মার্কিন ভিসানীতি
প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে অনেক কথা বললেন: কী হচ্ছে, কী হবে!
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে হলে তাঁকে আবার জেলে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী-প্রথম আলো
- বাংলাদেশের ভিসানীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচনা-ইত্তেফাক
- রাজনীতির গতি প্রকৃতি অক্টোবরেই নির্ধারণ-যুগান্তর
- কী হচ্ছে, কী হবে, জরুরি অবস্থাই কি সমাধান?-মানবজমিন
- পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর মার্কিন ‘ভিসানীতির প্রভাব’ পর্যবেক্ষণ করছে আওয়ামী লীগ-নয়া দিগন্ত
কোলকাতার শিরোনাম:
- কংগ্রেস ক্ষমতায় এলেই হবে জাতগণনা, ভোটের প্রচারে মধ্যপ্রদেশে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেন রাহুল-আনন্দবাজার পত্রিকা
- ৬ দিন, ৪ রাজ্য, ৮ কর্মসূচি! ভোটের মুখে মোদি যেন ‘যন্ত্রমানব’-সংবাদ প্রতিদিন
- পাঞ্জাব জুড়ে উত্তাল কৃষক আন্দোলন-গণশক্তি
এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
স্যাংশন দিচ্ছে, আরও স্যাংশন দিতে পারে, এটা তাদের ইচ্ছা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৭ সেপ্টেম্বর ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান শতরূপা বড়ুয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওয়াশিংটন সফরের সময় ওই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞাসহ মানবাধিকার ও ভোটসংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করেন শতরূপা বড়ুয়া। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার এটাই প্রশ্ন যে হঠাৎ কথা নেই বার্তা নেই তারা আমাদের ওপর ভিসা স্যাংশন দিতে চাচ্ছে কী কারণে? আর মানবাধিকার বা ভোটের অধিকারের কথা যদি বলে, তাহলে আমরা আওয়ামী লীগ, আমরাই তো বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছি। আমাদের কত মানুষ রক্ত দিয়েছে এই ভোটের অধিকার আদায় করার জন্য। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয়, তার জন্য যত রকমের সংস্কার, সেটা আমরাই তো করেছি। আর রাজনীতি নিয়ে মানবজমিনের একটি খবরের শিরোনাম এরকম- কী হচ্ছে, কী হবে, জরুরি অবস্থাই কি সমাধান?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমেরিকায় বসে বলছেন, আমেরিকায় না গেলে কী হবে। সব দেশের সরকারপ্রধানেরা বক্তব্য দিয়ে বাড়ি চলে গেছেন, উনি ওখানে বসে কী করছেন।’আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘উনার মন্ত্রীরা, সরকারি কর্তারা বলছেন, আমেরিকা না গেলে কী হবে। আপনার আমেরিকা যাওয়া নিয়ে চিন্তা নয়, দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য চিন্তার বিষয়। এসব দেশের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হয়। গার্মেন্টসের বড় রপ্তানি হয় আমেরিকায়। একজন গার্মেন্টসকর্মীর তো চাকরি চলে যাবে। এর সঙ্গে অর্থনৈতিক ও মানবিক সম্পর্ক।’
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হলে এখন যে সাজা স্থগিত করে তাঁকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছি, তা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। আবার তাঁকে জেলে যেতে হবে, আদালতে যেতে হবে। আদালতের কাছ থেকে তাঁকে অনুমতি নিতে হবে।
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, ‘এই প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দেওয়ার দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়েছেন। শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তাঁকে তাঁর পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে। ’ যুগান্তরের খবর-আইনমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে মতামত রোববার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, আইনি প্রক্রিয়া মেনেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হবে।
টাকার মান কমে যাওয়ায় জীবনের ওপর প্রভাব-ইত্তেফাকের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কমানোর পর থেকে প্রতিদিনই কমছে টাকার মান, বাড়ছে ডলারের দাম। এতে রপ্তানিকারক ও প্রবাসীরা সীমিতভাবে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানিকারকরা। সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ভোক্তারা। টাকার মান কমে যাওয়ায় ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমছে। বাড়ছে পণ্যের দাম। সব মিলে অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। আর এটা দিন দিন বেড়ে জীবনের ওপর নানা রকমভাবে প্রভাব ফেলছে। দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার নিকৃষ্ট রেকর্ড করেছে সরকার। গদি টিকিয়ে রাখতে সরকার যতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে, তার অর্ধেক সচেতন হলেও বাজারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে না। আসলে সরকার গদির লোভে দেশের মানুষের কথা ভুলে গেছে।
৭০ গুমের অভিযোগ জাতিসংঘ নিজে তদন্ত করে না কেন, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর-যুগান্তর
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশে গুম নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অহেতুক মিথ্যা অপবাদ দেওয়া কখনো গ্রহণযোগ্য না।বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে আরেকটি উদ্বেগের কারণ হচ্ছে গুমের ঘটনা এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বহুবার এটা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গুম নিয়ে প্রথম আলোর মতামত কলামে লেখা হয়েছে, অন্তত কবরটা চিনিয়ে দিন। আরেকটি শিরোনাম- এখনো নিখোঁজ ১৫৩ জন। অপেক্ষায় স্বজনরা।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
৬ দিন, ৪ রাজ্য, ৮ কর্মসূচি! ভোটের মুখে মোদি যেন ‘যন্ত্রমানব’-সংবাদ প্রতিদিন
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, ২০২৪ লোকসভার (Lok Sabha Elections) আগে শেষ বিধানসভা নির্বাচন। বলা ভালো, চলতি বছরের শেষে যে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে সেটা লোকসভার সেমিফাইনাল। বিজেপির (BJP) জন্য কোথাও ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের লড়াই, কোথাও সরকার পরিবর্তনের লড়াই। আর এই লড়াইয়ে কংগ্রেসকে (Congress) এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ কেন্দ্রের শাসকদল।সেমিফাইনালের এই মহারণে তাই নিজেদের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নরেন্দ্র মোদিকে পুরোদস্তুর ব্যবহার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই যে বিজেপির মুখ, সেটা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছে বিজেপি। এবার প্রধানমন্ত্রী পুরোপুরি নেমে গেলেন প্রচারের কাজে। আগামী ৬ দিনে দেশের ৪ রাজ্যে ৮টি আলাদা আলাদা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মোদি। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলেই হবে জাতগণনা, ভোটের প্রচারে মধ্যপ্রদেশে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেন রাহুল গান্ধী।
এবার কুপওয়ারা সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, সেনার গুলিতে খতম দুই জঙ্গি-সংবাদ প্রতিদিন
অনন্তনাগের ঘটনার পর ফের কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা। যদিও সেই চেষ্টা রুখে দিল সেনা। কুপওয়ারা জেলার মাচিল সেক্টরে দুই জঙ্গিকে খতম করল নিরাপত্তারক্ষীরা। অত্যাধুনিক এ কে রাইফেল-সহ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনা। গোটা এলাকা ঘিরে আরও দুই জঙ্গির খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।অনন্তনাগের সপ্তাহব্যাপী সংঘর্ষের পর থেকেই সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনা এবং কাশ্মীর পুলিশ।
পাঞ্জাব জুড়ে উত্তাল কৃষক আন্দোলন-গণশক্তি
বন্যার জন্য ক্ষতি হয়েছে ফসলের। তার ক্ষতিপূরণ চেয়ে এবং সহায়ক মূল্য বা এমএসপি’র আইনি নিশ্চয়তা ও কৃষি ঋণ মুকুবের দাবিতে পাঞ্জাবে পাঞ্জাব জুড়ে রেল ও পথ অবরোধ করলেন কৃষকরা। শুক্রবার কৃষকরা চন্ডিগড়-আম্বালা-দিল্লি জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করেন।প্রসঙ্গত, তিন দাবি নিয়ে ৩দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি সংগঠিত হচ্ছে পাঞ্জাবে।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ৩০