ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ; ইউরোপ কি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে?
-
ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ; ইউরোপ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে
পার্সটুডে-মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ড, যা বিশ্ব শৃঙ্খলাকে বিনষ্ট করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে প্রশান্ত মহাসাগরের সীমান্তবর্তী দেশগুলোর (ট্রান্স-প্যাসিফিক) সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি ও ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করতে বাধ্য করেছে।
শনিবার ফিনান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে: ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় বাণিজ্য ব্লকের মধ্যে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব তৈরির স্থগিত পরিকল্পনা পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনকে উর্ধ্বতন ইউরোপীয় কর্মকর্তা এবং কূটনীতিকরা ওই প্রচেষ্টার অনুঘটক হিসেবে দেখছেন। পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, ট্রাম্প শুল্ক ঘোষণা করার পর, ব্রাসেলস এবং কানাডা, জাপান এবং মেক্সিকোসহ ১২টি দেশ নিয়ে গঠিত বাণিজ্য ব্লকের মধ্যে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক এবং অংশীদারিত্ব তৈরির পরিকল্পনা আগের চেয়ে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন বলেছেন যে, মানবতার কল্যাণে বিশ্বজুড়ে ন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলনের নিয়মকানুন তৈরিতে উভয় পক্ষই সহযোগিতা করতে চায়।
তিনি জোর দিয়ে বলেন: বর্তমান অস্থিরতার মধ্যে বিশ্ব বালিজ্য সংস্থায় কোন কোন বিষয়গুলোর উন্নতি করা প্রয়োজন এবং এটি অর্জনের জন্য তাদের কীভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা উচিত তা উভয় ব্লকই পরীক্ষা করে দেখছে।
ট্রান্স-প্যাসিফিক বাণিজ্য সহযোগিতা চুক্তি (CPTPP) ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ওই জোটে অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, কানাডা, চিলি, জাপান, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য এবং ভিয়েতনাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নয়টি সদস্য দেশের সাথে ওই জোটের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি রয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্র দপ্তরও ঘোষণা করেছে দেশটি ইউরোপ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সাথে তার বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নিউজিল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীরাও দুই ব্লকের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করার ধারণাকে সমর্থন করেছেন।#
পার্সটুডে/এনএম/৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।