায় বেড়ে যাচ্ছে আদায় অযোগ্য মন্দ ঋণের পরিমাণ। এতে বাড়ছে ব্যাংকের ঝুঁকির মাত্রা। বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে গত বছর শেষে ব্যাংকের আদায় অযোগ্য মন্দ ঋণের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে মোট খেলাপি ঋণের প্রায় ৮৯ শতাংশ, যেখানে ঠিক ১০ বছর আগে ২০১২ সাল শেষে ছিল ৬৬.৭ শতাংশ।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, সময়ে সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণের নীতিমালা শিথিল করা, প্রভাবশালীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করা ও ব্যাংক পরিচালকদের কেউ কেউ ঋণ নিয়ে তা ফেরত না দেয়ায় এ আদায় অযোগ্য মন্দ ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। আর এ মন্দ ঋণ সামাল দিতে আয়ের বড় একটি অংশ দিয়ে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। এর পরেও কুলাতে না পেরে কোনো কোনো ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতির মুখে পড়ে যাচ্ছে। অপর দিকে আয়ের একটি বড় অংশ আয় খাতে নিতে পারছে না। এসব আয় ব্যাংকের খাতে স্থগিত করে রাখতে হচ্ছে। সবমিলেই ব্যাংক খাতে চাপ বেড়ে যাচ্ছে।

এবার ভারতের বিস্তারিত খবর তুলে ধরছি

তামিলনাড়ুর লজ্জা! লোকসভার আগে পা চাটছেন?, যোগীর পা ছুঁয়েই কেলেঙ্কারি, রোষানলে রজনীকান্ত:

শনিবার বয়সে ছোট যোগী আদিত্যনাথের পা ছুঁয়ে প্রণাম। রবিবারই অযোধ্যা সফর। হনুমানগড়িতে পুজো দিয়ে রজনীকান্ত মুখ খুলেছেন রামমন্দির নিয়েও। জানিয়েছেন মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের অপেক্ষায় তিনি। দক্ষিণী সুপারস্টারের উত্তরপ্রদেশ সফরে একের পর এক চমক। বিনোদুনিয়া থেকে রাজনৈতিক ময়দান, সকলের চোখই থালাইভার গতিবিধিতে। আর ৭২ বছর বয়সি মেগাস্টারের ‘কীর্তি’ দেখেই বেজায় চটেছে দ্রাবিড়ভূমের একাংশ। অতঃপর রজনী আন্নাকে কটাক্ষ করতেও পিছপা হলেন না তাঁরা।

যে অনুরাগীরা রজনীকান্তের সিনেমা হলেই স্কুল কেটে, অফিস কামাই করে প্রেক্ষাগৃহে হুল্লোড় করতেন, তাঁদেরই মনোক্ষুণ্ণ হয়েছে দক্ষিণী সুপারস্টারকে যোগী আদিত্যনাথের পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে দেখে। কটাক্ষ করে কেউ বলছেন, ‘আপনি তামিলনাড়ুর লজ্জা!’ কারও বা প্রশ্ন, ‘২০২৪ সালের আগে পা চাটা শুরু করলেন নাকি?’ কেউ বলছেন, ‘আজকে রজনীভক্তরা বুঝতে পারবে, পর্দার অভিনেতা আর বাস্তবের মানুষটা কতটা আলাদা!’ কারও প্রশ্ন, ‘আপনি কি নিজের আত্মসম্মান বোধ তামিলনাড়ুতেই ফেলে গিয়েছেন?’

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্ট করলে, তার ফলও ভুগতে হবে:  সুপ্রিম কোর্ট-পূবের কলম

বিদ্বেষ মন্তব্য বা হেট স্পিচ নিয়ে আগেই কড়া মন্তব্য করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা নিয়ে সতর্ক করল শীর্ষ আদালত। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে তার ফল ভোগ করার জন্যও তৈরি থাকতে হবে। দেখা গিয়েছে, ফেসবুক, ট্যুইটার, হোয়াটস্অ্যাপ তথা সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে বিতর্কিত, সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক, বিদ্বেষমূলক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এমনকি বিকৃত বা সুপার ইমপোজ করা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার কারণে অনেক ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক অশান্তির ঘটনা নজরে এসেছে। সুপ্রিম কোর্টের এদিনের নির্দেশে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

ঠিক কি বলেছে সুপ্রিম কোর্ট? শীর্ষকোর্ট বলেছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলে তার প্রভাব সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার যদি কারও কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে তার ফল ভোগার জন্যও তৈরি থাকা উচিত।

সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার শুনানি চলছিল। মামলাটি ছিল—তামিলনাড়ুর অভিনেতা-বিধায়ক এস ভে শেখরের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মহিলা সাংবাদিকদের প্রতি কুরুচিকর মন্তব্য সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে।

পাথর, গর্ত এড়িয়ে কোথায় অবতরণ? চাঁদে নিরাপদ জায়গা খুঁজছে বিক্রম, ছবি দেখাল ইসরো: আনন্দবাজার

অবতরণে আর বেশি দেরি নেই। চাঁদের একেবারে ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৈরি চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। আগামী বুধবার ভারতীয় সময় অনুযায়ী ঠিক সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে পা রাখার কথা তার। কিন্তু অবতরণ কোথায় হবে? চাঁদের দক্ষিণ মেরুর দুর্গম খানাখন্দে ভরা মাটিতে বিক্রমের প্রয়োজন অপেক্ষাকৃত মসৃণ জমি। আপাতত সেই সন্ধানেই রয়েছে ইসরো। সোমবার ইসরোর তরফে কয়েকটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। চাঁদের বুকে পা রাখার আগে ঘুরে ঘুরে নিরাপদ অবতরণের স্থান খুঁজছে বিক্রম। তার ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবিগুলিই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে ইসরো। টুইটে ইসরো লিখেছে, ‘‘এগুলি চাঁদের অনেক দূরের দিকের ছবি। বিক্রমের মধ্যেকার ল্যান্ডার হ্যাজার্ড ডিটেকশন অ্যান্ড অ্যাভয়েড্যান্স ক্যামেরা (এলএইচডিএসি) দিয়ে এই ছবিগুলি তোলা হয়েছে। এই বিশেষ ক্যামেরা চাঁদের মাটিতে অবতরণের জন্য নিরাপদ স্থান খুঁজতে সাহায্য করে।’’#