ইরান ও চীন; প্রাচ্য বিশ্বের সুন্দর সভ্যতা এবং প্রতিরোধ শক্তির প্রতিনিধি
(last modified Thu, 30 May 2024 11:23:03 GMT )
মে ৩০, ২০২৪ ১৭:২৩ Asia/Dhaka
  • ইরান ও চীন; প্রাচ্য বিশ্বের সুন্দর সভ্যতা এবং প্রতিরোধ শক্তির প্রতিনিধি
    ইরান ও চীন; প্রাচ্য বিশ্বের সুন্দর সভ্যতা এবং প্রতিরোধ শক্তির প্রতিনিধি

ইরান ও চীন ছিল কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে শান্তি ও নিরাপত্তার বার্তাবাহক এবং এই অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিই ছিল সিল্ক রোড তৈরির ভিত্তি।

ইরান ও চীনের সংস্কৃতির মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন সম্পর্কে সম্প্রতি "ইরান ও চীন; সাংস্কৃতিক সক্ষমতা এবং ঐতিহাসিক যোগাযোগ" শীর্ষক বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে আমরা ওই বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ কিচু বিষয় সম্পর্কে সংক্ষেপপে আলোচনা করবো।

এ বৈঠকে ইরান-চীন বিষয়ক ইরানের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের সচিব আমির রেজাই পানাহ বলেছেন,

আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সবসময়ই ছিল ক্ষমতার উপর নির্ভরশীল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ধীরে ধীরে সংস্কৃতির মতো আরো অন্যান্য কিছু বিষয় ব্যাপক গুরুত্ব পায় এবং আজ আমরা সাংস্কৃতির প্রভাব ও শক্তির বিষয়টি প্রত্যক্ষ করছি। একসময় আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় শক্তির মেরু বা খুঁটির কথা বলা হত, কিন্তু আজ আমরা এমন এক যুক্তি নিয়ে কথা বলি যেগুলোর উৎস ভৌগলিক নয় বরং সাংস্কৃতিক পরিচয়। ইরান এবং চীন এমন দুটি দেশ যারা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ধারণাকে বিশ্বাস করে না এবং ইতিহাস জুড়ে তাদের সম্পর্ক একটি যৌক্তিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।  

চীনে আমি একজন ইরানী!

চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরানিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক জে কে ইউন বলেছেন,

প্রিয় ইরানি ভাই ও বোনেরা! আমি শুধু একজন চীনা গবেষক নই বরং আমি নিজেকে মনে করি চীনের একজন ইরানী। হয়তো আমার মুখের চেহারা চীনা, কিন্তু আমার আত্মা ইরানী। আমি ৩২ বছর ধরে ইরানের সংস্কৃতি এবং ইতিহাস নিয়ে অধ্যয়ন করেছি এবং আমি এতোটাই মুগ্ধ হয়েছি যে এটি আমার মন ও আত্মাকে ব্যাপক প্রভাবিত করেছে। আমার মতে ইরানী সংস্কৃতি অনেকটা চীনা চীনা সংস্কৃতির মতোই। তাই আমি সবসময় চাইনিজ তরুণদের ইরানে আসতে বলি। ইরান সভ্যতার কেন্দ্র এবং চীনসহ বিশ্বের অনেক অঞ্চল ইরানী সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। আমরা ইতিহাসে ভাই ভাই ছিলাম এবং চীনে ইরানী সংস্কৃতি ও সভ্যতা সম্পর্কে অনেক বই রয়েছে যা জনপ্রিয়। আমরা ইরানকে আমাদের ভাই মনে করি। রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও আমরা সমান।

চীনে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা নেয়ামাতুল্লাহ ইরানজাদেহ বলেছেন,

জে কে ইউন হলেন ইরানোলজিস্ট এবং দুই দেশের মধ্যে নতুন সম্পর্কের উৎস হিসাবে পরিচিত ব্যক্তিত্বদের মধ্যে একজন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকদের মধ্যে একজন যিনি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।

নেয়ামাতুল্লাহ ইরানজাদেহ আরো বলেছেন,

চীনের সাথে আমাদের এই সুদীর্ঘ ঐতিহাসিক সম্পর্ক ভূ-রাজনৈতিক গণ্ডির উর্ধ্বে উঠে আমাদের চিন্তা করতে হবে। কেননা ইরান ও চীন গত কয়েক হাজার বছরে কোনো জাতিকে আক্রমণ করেনি। উভয় দেশই শান্তি ও নিরাপত্তার বার্তাবাহক এবং এই অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও বৈশিষ্ট্যই ছিল সিল্ক রোড তৈরির মূল ভিত্তি। ইরান ও চীন, ইরানভীতি এবং চীনাভীতি ছড়িয়ে দেয়ার প্রচেষ্টাকে তোয়াক্কা না করে বরং প্রাচ্য সভ্যতার প্রতিনিধি হিসাবে তারা আজকের মানবজাতির সুস্থ জীবনের জন্য একটি নতুন সভ্যতার মডেল উপস্থাপন করতে পারবে।

পার্সটুডে/আরএইচ/৩০  

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। 

 

 

ট্যাগ