সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩ ১৫:৩৮ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • কারও ৪৫০, কারও ৩০০, বিএনপি নেতাদের কার বিরুদ্ধে কত মামলা-প্রথম আলো
  • বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রীর ৫ দফা-ইত্তেফাক
  • ফখরুলকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না: মেয়র তাপস-যুগান্তর
  • রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠালেন পরীমনি-মানবজমিন
  • ডিএমপির নতুন কমিশনার হচ্ছেন হাবিবুর রহমান-কালের কণ্ঠ
  • রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ৭৪বার পেছাল-নয়া দিগন্ত

কোলকাতার শিরোনাম:

  • রাজ্যের ন’লক্ষ পড়ুয়ার আধার কার্ড নেই-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • কৃষকরা পারলে অন্যরাও হারাতে পারবে মোদীকে, লড়াইয়ের আহ্বানে হান্নান মোল্লা-গণশক্তি
  • মহিলা সংরক্ষণ বিলের আওতায় আনা হোক ওবিসিদের, সংসদে দাবি সোনিয়ার-আজকাল
  • সংবিধান থেকে উধাও ‘সেকুলার’ ও ‘সোশালিস্ট’, কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস-সংবাদ প্রতিদিন

এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

রিজভীর হুঁশিয়ারি ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়েই আন্দোলন শেষ হবে’-ইত্তেফাক।বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, বিএনপির চলমান আন্দোলন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেই শেষ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা কোর্টে হাজিরা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আমাদের এক দফার আন্দোলন চলছে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করে কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) সরকার প্রতিষ্ঠা করেই আমাদের আন্দোলন শেষ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ মামলার হাজিরা আমরা নিয়মিত দিচ্ছি। আগেও দিয়েছি এখনও দিচ্ছি। তবে এই মামলা যারা দিয়েছে বিরোধী দলের শক্তিকে খর্ব করার জন্য। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বিরোধী দলগুলোকে ধ্বংস করার জন্য সারাদেশে ৪৫-৪৯ লাখ মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে এটাও তারই একটি অংশ। এগুলো করে লাভ হবে না। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। এক দফা আন্দোলন শুরু হয়েছে। তবে এই সরকার দেড় যুগ ধরে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে। দেশের মানুষকে অত্যাচার জুলুম নির্যাতন করছে।’ আর প্রথম আলোর খবরে লেখা হয়েছে, বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১টি মামলা রয়েছে। এসব মামলা আসামির সংখ্যা ৪০ লাখের ওপরে। বিএনপির মামলার তথ্য ও সংরক্ষণ শাখা এ হিসাব দিয়ে জানিয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে গত ২৫ জুলাই পর্যন্ত এসব মামলা হয়েছে।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রীর ৫ দফা-ইত্তেফাকের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এ লক্ষে তিনি পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে স্পেন ও ইউরোপীয় কাউন্সিল আয়োজিত ‘টুওয়ার্ডস এ ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে এই প্রস্তাব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মতামত এমন ডিসি ও ওসি দিয়ে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে-প্রথম আলোর মতামত কলামটি লিখেছেন ড. এম সাখাওয়াত হোসেন নির্বাচন বিশ্লেষক, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা এবং এসআইপিজির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো (এনএসইউ)। তিনি বলেছেন, নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটা বড় অংশ রাজনৈতিক চক্করের মধ্যে পড়ে গেছেন। এসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর দলীয় সরকার এবং দলের প্রতি গভীর আনুগত্য রয়েছে। তাঁরা ভুলে যান বা প্রায় মনে রাখেন না যে তাঁরা কোনো দল বা সরকারের সমর্থক হতে পারেন না, তাঁরা রাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। কাজেই কোনো দলীয় সরকারের সমর্থকদের মতো রাজনৈতিক বক্তব্য তাঁরা দিতে পারেন না।

বর্তমান পরিস্থিতিতে আরেকটা প্রশ্ন ওঠে। কমিশন আইনগতভাবে কোনো রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনতে পারে না। কিন্তু সততার সঙ্গে তারা কী কোনো একটা ভূমিকা রাখতে পারে না? নিঃসন্দেহে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটা বড় অংশ রাজনৈতিক চক্করের মধ্যে পড়ে গেছেন। এসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর দলীয় সরকার এবং দলের প্রতি গভীর আনুগত্য রয়েছে। তাঁরা ভুলে যান বা প্রায় মনে রাখেন না যে তাঁরা কোনো দল বা সরকারের সমর্থক হতে পারেন না, তাঁরা রাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। কাজেই কোনো দলীয় সরকারের সমর্থকদের মতো রাজনৈতিক বক্তব্য তাঁরা দিতে পারেন না। এমন বক্তব্য সরকারি বিধিবিধান পরিপন্থী, বিশেষ করে নির্বাচন সামনে রেখে।

ফখরুলকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না: মেয়র তাপস-যুগান্তরের এ খবরে লেখা হয়েছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার রাজধানীর বনশ্রীতে ২নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন উৎসবে এ মন্তব্য করেন তিনি।  বিএনপি মহাসচিব লজ্জায় ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে মুখ লুকিয়েছেন বলেও দাবি করেন মেয়র তাপস।

মা তোমাকে দেয়া কথা রাখতে পারলাম না: ফিরোজ

‘মা তোমাকে দেওয়া কথা রাখতে পারলাম না’, নিহত ঢাবি ছাত্রের টেবিলে চিরকুট  -যুগান্তরের মর্মান্তিক এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লক থেকে নিচে পড়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থী অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়েছেন নাকি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে ফিরোজের কক্ষে তার পড়ার টেবিলের ওপর রাখা একটি প্যাডে ফিরোজের কিছু হতাশার কথা লেখা রয়েছে। 

পৃষ্ঠার ওপরে তারিখের জায়গায় লেখা ছিল ১/০৯/২৩। আর এর নিচে লেখা আছে— মানুষ বাঁচে তার সম্মানে। আজ মানুষের সামনে আমার যেহেতু সম্মান নাই। এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আমার কোনো অধিকার নাই।আমারে মৃত্যুর দায়ভার একান্ত আমার। সরি মা! বাড়ি থেকে তোমাকে দিয়ে আসা কথা রাখতে পারলাম না। আমার জীবন নিয়ে হতাশ।’এই লেখার নিচে মাঝ বরাবর লেখা— ‘ফিরোজ।’ এর নিচে লেখা হয়েছে ‘রাত: ১১টা ৩।’

পৃষ্ঠার বাকি অর্ধেকে আরও লেখা আছে, ‘আমার ওয়ালেটের কার্ডে কিছু টাকা আছে। বন্ধুদের কাছে অনুরোধ রইল— মায়ের হাতে দিতে। কার্ডের পাসওয়ার্ড 8079, আর ফোনের লক খুলে দিয়ে গেলাম।

আমার লাশের পোস্টমর্টেম না করে যেন বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোনোরূপ আইনি ঝামেলায় কাউকে যেন জড়ানো না হয়। সবাই বাঁচুক। শুধু শুধু পৃথিবীর অক্সিজেন আর নষ্ট করতে চাই না।’

ডিএমপির নতুন কমিশনার হচ্ছেন হাবিবুর রহমান-কালের কণ্ঠ

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নতুন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান। তিনি বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রধান হিসেবে রয়েছেন। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেস্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।বর্তমান কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক তার চাকরি জীবনের ইতি টানতে যাচ্ছেন আগামী ২ অক্টোবর। হাবিবুর রহমান তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ৭৪বার পেছাল-নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী বৃহস্পতিবারের (৯ নভেম্বর) মধ্যে জমা দিতে আবারো পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রায়হান উদ্দিন খান আজকের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন। ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে১০১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষ করতে সিআইডি এখন পর্যন্ত ৭৪বার সময় নিয়েছে। সেখান থেকে কমপক্ষে ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ম্যানিলাভিত্তিক আরসিবিসির অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছিল। এরপর যেখান থেকে ওই ফিলিপাইনের ক্যাসিনোগুলোতে ব্যয় হয়।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

সংবিধান থেকে উধাও ‘সেকুলার’ ও ‘সোশালিস্ট’, কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস-সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার এ খবরে বলা হয়েছে, সংবিধানের (Constitution of India) শব্দ বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) জানান, সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সেকুলার’ ও ‘সোশালিস্ট’ শব্দ দুটি মুছে ফেলা হয়েছে। সেই সংবিধানের কপিই তুলে দেওয়া হয়েছে সাংসদদের হাতে। প্রসঙ্গত, নতুন সংসদ ভবনে প্রথমবার অধিবেশন শুরুর আগে সাংসদদের বিশেষ উপহার দেওয়া হয়। সেখানেই ছিল এই সংবিধানের কপি। তবে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, প্রথম সংবিধানেও এই শব্দ দুটি ছিল না। তার কপিই দেওয়া হয়েছে সাংসদদের।বুধবার সকালে এই বিষয়টি নিয়ে সরব হন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) ও অধীর চৌধুরী। বুধবার অধিবেশন শুরুর আগে তিনি বলেন, “আমি যখন সংবিধান পড়ছিলাম তখন এই দুটো শব্দ খুঁজে পাইনি। পরে নিজে থেকেই জুড়ে দিয়েছি এই দুটি শব্দ। ১৯৭৬ সালে তো সংশোধন করে শব্দগুলো যোগ করা হয়েছিল। এই আচরণ থেকেই বোঝা যায়, বর্তমানে সংকটে পড়েছে সংবিধান। ইচ্ছাকৃতভাবে সংবিধান পালটে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”

সূত্রের খবর, এই বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। কিন্তু তাঁকে মুখ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বুধবার সংসদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আগে সোনিয়া গান্ধীও জানান, সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে এই দুটি শব্দ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অধীরের অভিযোগ, সুচতুরভাবে সংবিধান পালটে দেওয়ার জন্যই এইভাবে শব্দ সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি (BJP)।

রাজ্যের ন’লক্ষ পড়ুয়ার আধার কার্ড নেই-আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, রাজ্যের ন’লক্ষ ছাত্রছাত্রীর আধার কার্ড নেই। তাই সেই সব পড়ুয়ার আধার কার্ড তৈরি করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার শিক্ষা দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতেই জানানো হয়েছে, বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের আধার কার্ড তৈরির কাজ শুরু হবে। প্রত্যেকটি ব্লকে কম করে দু’টি জায়গায় তাদের আধার কার্ড করে দেওয়ার জন্য শিবির করবে শিক্ষা দফতর। প্রাথমিক বিভাগ থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়ুয়াদের আধার কার্ড তৈরি হবে ওই শিবিরে।

মহিলা সংরক্ষণ বিলের আওতায় আনা হোক ওবিসিদের, সংসদে দাবি সোনিয়ার-গণশক্তি

মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে নতুন সংসদ ভবনে আলোচনা শুরু।বুধবার নতুন সংসদ ভবনে বক্তব্য পেশ করেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। 

সোনিয়ার কথায়, 'এটি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ মুহূর্ত আমার কাছে। এই বিল আমার জীবনসঙ্গী রাজীব গান্ধীর স্বপ্ন ছিল। এই বিল পাশ হলেই তাঁর স্বপ্ন পূরণ হবে। কংগ্রেসই এই বিল নিয়ে প্রথম উদ্যোগী হয়েছিল। মহিলা সংরক্ষণ বিলে আমাদের সমর্থন রয়েছে। এই বিলের আওতায় আনা হোক এসসি, এসটি, ওবিসিদের। অবিলম্বে এই বিল পাশ করা হোক।' 

মহিলা সংরক্ষণ বিলের কৃতিত্ব ঘিরে সংসদে এদিন সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে কংগ্রেস ও বিজেপি। বিজেপির দাবি, এই বিলের কৃতিত্ব কংগ্রেস চাইলেও, সেই সময়ে কংগ্রেসের আনা বিল ত্রুটিপূর্ণ ছিল। এদিকে বিজেপির প্রস্তাব ঘিরে গর্জে ওঠে তৃণমূল। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, আইআইটি, ইসরোর মহিলা গবেষকদের বেতন বন্ধ করেছে বিজেপি সরকার। নারীদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে পারেনি কেন্দ্র। হাথরাসের ঘটনা উল্লেখ করে তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, নারী নিরাপত্তায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ মোদি সরকার।

কৃষকরা পারলে অন্যরাও হারাতে পারবে মোদীকে, লড়াইয়ের আহ্বানে হান্নান মোল্লা-গণশক্তি

দিল্লি ঘেরাও হয়েছিল। এবার ভারত ঘেরাও হবে। গোটা দেশের সামনে বিজেপির কৃষক এবং শ্রমিক বিরোধী চরিত্র তুলে ধরতে হবে। গোটা বিশ্ব সেই আন্দোলনের দিকে তাকিয়ে থাকবে। কেন্দ্র এবং রাজ্যের কৃষিনীতির ফলে কৃষকরা ক্ষতিপ্রস্ত। 

নভেম্বরে প্রত্যেক রাজ্যে রাজভবন অভিযান এই ভাষাতেই ব্যাখ্যা করেছেন হান্নান মোল্লা। দিল্লিতে বছরভর কৃষক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগঠক এই কৃষকনেতা বলেছেন, ‘‘কৃষক আন্দোলন দেশে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে। কৃষকরা পারলে অন্যরাও মোদীকে হারাতে পারবে। মোদী অপরাজেয়, এই মিথ ভেঙেছেন দেশের কৃষকরা। তিন কৃষি আইন বাতিল করতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।’’#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ